সড়কপথের যাত্রীরা শঙ্কা নিয়ে আকাশপথে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে বাসের টিকিট কেটেছিলেন রওনক জাহান। পরিবহণ ধর্মঘটে রোববার সকালে বাস ছাড়েনি। টিকিট ফেরত দিয়ে ইউএস বাংলার বিকাল ৫টার ফ্লাইটের জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
রাজশাহী থেকে বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন হাসান। তিনি সৌদি আরব যাবেন সোমবার। সড়কপথে আসার কথা ছিলো। ধর্মঘটের কারণে একদিন আগেই বিমানে ঢাকায় এসে গেছেন।
রোববার (২৮ অক্টোবর) দিনভর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যেসব যাত্রী আসা যাওয়া করেছেন তাদের একটা বড় অংশ পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে সড়কপথের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে। রাস্তায় বাস না চলায় অনেকের স্বজনরা বিমানবন্দরে আসার কথা থাকলেও পারেননি।
তবে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে কোনো যাত্রী পৌঁছতে দেরি হচ্ছে না এবং ধর্মঘটের কারণে ফ্লাইট মিস করেছেন এমন যাত্রী নেই বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের কাউন্টারে দায়িত্বরতরা।
অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বিকালে চট্টগ্রাম পৌঁছতে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা বসে আছেন। আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে গাড়ির জটলা। এসব গাড়ি রিজার্ভ ও রাইড শেয়ারিংয়ে চলছে।
গাড়ি চালক বাবুল মিয়া জানান, বিমানবন্দরসহ ঢাকার ভেতরে চলতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে টঙ্গিতে গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। যে কারণে ঐদিকে কেউ যেতে চাইলেও তিনি যাবেন না। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও সমানতালে ধর্মঘট চলায় চালকরা ঢাকার বাইরে যেতে চাইছেন না বলে জানান তিনি।
সড়ক পরিবহণ আইনে জামিন অযোগ্য ধারা বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ রোববার সকাল থেকে চলছে। এ কারণে রাজধানীর চারটি বাস টার্মিনাল থেকে দেশের কোথাও বাস যাচ্ছে না।