চিত্রা এক্সপ্রেসের হুইসেলে যাত্রা শুরু খুলনার নবনির্মিত আধুনিক রেলস্টেশনের



মানজারুল ইসলাম, বার্তা২৪.কম
নতুন স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস / ছবিঃ বার্তা২৪

নতুন স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস / ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে রাত-দুপুরে অই। ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে, ট্রেনের বাড়ি কই? কবি শামসুর রাহমানের কবিতার সাথে মিল রেখেই খুলনা থেকে প্রতিদিনের মতোই ঝক ঝক ঝক শব্দে ট্রেন ছুটলো। তবে এ ট্রেনের বাড়ি খুলনার নব-নির্মিত আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন।

রোববার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে খুলনার নব-নির্মিত আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে “চিত্রা এক্সপ্রেস” ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে চলে। চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সফরের সময় স্টেশনটি উদ্বোধন করেছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/25/1543121574598.jpg

এ যাত্রার মাধ্যমেই উদ্বোধনের প্রায় ৮ মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে নব-নির্মিত স্টেশনটি থেকে প্রথমবারের মত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলনাবাসীর দীর্ঘ অপেক্ষায় পর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক রেলস্টেশন থেকে প্রথমবারের মত যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ছেড়ে যায় চিত্রা এক্সপ্রেস। ট্রেন চলাচলকে কেন্দ্র করে স্টেশনে টিকিট বিক্রিসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

নব-নির্মিত খুলনার আধুনিক রেলওয়ে স্টেশনে আছে, এক হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের তিনটি প্লাটফর্ম। তিনটি প্লাটফর্মের ছয়টি লাইন দিয়েই ছয়টি ট্রেন থেকে যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবে।

এছাড়া আছে ছয়টি টিকিট কাউন্টার, অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা, প্রথম শ্রেণি ও শোভন যাত্রীদের আলাদা ওয়েটিং রুম, ভিআইপিদের জন্য দুটি ওয়েটিং রুম, নারী-পুরুষের আলাদা বাথরুম, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক, নামাজ ঘর, আবাসিক হোটেল, পিএবিএক্স টেলিফোন ব্যবস্থা, প্রতিটি প্লাটফর্মে যাত্রীদের বসার সু-ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাতের সুবিধাও রাখা হয়েছে।

সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার বেস্টনির জন্য রেল স্টেশনটিতে সিসি ক্যামেরার সুবিধা রাখা হয়েছে। আধুনিক এ স্টেশনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। নতুন এই স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করায় পুরাতন স্টেশনটি ব্যবহার হবে ওয়াশফিড হিসেবে।

খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বার্তা২৪.কম কে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নব-নির্মিত আধুনিক রেলওয়ে স্টেশনটি প্রথমবারের মত ছেড়েছে “চিত্রা এক্সপ্রেস”। এ যাত্রা শুরুর মাধ্যমে খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের আশা ও অপেক্ষার আবসান হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/25/1543121595755.jpg

এদিকে, যাত্রীদের ভোগান্তির নিরসন না করেই নব-নির্মিত এ স্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। নিচু প্লাটফর্মের কারণে প্রথম যাত্রাতেই দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা।

ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফরহাদ হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, নতুন স্টেশনেও পুরাতন ভোগান্তি থেকে গেলো। এখনো কোলে চড়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। নতুন এ স্টেশনের প্লাটফর্ম নিচু হওয়ায় ট্রেনে উঠতে নামতে মানুষের দূর্ভোগ থেকেই গেলো।

জানা যায়, পুরাতন স্টেশনেও যাত্রীদের ওঠানামা করতে বেগ পেতে হতো। প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা ছিল প্রায় ৪ ফিট উপরে। নতুন স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকেও ট্রেনে উঠতে প্রায় ২ ফিট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা  ডিঙাতে হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘রিমডেলিং অব খুলনা স্টেশন এন্ড ইয়ার্ড’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিও অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের বছরের এপ্রিল মাস থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলনায় আধুনিক রেল স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ১৮ মাস মেয়াদী এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। কাজের গতিতে মন্থরতা পরিলক্ষিত হওয়ায় ব্যয় বাড়িয়ে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।

   

উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। মানবিকতায়ও তিনি নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের যে ক’জন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব দেয় তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম। দেশবাসীর নিকট তিনি আশার বাতিঘর হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সফল নেতৃত্বের সকল বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে রয়েছে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাকে ১৯ বার প্রকাশ্যে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনোই ভেঙে পড়েননি, মনোবল হারাননি। মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য।

;

দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৮  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুইজন এবং খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট দুই হাজার ৪২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ব্যাপক: এডিবি আবাসিক প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রধান এডিমন গিনটিং বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে যথেষ্ট। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগ কম। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির(ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এডিমন গিনটিং বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সেটি কেবল সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাও থাকতে হবে এবং অব্যশই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এডিবি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অর্থনীতির উৎসগুলো বহুমুখী করা জরুরি। এজন্য তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং অর্থনৈতিক সুশাসন বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, রাজস্ব প্রশাসন এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুশাসন বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

এডিবির আবাসিক প্রধান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন এবং অধিকতর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বাংলাদেশে একটি বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ এবং ব্যবসাবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এডিবির সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা এবং বেসরকারি খাতে অর্থায়নের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বেসরকারি খাতে এডিবির অর্থায়ন আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

;

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র হাত বাড়ালেই মিলছে খুব সহজে নিষিদ্ধ মাদক সামগ্রী। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় থানা পুলিশের নিকট বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায়, এলাকার যুব সমাজকে রক্ষার্থে মাদক প্রতিরোধে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয়রা লাঠি হাতে পাহারা বসিয়েছে গ্রামের মোড়ে মোড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী উপজেলাটির বিভিন্ন গ্রামে প্রতিনিয়ত ভিড় করছে বহিরাগত ও স্থানীয় মাদক সেবীরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে পা বাড়ালেই দেখা যায় পরিত্যক্ত মাদকের বোতল। মাদকের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে জুয়া,পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে এলাকার শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে রক্ষার্থে পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার মদাতি ইউনিয়নের হাজরানিয়া গ্রামবাসী। সমাজকল্যাণ পরিষদ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়ে মাদক প্রতিরোধের চেষ্টা করছে তারা। এতে করে অল্প দিনের ব্যবধানে এই গ্রামে কমে এসেছে মাদকের প্রভাব। ইতোমধ্যেই এলাকাবাসীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এক মাদক কারবারিসহ তিন মাদক সেবী। গ্রামবাসীর এমন পদক্ষেপে সাধুবাদ জানাচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হোক সোনা বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে এলাকাবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সহযোগিতা নেই থানা পুলিশের। তাদেরকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিজেরাই মাঠে নেমেছেন মাদক প্রতিরোধে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বার্তা২৪কম-কে বলেন, হাজরানিয়া গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে করে এলাকায় মাদকের প্রভাব কমে গেছে। এলাকাবাসীর সাথে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতা থাকলে গোটা কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪কম-কে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ যুবক ও সমাজকে রক্ষায় হাজরানীয়া গ্রামবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে। এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করা হলে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ হবে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ, এমনটি মনে করছেন স্থানীয়রা।

;