কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত। ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা দৌলতপুর ও সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এ পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদরাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দু’দল মাদক ব্যবসায়ী গুলি বিনিময় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ ৪ পুলিশ আহত হয়। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর ‘বন্দুকযুদ্ধের’ খবরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের নাম মদন (৪৫)। তিনি সীমান্ত সংলগ্ন জামাল গ্রামের রিফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং দৌলতপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৯শ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

   

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফুস বালা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতককে আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা কেশবা জুগিপাড়ার মৃত শুরেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।


প্রদক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সকালে গাছের ডাল কুড়ানোর সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময়ে দ্রুত গতিতে আসা মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের নভেম্বরে উদ্বোধন হলেও স্থায়ী জনবল নিয়োগসহ নানা জটিলতায় খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু করা যায়নি। কবে নাগাদ রেল চালু হবে সেটি নিয়েও ধোয়াশা কাটছিল না। ফলে খুলনা-মোংলা রুটে রেল চালুতে জট দেখা দেয়। তবে সমস্যার জটিলতা অবসান এবং আপাতত অস্থায়ী জনবল দিয়ে এ মাসেই খুলনা-মোংলা রুটে বাণিজ্যিকভাবে রেল চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা থেকে মোংলা রেলপথের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীর বল মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্নের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওেয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, মহা-ব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন, প্রধান যান্ত্রিক প্রজেক্ট (পশ্চিম) মুহাম্মদ কুতরত- ই- খুদা, প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পশ্চিম) মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী টেলিকম (পশ্চিম) সৈয়দ মো. শহিদুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীর বল মন্ডল ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।

রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, রেল লাইনে বিভিন্ন ধাপের ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি ছিল, সেটি সম্পন্ন করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ। বাণিজ্যিকভাবে রেল চালুর জন্য খুলনা-মোংলা রুট পুরোপুরি উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থায়ী জনবল নিয়োগের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় অস্থায়ী জনবল দিয়ে আপতত রেল চালানোর জন্য রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


এ বিষয়ে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। লাইন চালুতে দরকার প্রয়োজনীয় জনবল। এই রুটে আটটি স্টেশন ও লাইন ক্লিয়ারিংয়ে ৫৭৬ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম করা হয়েছে। সেটিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। তবে আপাতত অস্থায়ী জনবল নিয়োগ দিয়ে রেল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না করে এমাসের যেকোন দিন রেল চালুর বিষয়টি মাথায় রেখে স্টেশনের আসবাবপত্র, রেলস্টেশন ও রেলক্রসিংগুলোতে অস্থায়ী জনবল নিযুক্ত, রুটে চলাচলকারী রেলের সময়সূচি, ভাড়া ও শিডিউল চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে খুলনা-মোংলা রুটে এ মাসেই বাণিজ্যিকভাবে রেল চলানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের (পাকশী) বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ভারপ্রাপ্ত) বীর বল মন্ডল।

প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ পুরো প্রকল্পের ব্যয় তখন ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এরপর ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরপর ২০২১ সালে ফের সময় ও ব্যয় বাড়ে। তখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

অন্যদিকে, প্রকল্পের কাজ রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেলসেতু, ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার পথ হলেও স্টেশনগুলোর ডাবল লাইন হিসাব করে ৯১ কিলোমিটার রেলপথ, নয়টি প্ল্যাটফর্ম এবং ১০৭টি ছোট সেতু ও ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজও শেষ করা হয়।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১লা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর আগে ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানো হয়।

এদিকে, রেল চলাচল শুরু হলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ এবং ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে মালামাল নিতে পারবে। মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন বিকাশে আরো সহায়ক হবে এ রুট।

;

সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন মিল্টন: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের আধাঁরে মরদেহ দাফন করতেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। এমন কি তিনি নিজেই মৃত সনদে সিটি করপোরেশনের সিল মারতেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছি। ইতোমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রাতের আধাঁরে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাতের আধাঁরে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। সে নিজেই লিখে, সাইন করত। সিলসহ কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থানায় আছেন। দ্রুতই সেগুলো নথিভুক্ত হবে।

মিল্টনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকবো। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেফতার করবো।

;

‘আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, আমাদের পুলিশ সেটা অনুসরণ করতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করে করুক। সেখানে তো আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে এখন একটা বিষয় ভেবে দেখা যায়, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা এখন আমাদের পুলিশ অনুসরণ করতে পারে। আমাদের পুলিশ আমেরিকান পুলিশদের অনুসরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদের পিটিয়ে মেরেছে। তবে এখন মনে হয়, আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমনের ব্যবস্থাটা নিতে পারে’।

ফিলিস্তিনে যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯শ ছাত্র-ছাত্রী, প্রফেসর আটক হয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়! যেভাবে একজন প্রফেসরকে দাবড়ে ধরে মাটিতে ফেলে আটক করা হলো, হ্যান্ডকাফ পরানো হলো, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সেভাবে অত্যাচার করেছিল বিএনপির বাহিনী ও পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আবার আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়। এটাই সব থেকে দুর্ভাগ্যের!

বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি’ ঘুরে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাও আমার একটা প্রশ্ন, আমি সেটা করতে চাই। যারা অতি বাম, তারা নাকি অনেক প্রোগ্রেসিভ দল, গণমুখী দল! ঠিক আছে, আমাকে উৎপাত করবে! কিন্তু পরবর্তীতে কে আসবে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে! সেটাই তো আমার প্রশ্ন! কে আসবে ক্ষমতায়! কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়, এটা কিন্তু স্পষ্ট না।

স্পষ্ট নয়, বলেই তারা কিন্তু জনগণের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। তার বদৌলতে অনলাইনে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ করে যাচ্ছে’।

‘আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচন করেছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন যদি কেউ ভালো করে তুলনা করে, তাহলে দেখবে যে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচন হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি আমরা’!

;