হরিণ শিকারের অভিযোগে রাস মেলায় আটক ৫৭জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সুন্দরবনে আটককৃত হরিণ শিকারিরা / ছবিঃ বার্তা২৪

সুন্দরবনে আটককৃত হরিণ শিকারিরা / ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সুন্দরবনের রাস উৎসব। সাগরে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিনদিনব্যাপী এ উৎসব।

কিন্তু প্রতিবারের মত এবারও সুন্দরবনের রাস মেলাকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠে হরিণ শিকারিরা। একদিকে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা যখন মেলার উৎসব উপভোগে ব্যস্ত। অন্যদিকে একদল শিকারি হরিণ শিকারে ব্যস্ত।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে আটক করেছে বন বিভাগ। আটককৃতদের বন আইনে মামলাও দেওয়া হয়েছে। এসময় হরিণের মাথা, চামড়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করেছে বনবিভাগের সদস্যরা।

সুন্দরবনের পশ্চিমাঞ্চলের বন বিভাগের তথ্য মতে, সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব। মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকরা আগমন করে। সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ হরিণ শিকারে মেতে ওঠে। বনবিভাগের অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে শুক্রবার ৫৭ জনকে আটক করেছে। এদের সকলেই রাস মেলার দর্শনার্থী ছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/24/1543048859439.gif

দর্শনার্থীতে পরিপূর্ণ দুটি ট্রলার সুন্দরবনের পাটকোষ্টা মোরগখালী এলাকায় ঘুরছিল। এসময় সুন্দরবনের পুলিশের স্মার্ট টহল টিম তাদের থামতে বলে। পরবর্তীতে তল্লাশী চালালে ট্রলার থেকে হরিণের মাথা, চামড়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র বেরিয়ে আসে। ট্রলারগুলো থেকে হরিণ শিকারের ৫০ মিটার ফাঁদ, হাড়, ধামা, কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

দুই ট্রলারে সর্বমোট ৫৭ জন হরিণ শিকারি ছিল। তারা সকলেই রাস মেলার উদ্দেশ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসে।

সুন্দরবনের টহলে থাকা স্মার্ট পেট্রোল টিম-১ এর প্রধান ও কাশিয়াবাদ থানার কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটো বলেন, তাদেরকে আটক করে কয়রা উপজেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/24/1543048813528.gif

বনবিভাগের আরেকটি সূত্র জানায়, সারাবছর সুন্দরবন থেকে যে পরিমাণ হরিণ শিকার হয়, রাস মেলাকে ঘিরে তার চেয়ে বেশি হরিণ শিকার হয়ে থাকে। নাইলনের ফাঁদ, জাল পেতে, স্প্রীং বসানো ফাঁদ, বিষটোপ, তির বা গুলি ছোড়ে, কলার মধ্যে বর্শি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা ফাঁদসহ পাতার উপর চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে নিধন করা হয়ে থাকে বিপুল সংখ্যক হরিণ। এরপর চামড়া, শিং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাঠিয়ে দেয়া হয় উপযুক্ত ক্রেতাদের কাছে। কখনো ঝামেলা এড়াতে মাটিতে পুঁতে বা সাগরে ফেলে দেয়া হয়।

লন্ডন ভিত্তিক ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাষ্ট অফ বাংলাদেশ ও জু-লজিক্যাল সোসাইটির তথ্যমতে, শিকারিদের হাতে সুন্দরবনে বছরে প্রায় ১০ হাজারের বেশী হরিণ মারা পড়ে । মেলা চলাকালীন দর্শনার্থী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব চোরা শিকারিরা সুন্দরবনের যে সকল এলাকায় হরিণের বিচরণ বেশী সেসব এলাকায় বিভিন্ন ফাঁদে হরিণকে কাবু করে শিকারিরা।

সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, আলোর কোল, কটকা, কচিখালী দুবলা চান্দেরশ্বর, বগি, চরখালী, তালপট্টিস অঞ্চলে হরিণের আনাগোনা বেশি থাকে।

 

   

দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৮  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুইজন এবং খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট দুই হাজার ৪২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ব্যাপক: এডিবি আবাসিক প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রধান এডিমন গিনটিং বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে যথেষ্ট। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগ কম। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির(ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এডিমন গিনটিং বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সেটি কেবল সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাও থাকতে হবে এবং অব্যশই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এডিবি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অর্থনীতির উৎসগুলো বহুমুখী করা জরুরি। এজন্য তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং অর্থনৈতিক সুশাসন বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, রাজস্ব প্রশাসন এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুশাসন বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

এডিবির আবাসিক প্রধান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন এবং অধিকতর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বাংলাদেশে একটি বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ এবং ব্যবসাবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এডিবির সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা এবং বেসরকারি খাতে অর্থায়নের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বেসরকারি খাতে এডিবির অর্থায়ন আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

;

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

কালীগঞ্জে মাদক দমনে লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র হাত বাড়ালেই মিলছে খুব সহজে নিষিদ্ধ মাদক সামগ্রী। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় থানা পুলিশের নিকট বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায়, এলাকার যুব সমাজকে রক্ষার্থে মাদক প্রতিরোধে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয়রা লাঠি হাতে পাহারা বসিয়েছে গ্রামের মোড়ে মোড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী উপজেলাটির বিভিন্ন গ্রামে প্রতিনিয়ত ভিড় করছে বহিরাগত ও স্থানীয় মাদক সেবীরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে পা বাড়ালেই দেখা যায় পরিত্যক্ত মাদকের বোতল। মাদকের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে জুয়া,পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে এলাকার শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে রক্ষার্থে পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার মদাতি ইউনিয়নের হাজরানিয়া গ্রামবাসী। সমাজকল্যাণ পরিষদ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়ে মাদক প্রতিরোধের চেষ্টা করছে তারা। এতে করে অল্প দিনের ব্যবধানে এই গ্রামে কমে এসেছে মাদকের প্রভাব। ইতোমধ্যেই এলাকাবাসীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এক মাদক কারবারিসহ তিন মাদক সেবী। গ্রামবাসীর এমন পদক্ষেপে সাধুবাদ জানাচ্ছে সবাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হোক সোনা বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে এলাকাবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সহযোগিতা নেই থানা পুলিশের। তাদেরকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিজেরাই মাঠে নেমেছেন মাদক প্রতিরোধে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বার্তা২৪কম-কে বলেন, হাজরানিয়া গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে করে এলাকায় মাদকের প্রভাব কমে গেছে। এলাকাবাসীর সাথে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতা থাকলে গোটা কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪কম-কে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ যুবক ও সমাজকে রক্ষায় হাজরানীয়া গ্রামবাসীর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে। এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করা হলে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ হবে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ, এমনটি মনে করছেন স্থানীয়রা।

;

টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে ডিএনসিসি: আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।

এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত E-Tracker, GIS-Based Online Micro Planning & Real-Time Reporting প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরো ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি কর্পোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে।

তিনি আরো বলেন, এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সকল শিশুদের তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচও'র টিমলিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ, এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলী রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগীতায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০১৮ হতে কর্মজীবি মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯ হাজার ৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯ হাজার ৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন। ডিএনসিসি ১ লাখ ২০ হাজার শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকারে ৮২ হাজার (৭০%) শিশু রেজিস্ট্রার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলি অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ৯৩৬টি জিরো ডোজ ও ১১ হাজার ১৭০টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৮১টি জিরো ডোজ ও ৮ হাজার ৫১১টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে।

 

;