খুলনা ৬ আসনে ৫১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬ টি সংসদীয় আসনে মোট ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৭জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রথম দিন ১৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

খুলনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, খুলনা-১ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপি’র আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, সিপিবির অশোক কুমার সরকার, ওয়ার্কার্স পার্টির গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, ইসলামী আন্দোলনের আবু সাঈদ, স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল।

খুলনা-২ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, সিপিবি’র এইচ এম শাহাদাৎ হোসেন, জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বেল্টু, মুসলীম লীগ এস এস ইসমাইল আলী, জাতীয় পার্টির এস এম এরশাদুজ্জামান ডলার, বিএনএফের এস এম সোহাগ ও গণফ্রন্টের মনিরা বেগম।

খুলনা-৩ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বিএনপি’র এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও রকিবুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, বাসদের জনার্দন দত্ত, জাকের পার্টি এস এম সাব্বির হোসেন ও জেএসডির আ ফ ম মহসীন।

খুলনা-৪ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিএনপি’র আজিজুর বারী হেলাল ও শরীফ শাহ কামাল তাজ, ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কে এম আলী দাদ, খেলাফত মজলিসের এস এম সাখাওয়াত হোসেন, জাকের পার্টির শেখ আনসার আলী, বিএনএফের শেখ হাবিবুর রহমান ও জাতীয় পার্টির এম হাদিউজ্জামান।

খুলনা-৫ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিএনপি’র ড. মামুন রহমান, ডা. গাজী আবদুল হক ও মিয়া গোলাম পরওয়ার (জামায়াত), জাতীয় পার্টির সাঈদ আলম মোড়ল, সিপিবির চিত্ত রঞ্জন গোলদার ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান।

খুলনা-৬ আসনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের আকতারুজ্জামান বাবু, বিএনপি;র শফিকুল আলম মনা ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (জামায়াত), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, জেএসডির আইয়ুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমাদ, সিপিবি’র সুভাষ চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট মির্জা গোলাম আযম, জাকের পার্টিও শেখ মোর্তুজা আল মামুন, স্বতন্ত্র সুব্রত কুমার বাইন ও মোঃ আবদুল কাদের।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৩৭ জন প্রার্থী। বাকিরা আগের দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এবার প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

   

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা খুবই জরুরী। দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সোমবার (৬ মে) বঙ্গভবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ‘বৈঠকে প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

প্রেস সচিব জানান প্রতিনিধিদল, রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রাষ্ট প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসূচি চালু করার ও পরামর্শ দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

'খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবেশ উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ুর পরিবর্তন ও তার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

আগামীকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে সোমবার (৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।” 

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন দেশ পরিচালনার সময় পেয়েছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৭৮টি রেলব্রিজ এবং ২৭০টি সড়কব্রিজ ধ্বংস করে। যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক, সড়ক-সেতু, রেল, রেল-সেতু মেরামত এবং নির্মাণ করে তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতু মেরামতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। আর এ কাজে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন প্রকৌশলীগণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ এর মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া আমরা ভবনের কাজ শুরু করার জন্য ৫ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের ২য় পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ-এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। 

প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।

;

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক ল সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার সাক্ষাৎ করেন এবং তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

নসরুল হামিদে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে আরো বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ছে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ অটোমেশনের দিকে যাচ্ছে। যা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াচ্ছে। আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি খাতে ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

হাইকমিশনার সিঙ্গাপুরের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, ক্লিন এনার্জি, সৌর বিদ্যুতের মূল্য, স্মার্ট গ্রিড, ডাটা সেন্টার, এলপিজি ও এলএনজি টার্মিনাল, স্টোরেজ সিস্টেম, রিফাইনারি, অটোমেশন, বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনাকালে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য এফেয়ার্স শীলা পিল্লাই উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

প্রতি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিটি সেক্টরে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন যানবাহন, রাস্তা ঘাট, হাট-বাজার, সকল প্রতিষ্ঠানে অবাধে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোয়াকের চেয়ারপারসন সুবর্ণা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আমিন হেলালি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে অগ্রদূতের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি অটিজম ও স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে এ বিষয়ে সচেতনতা ও নীতি তৈরিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে এনডিডি ও অটিজম বিষয়ে আজ মানুষের মাঝে যে ইতিবাচক পরিবর্তনে এসেছে, এটি সিংহভাগ কৃতিত্ব তার। আজ বাংলাদেশের সাধারণ পরিবারগুলোর মাঝে অটিজম সচেতনতা তৈরি হচ্ছে এবং তারা তাদের সন্তানের প্রতিবন্ধিতা সনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছেন। প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমাদের যেতে হবে আরও বহুদূর। আমি অভিভাবকদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানাই। শুধু তারাই জানেন, কত প্রতিবন্ধকতার পাহাড় তাদের অতিক্রম করতে হয় প্রতিনিয়ত। সেই সাথে আমি অভিবাদন জানাই বিশেষ শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং কেয়ার গিভারদের যারা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে এই বিশেষ শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও তাদের জীবন প্রণালীর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ চিকিৎসা সহায়তা পুনর্বাসন লক্ষ্যে সরকার, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা ২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলিং আইন ২০১৮, এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষানীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করেছেন।

এই আইন এবং বিধিমালা প্রণয়ন এবং সেই সম্পর্কিত কার্যক্রম থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায় কতটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।

এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায়, চলতি অর্থ বছরে ২০২৩-২৪ দেশের ১৪ টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪ টি অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের আটটি বিভাগে আটটি চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

;