বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হচ্ছে কুষ্টিয়া শহর বাইপাস



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হচ্ছে কুষ্টিয়া শহর বাইপাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হচ্ছে কুষ্টিয়া শহর বাইপাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কুষ্টিয়া শহর। কুষ্টিয়া শহরকে নিরাপদ রাখতেই ব্যস্ততম সড়কের বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এটি কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল।

জেলা সদরে বাইপাস সড়ক না থাকায় সব যানবাহনই মজমপুর গেটের উপর দিয়ে চলাচল করছে। এর ফলে শহরে প্রায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটছে অনেক প্রাণহানির ঘটনা।

মজমপুর রেলগেটে ট্রেন চলাচলের সময় গেট বন্ধ থাকলে যানজট চরম আকার ধারণ করে। শহরতলী বটতৈল মোড় থেকে শুরু হয়েছে বিসিক শিল্পনগরী, বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড, সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বিএটিবির কারখানা, চৌড়হাস মোড় ও বাজার, মুকুল সংঘ স্কুল, প্রতীতি বিদ্যালয়, স্টেডিয়াম কাস্টমস মোড়, বিআরবি হাসপাতাল, উপজেলা মোড়, এলজিইডি অফিস, ডিসি কোর্ট, সাদ্দাম বাজার মোড়, সার্কিট হাউজ, জেলা স্কুলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

এছাড়াও ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-রাজশাহী একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক। যা কুষ্টিয়া শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। এ মহাসড়কে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। মংলা বন্দর চালু হওয়ার পর থেকে আরও বেশি চাপ বাড়ে এ সড়কে। যার ফলে শহরে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গেল বছরে শতাধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।

এছাড়া মজমপুর রেলগেটে ট্রেন চলাচলের সময় গেট বন্ধ থাকায় যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবুও কোনো সঠিক পথ পায়নি শহরবাসী।

বিএনপি সরকারের আমলে বটতৈল এলাকায় এই বাইপাস সড়কের উদ্বোধন করা হয়। তারপরও হয়নি কিছু কাজ। তবে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে মনিকো লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আগামী ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বাইপাস সড়কের উদ্বোধন করবেন।

বাইপাসটি খুলে দেয়া হলে এ অঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা হবে। সাড়ে ২২ লাখ মানুষের স্বপ্নের বাইপাস সড়ক দিয়ে এ মাস থেকে গাড়ি চলবে জেনে আনন্দিত জেলাবাসী।

সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে। দুই প্রান্তে সড়ক বর্ধিতকরণ ছাড়াও গোল চত্বর নির্মাণের কাজও শেষ।

এতে ছোট বড় মিলিয়ে ২৩ সেতু ও কালভার্ট এবং একটি রেল ওভারপাস রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ সড়টি নির্মাণের ফলে এলাকার চেহারা বদলে গেছে। সড়কের দুই পাসে গড়ে উঠছে নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান। এ সড়ক ঘিরে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ সড়কে অনেকেই বিকেলে ঘুরতে আসে। সড়কের পাশে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, বাইপাস সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এখন শুধু খুলে দেয়ার অপেক্ষা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করবেন। সড়কটি খুলে দেওয়া হলে শহরে গাড়ির চাপ যেমন কমবে, তেমনি কমে যাবে দুর্ঘটনা। সড়কের দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন করতে গাছও লাগানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৫ সাল থেকে বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় তা আটকে যায়। পরে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ফের শুরু হয় অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। নানা অনিশ্চয়তার পর শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় প্রকল্পটি। এরপর দ্রুতগতিতে বাইপাস সড়ক নির্মাণকাজ এগিয়ে যায়। প্রকল্পের ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্তের ডাবল লেন বিশিষ্ট প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাইপাস সড়ক, একটি পিসি গার্ডার সেতু ও ২১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে, সড়কটি চালু হলে জেলার আর্থ-সামাজিক চিত্র বদলে যাবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা কুষ্টিয়া। উর্বর কৃষিজমি এ জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলেও গত তিন দশকে এখানে গড়ে উঠেছে নানামুখী শিল্প। তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে জেলাটি দীর্ঘদিন পিছিয়ে ছিল।

বিশেষ করে শহরের উপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কটি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। কারণ সড়কটিতে যানজট ও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ছিল নিত্য ঘটনা। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই জেলাবাসীর দাবি ছিল, একটি শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণের। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই বাস্তবায়িত হয়েছে শহর বাইপাস সড়ক।

কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুল আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের মহাসড়কটি কুষ্টিয়া শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় এখানে নানামুখী বিড়ম্বনা ও যানজট ছিল নিত্য ঘটনা। তাছাড়া দুর্ঘটনায় প্রাণহানির চিত্রও ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে বাইপাস সড়কটি খুলে দেয়া হলে সব বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, কুষ্টিয়া শহর বাইপাস বহু আগেই নির্মাণের প্রয়োজন ছিল। এখন এ সড়কটি বাস্তবায়নে জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এই বাইপাস সড়ক নির্মাণের ফলে কুষ্টিয়া শহরের উপর চাপ কমবে।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচিত হবে। পরিবর্তন আসবে এখানকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন হবে। সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের সঙ্গে কুষ্টিয়ার যোগাযোগের নতুন মাত্রা তৈরি হবে।

   

কুয়াকাটার সমুদ্র তীরে দেখা মিলল ডলফিনের মৃত বাচ্চা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগর কন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের তীরে ফের দেখা মিলল ৪ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিনের একটি মৃত বাচ্চা। ডলফিনটির মাথা ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সদস্য আ: জলিল। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সৈকতে আরও একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।

ডলফিনের বাচ্চাটিকে দেখতে পাওয়া ট্যুর গাইডের সদস্য আ. জলিল বার্তা২৪.কমকে জানান, আমি আমার বাইক নিয়ে সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পট ঘুড়িয়ে থাকি। সকালে জোয়ারের পরে ঝাউবন যাওয়ার পথে ডলফিনটিকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর শরীরের উপরে চামড়া সম্পূর্ণ উঠানো। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তথ্যমতে, চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মত এবং এর আগে ২০২৩ সালে মৃত ১৫টি ডলফিন কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এসেছে।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বাচ্চাটির মাথার কাছে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণেই ওর মৃত্যু হতে পারে। কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে আমদের গবেষণা চলছে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হয়।

;

কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ডিএসসিসি'র অনাপত্তিপত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে প্রথম অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচরের অধিবাসী মো. নেয়ামতুল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করপোরেশন থেকে এই অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নগর ভবনের মেয়রের দপ্তরে আবেদনকারী মো. নেয়ামতুল্লাহর কাছে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়ে হাফেজ্জী হুজুরের দৌহিত্র জনৈক মো. নেয়ামতুলাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর আবেদন করেন, যা গত ২৮ এপ্রিল ডিএসসিসি মেয়রের দপ্তরে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ডিএসসিসি মেয়রের নির্দেশে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তারা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করেন। সবশেষে, করপোরেশনের মেয়র বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদনকারীকে অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।অনাপত্তিপত্র হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

নেত্রকোণায় হিট স্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোণা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোণার মদনে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে আব্দুস সাত্তার (৭২) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দেওয়ান বাজারে কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে মদন বাজার মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে অটোরিকশার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুস সাত্তার উপজেলার পরশখিলা ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস সাত্তার উপজেলার দেওয়ান বাজার সাপ্তাহিক হাটে পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য আসেন। কেনাকাটা শেষে অটোরিকশা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে মদন বাজার মুক্তিযোদ্ধা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় আসার পর প্রচণ্ড তাপদাহে জ্ঞান হারিয়ে অটো রিকশা থেকে পড়ে যান।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুস সাত্তারের ভাতিজা স্কুল শিক্ষক মোঃ ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমার চাচা সকালে বাড়ি থেকে দেওয়ান বাজারে পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে বাজারে যান। বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন।

;

চুরির টাকায় বান্ধবীকে ফোন উপহার অতঃপর বিপুল স্বর্ণসহ গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ওয়ারি থানার অভয়দাস লেন এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিদেশি ডলার চুরি করেন চোর মোবারক ওরফে মগা ও তার সহযোগীরা। এরপর সেগুলো বিক্রি করেন পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে। আর স্বর্ণ বিক্রির টাকায় মোবারক তার বান্ধবীকে কিনে দেন দামি মোবাইল, বন্ধুদের নিয়ে যান কক্সবাজারে। সেখানে মাদকের ধোঁয়ায় ওড়ান সেই টাকা।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি একে একে গ্রেফতার করা হয় চোর চক্রের চার সদস্য ও চোরাই স্বর্ণকেনা ব্যবসায়ীকে। এছাড়াও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিবি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিঁদেল চুরির ঘটনা তদন্তের অভিযানে ৬১ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা করা হয়। ডিএমপির ১০টি বিভাগ তাদের বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেফতার করে।

ওয়ারি ও রমনার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোবারক ওরফে মগা (১৯), রাকিব মিয়া (১৮), শেখ ফরিদ, মো. ডালিম (৩৬) ও সাদ্দাম হোসেন বনি (৩৪)। অপর এক অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো- গিয়াস উদ্দিন (৩৫)।


বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, রাজধানীর ওয়ারি থানার অভয়দাস লেন এলাকার একটি বাড়ির বেড রুমের গ্রিল কেটে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরির ঘটনায় একটি মামলার তদন্তে নেমে চোর চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী মোবারক ওরফে মগাকে (১৯) কে বাগেরহাট জেলার মংলা থানার পশুর নদী এলাকা থেকে চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রির ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাকিব মিয়া (১৮) কে নেত্রকোনা ৪০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।

আদালতে আসামিরা জানায়, হেস্কো ব্লেড দিয়ে বাসার বেডরুমের পিছনের গ্রীল কেটে প্রবেশ করেন। এরপর বাসার আলমারিতে থাকা স্বর্ণলংকার ও ডলার চুরি করে। চোরাই স্বর্ণ মোবারক ওরফে মগা ও রাকিব পুরান ঢাকার তাতি বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদের কাছে নগদ পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এই টাকা দিয়ে মো. মোবারক ওরফে মগা ও রাকিব তাদের ৮ বন্ধুকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যায়। সেখানে মাদক গ্রহণ করে। এছাড়া মোবারক তার প্রেমিকাকে একটি মোবাইল ফোন গিফট করে।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আর বলেন, তাতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ ব্যাবসার আড়ালে চোরাই স্বর্ণ কেনা-বেচার করে আসছিলেন। গ্রেফতার ফরিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ডিবি পুলিশকে জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকায় তার বাসায় গলিত ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণের পাত রয়েছে। পরে সেটি উদ্ধার করা হয়। একই মামলা তদন্তে নেমে মো. ডালিম (৩৬) ও সাদ্দাম হোসেন বনি (৩৪) আরও দুইজন পেশাদার চোরকে চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ গ্রেফতার কার হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।

অপর দিকে ধানমন্ডি থানার ১১ নম্বর রোড এলাকায় একইভাবে বন্ধ বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে বেড রুমের জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। বাসার আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে ৪১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৩৭ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার তদন্তে নামে ডিবির রমনা বিভাগ। তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার চরপলাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে গিয়াসের বাড়িতে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ৪১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চোরাই কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

;