ইসির কাছে নিবন্ধন দাবি ইনসানিয়াত বিপ্লবের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলন করে ইসির কাছে নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলন করে ইসির কাছে নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছে মানবতাভিত্তিক নতুন রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।

শনিবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় দলটি।

দলের নেতারাদের অভিযোগ, সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ইসি কোনো কারণ ছাড়াই তাদের নিবন্ধন দিচ্ছে না।

ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য রাখের দলের মহাসচিব শেখ রায়হান রাহবার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী এবং অধ্যাপক ড. এহসানুল হাদি।

ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত দেশ ও মানবতার স্বার্থে ইনসানিয়াত বিপ্লবের নিবন্ধন দেওয়ার আবেদন জানান।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দর্শনে নতুন ধ্যানধারণা রুদ্ধ হলে জীবনের গতিশীলতা ও মানবতার বিকাশ রূদ্ধ হয়, জনসমর্থন ও কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও সক্রিয় রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিলে জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ইনসানিয়াত বিপ্লবের নিবন্ধনের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে দলের মহাসচিব শেখ রায়হান রাহবার বলেন, ইনসানিয়াত বিপ্লব যেকোনো ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরোধী। একইভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদকে মানবতাবিরোধী বলে মনে করেন তারা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে মানবতার পক্ষে একটি গৌরবময় সংগ্রাম বলে আমরা মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা মানবতার পক্ষে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন।

শেখ রায়হান রাহবার জানান, দলটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

   

সিলেটে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে সিলেটের চারটি উপজেলায় শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন চারটি উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সিলেটের চারটি উপজেলায় বিজয়ী যারা-

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম। উড়োজাহাজ প্রতীকে তিনি ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক ওলিউর রহমান। তিনি টিয়া পাখি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮টি।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. হাসিনা আক্তার। ফুটবল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দিলরুবা বেগম। পদ্মফুল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮১ ভোট।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো.মাহবুবুর রহমান। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের ফয়েজ আহমদ ১৮ হাজার ৯০ ভোট পেয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি। তিনি পদ্মফুল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ২৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের মোছা. ফহিমা বেগম পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮২০ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম।

তিনি দোয়াত কলমে প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. নাবেদ হোসেন। তিনি চশমা প্রতীকে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সেলিনা আক্তার শীলা। তিনি ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ইসলাম উদ্দিন বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।

নারী ভাইস চেয়াম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের মোছা. করিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোছা.জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

;

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে জয়ী হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু, মিরসরাইয়ে এনায়েত হোসেন নয়ন ও এস এম আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এর আগে সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।

সীতাকুণ্ড:

সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯২টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু দোয়াত-কলম প্রতীকে ১১ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ) পদে মো. গোলাম মহিউদ্দিন উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫৮ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী। টিউবওয়েল প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জালাল আহমেদ পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩০ ভোট।

৫৪ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে শাহীনুর আক্তার বিউটি বিজয়ী হয়েছেন। হাঁস প্রতীকে ৮ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন শামীমা আক্তার লাভলী।

মিরসরাই:

এদিকে মিরসরাই উপজেলায় ১১৩টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে এনায়েত হোসেন নয়ন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭০ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ২০ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সাইফুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়া প্রতীকের মোহাম্মদ সেলিম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৩৭ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে ফুটবল প্রতীকের উম্মে কুলসুম কলি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসমত আরা কলস প্রতীকে ২০ হাজার ৫৭৭ ভোট।

সন্দ্বীপ:

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে মোট ৮৫ টি ভোট কেন্দ্রে এস এম আনোয়ার হোসেন আনারস প্রতীকে ৪১৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩১ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে হালিমা বেগম শান্তা ফুটবল প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাহিদ তানমি লিজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৮। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওমর ফারুক নির্বাচিত হয়েছেন।

;

উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে দুইজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। 

বুধবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন ঘোষণা করেন চূড়ান্ত ফলাফল।

ফলাফল অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৬ ভোট। ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর আপন ভাতিজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেমের কাছে পরাজিত হন তিনি। ব্যরিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেমের প্রাপ্ত ভোট ২৭ হাজার ৩৯৪। বেসরকারিভাবে কুতবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। নির্বাচনের তিন দিন আগে এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অপরদিকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান পরাজিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারের কাছে। ৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ৮২টি কেন্দ্রে মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছার পান ৩৪ হাজার ৯৭৪ ভোট  এবং আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মুজিবুর রহমান পান ২৬ হাজার ৫৫ ভোট।

পরাজিত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেনে দায়িত্ব পালন করছেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এছাড়াও কক্সবাজার সদর উপজেলায় বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রশিদ মিয়া এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যাপক রোমেনা আক্তার। আর কুতুবদিয়া উপজেলায় বেসরকারি ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আকবর খান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাসিনা আকতার।

অপরদিকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াতকলম প্রতীকে ৩৮ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জয়নাল আবেদীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাবিব উল্লাহ টুপি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭১৫ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু ছালেহ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা কাজল। 

এ তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৯৬ জন৷ যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮শ ৬৮ জন। মহেশখালী উপজেলায় ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৯৭ হাজার ১৭০ জন ভোটার। এ তিন উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ২০৪ টি; যার মধ্যে সদরে ৮২ টি, মহেশখালীতে ৮১ টি এবং কুতুবদিয়ায় ৩৭ টি কেন্দ্র।

;

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের জয়জয়কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় ৩ টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়জয়কার।

বুধবার (৮ মে) রাত ৮ টার পর থেকে রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ গুলোর কন্ট্রোল রুম থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে রামগড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, লক্ষ্মীছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাথোয়াইঅং মারমা বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, মাটিরাঙ্গায় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। খাগড়াছড়ির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন।  

;