খুলনায় বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা নগরীতে বাসের ধাক্কায় মো. সাকিল (১৭) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। নিহত সাকিল ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। রোববার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে খুলনার শিরোমনি বাদামতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিরোমনী বাদামতলা মোড়ে নিহত সাকিল সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে সাকিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাকিলের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।

খানজাহান আলী থানার এসআই শওকত আলী জানান, হানিফ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র সাকিল নিহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাসটি আটকের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

   

জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিলো যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিলো। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন।

তিনি আরো বলেন, আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পেরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারতো না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিলো ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশীর ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে এক সময় গ্রেফতারের করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে ফিরে পেয়েছিল। তারপর নির্বাচনে জয়ী হলেন। পরে অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।  

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।

;

ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উজ্জল মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার( ২মে) বিকালে কেল্লাবাড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক নয়ানখাল দোলাপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নিহত যুবক তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজার করার উদ্দেশ্য তারাগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের সামনে ছিটকে পড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকা তার উপর দিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে এবং আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা নদীর অসীম বালুচর যেন নতুন কৃষি বিপ্লবের আখড়া। এখানে প্রকৃতির কোলে উৎপন্ন হচ্ছে বাদামের সোনা, যা চাষিদের জীবনে নিয়ে আসছে সমৃদ্ধির নতুন সূর্যোদয়। এই চরের মাটি একসময় শুধুমাত্র বালুকাবেলায় পরিণত হতো। আর আজ বাদাম চাষের উর্বর ক্ষেত্র। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের এই চাষিদের হাত ধরে উঠে আসছে সেই ফসল, যা অর্থনীতিকে দিচ্ছে নতুন মাত্রা।

বাদাম চাষিরা এখন পদ্মার বালুচরকে বলছেন তাদের 'স্বপ্নের মাঠ'। প্রতিটি বাদামের গাছ যেন তাদের আশার অংকুর। প্রাকৃতিক বালু যেখানে অন্যান্য ফসল চাষে অনুপযুক্ত, সেখানে বাদাম চাষ করে কৃষকরা প্রমাণ করেছে, উপযুক্ত পদ্ধতি ও পরিকল্পনায় এই মাটি হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক।

চাষের নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে এসেছে কৃষি বিপ্লবের হাওয়া। চাষিরা এখন আর মৌসুমি বন্যার ভয়ে বিপর্যস্ত নন, বরং তারা জানেন কিভাবে প্রকৃতির সাথে মিতালি গড়ে তুলতে হয়। এই চাষ শুধু তাদের জীবনমান উন্নত করেছে এমন নয়, বরং এসেছে এক আত্মবিশ্বাস, যা তাদের করেছে আরো সংগ্রামী। পদ্মার চরে উঠছে বাদামের ফসল, আর চাষিদের মুখে ফুটছে প্রশান্তির হাসি। এই বাদাম চাষ আজ প্রমাণ করেছে, কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনায় পদ্মার বালুচর পরিণত হতে পারে সোনালী ফসলের খনি।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয় ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের শুধু বালু চরে বাদাম চাষ হচ্ছে। এ বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২.১৭ মে. টন। উপজেলার পদ্মার চরের বালুতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। পদ্মার চর এখন আর বালুকাময় নয়, পরিণত হয়েছে শস্যভূমিতে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানাজাতীয় শস্য।

সরেজমিনে পদ্মার চরের গোকুলপুর, পলাশি ফতেপুর, করারি নওশারা, কালিদাশখালি, চকরাজাপুর, দাদপুর ও টিকটিকিপাড়া এলাকায় অসংখ্য কৃষক বাদামের চাষ করেছেন। অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন । ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুনে ছাড়িয়ে যাবে।

পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষিরা জানান, বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবার পদ্মার চরে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন সদস্য ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেছেন। একই সাথে ফলন ভালো হওয়ায় চিনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রি-দানা জাতের বাদামের আবাদও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

;

কুয়াকাটার সমুদ্র তীরে দেখা মিলল ডলফিনের মৃত বাচ্চা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগর কন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের তীরে ফের দেখা মিলল ৪ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিনের একটি মৃত বাচ্চা। ডলফিনটির মাথা ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সদস্য আ: জলিল। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সৈকতে আরও একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।

ডলফিনের বাচ্চাটিকে দেখতে পাওয়া ট্যুর গাইডের সদস্য আ. জলিল বার্তা২৪.কমকে জানান, আমি আমার বাইক নিয়ে সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পট ঘুড়িয়ে থাকি। সকালে জোয়ারের পরে ঝাউবন যাওয়ার পথে ডলফিনটিকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর শরীরের উপরে চামড়া সম্পূর্ণ উঠানো। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তথ্যমতে, চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মত এবং এর আগে ২০২৩ সালে মৃত ১৫টি ডলফিন কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এসেছে।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বাচ্চাটির মাথার কাছে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণেই ওর মৃত্যু হতে পারে। কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে আমদের গবেষণা চলছে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হয়।

;