পাল্টে গেছে আউশ ধানের উৎপাদন ধারণা



মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাল্টে গেছে আউশ ধানের উৎপাদন ধারণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাল্টে গেছে আউশ ধানের উৎপাদন ধারণা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময় বোনা আউশ ধানের ফলন ছিল বিঘায় ২-৩ মণ। জাত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এখন সেই ফলন গিয়ে দাঁড়িয়েছে বিঘায় প্রায় বিশ মণ। এসব সম্ভব হয়েছে আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশেষ গুরুত্বের কারণে।

মেহেরপুর জেলায় গেল এক বছরে আমন ও বোরো ধান উৎপাদনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আউশ ধান উৎপাদন বেড়েছে। যা মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৩০ ভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রধান খাদ্য ভাতের বেশিরভাগ চাহিদা পূরণ করে আমন ও বোরো মৌসুমের ধান। এ দুই মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ই হচ্ছে আউশ মৌসুম। এক সময় স্থানীয় নানা জাতের ধান আবাদ হয়েছে আউশে। ভালো ফলন না থাকায় চাষিরা আউশ ধানের পরিচর্যাও করত না। প্রাকৃতিকভাবে যা পাওয়া যেত তাই দিয়ে আমন ধান ওঠার আগে চাষি পরিবারে খাদ্যের চাহিদা কিছুটা মিটত। নতুবা বেশিরভাগ জমি পতিত অবস্থায় থাকত।

কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয় সারা দেশে আউশ ধান চাষে প্রণোদনা দেয়া শুরু করে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা ব্রি ধান ৪৮ নামের একটি জাত উদ্ভাবন করেন। যা চাষিদের কাছে এখন ব্যাপক জনপ্রিয় একটি জাত। এরপর ব্রি ও বিনা বেশ কয়েকটি জাত উদ্ভাবন করেছে। যা দিয়ে এখন আউশ মৌসুমে চাষিদের সুবিধা মতো ধান আবাদ হচ্ছে।

এসব জাত উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের ফলে আউশ ধান আবাদের পুরাতন ধ্যান ধারণাই পাল্টে গেছে। আমন ও বোরো মৌসুমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে আউশ ধান আবাদ। ফলে কম খরচে ধান উৎপাদন ও পতিত জমিতে আবাদ হওয়ায় চাষিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গেল ৫ বছরে আউশ ধান আবাদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে জেলায় ৮ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয় ২৬ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন। এই পাঁচ বছরে যেমন আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন বেড়েছে উৎপাদন। চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে ৫৭ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। গত বোরো মৌমুমে ২৩ হাজার ২৫০ হেক্টর ও চলতি আমন মৌসুমে ২৪ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রধান দুই ধানের মৌসুমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে আউশ ধানের আবাদ।

আউশ আবাদ বৃদ্ধির বিষয়ে চাষিরা জানায়, রবি মৌসুম শেষে অর্থাৎ গম, মসুর এবং শীতকালীন সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল তোলার পর আমন ধান আবাদের সময় পর্যন্ত প্রায় চার মাস অনেক জমি পতিত থাকে। সেই জমিতে চাষিরা এখন আউশ ধান আবাদ করছে। এছাড়াও স্বল্প জীবনকালীন আধুনিক ধান জাতের কারণে বোরো ধান কাটার পর আমন ধান লাগানোর সময় পর্যন্ত আউশ ধান আবাদ হয়ে যাচ্ছে। এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে সেচ খরচ তেমন লাগে না। চাষের অন্যান্য খরচও অপেক্ষাকৃত কম। তাই আউশ ধান আবাদে চাষিরা বিশেষ লাভবান হচ্ছে।

এদিকে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও দর কম থাকায় চাষিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। নতুন আউশ ধান বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ৫শ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ টাকা দরে। তবে ধানের সঙ্গে চালের দাম সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধান উৎপাদন ধরে রাখার স্বার্থে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি চাষিদের।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, সরকারিভাবে বীজ ও সার সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদনমূলক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সরকারি প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের সম্মিলিত প্রয়াসে এবার মেহেরপুর জেলাতে আউশের লক্ষ্যমাত্রা অপেক্ষা ১ হাজার ৫শ হেক্টর বেশি জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। কোনো রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে।

আউশ ধান আবাদের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি আরও জানান, দেশে সবচেয়ে বেশি ধানের উৎপাদন হয় বোরো মৌসুমে। কিন্তু বোরো ধানে সেচসহ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। বোরো মৌসুমে এক কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার পানির ব্যবহার হয়। তাই পানির উপরে ক্রমাগত চাপ কমানোর জন্য আউশ এবং আমন ধানের চাষ বৃদ্ধির জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

   

১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষে ১৪১টি উপজেলায় আগামী ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ
৮ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু

পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাফর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত দুই শিশু হলো- দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জাফর আলম বলেন, রোববার (৫ মে) রাতে দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে।

সোমবার সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় গর্তে জমে থাকা পানিতে স্থানীয় ছয় থেকে সাতজন শিশু গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে চার শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়।

এসময় অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

সুন্দরবনের আগুন পর্যবেক্ষণে থাকবে আরও কয়েকদিন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনের আগুন শতভাগ নিভে যায়নি, তবে নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুন্দরবন আরও কয়েকদিন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

সোমবার (৬ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুন্দরবনের আগুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়েছে।

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সুন্দরবনে যে আগুন লেগেছিল, সেই আগুনের সবশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেকোনো লতাপাতায় সুপ্ত থাকে আগুন আবার জ্বলে ওঠে। তাই খুব ক্লোজ মনিটরিং হচ্ছে আগামী ৭ দিন এমন পর্যবেক্ষণে থাকবে। তারপর পরিস্থিতির আলোকে সিদ্ধান্ত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায়‌ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

;

পুলিশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ

ফুটপাত দখলমুক্ত করে বৃক্ষরোপণ

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় বারবার বেদখল হওয়া ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে পুলিশ। ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ করে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। 

‘দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাটি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এদিন প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে নিম, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সুশৃঙ্খলভাবে দখলমুক্ত ফুটপাতে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচলের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি মো. সারোয়ার আলম, ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ।

ঢাকা জেলা এসপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক আগেই সাভার, আশুলিয়ার মহাসড়কের পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। কিন্তু তারপরেও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় প্রায়ই ফুটপাত দখল করে বাজার বসানো হত। বিভিন্ন হকাররা ব্যবসা করত। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে অভিনব কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। বৃক্ষরোপণ করতে সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করে গাছ রোপণ করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে অন্যান্য স্থানেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে। যেন অবৈধ দখলদারেরা আর ফুটপাত দখল করতে না পারে।

প্রধান অতিথি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে রেখেছিলেন। অনেকে নাকি এখান থেকে ভাড়াও তুলতেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছি কে ভাড়া তোলে? কেউ আমার কাছে কখনও স্বীকার করেননি। আমি জানি এই ফুটপাতে চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ পথচারীরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। এখন আর এমন হওয়ার সুযোগ নেই। এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুলিশের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বৃক্ষরোপণের এমন আয়োজনে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারীসহ সাধারণ জনগণ।

পথচারী পোশাক শ্রমিক আয়শা আক্তার বলেন, আগে এখান দিয়ে যাওয়া-আসার সময় আর ভিড় লেগেই থাকত। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গেলে নারীদের শরীরে হাত দেয়ার ঘটনাও ঘটত। চুরির ঘটনাও ঘটত। এখন আমরা অনেক খুশি। নিরাপদে চলাচল করতে পারব। এমপি সাইফুল ইসলাম সহ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

;