টাকার অভাবে ঢাবিতে ভর্তি হতে পারছে না নাজমুল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪,কম
মেধাবী নাজমুল।

মেধাবী নাজমুল।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী নাজমুল হুসাইন।

মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট গ্রামের ভূমিহীন কৃষক আব্দুল আজিজের ছেলে নাজমুল। উপজেলার হালসা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলায় ৩টি কলেজ থেকে মাত্র ৩জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার অনন্য কৃতিত্ব দেখায়। এদের মধ্যে দুজন বিজ্ঞান বিভাগের অন্যজন মানবিক বিভাগের। কাকতালীয়ভাবে ওই ৩ কৃতি শিক্ষার্থীই দরিদ্র পরিবারের।

নাজমুল এই কলেজ থেকে একমাত্র জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৬০।

মেধাবী নাজমুল হুসাইন জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'খ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পর সুযোগ পেয়েছি। আগামী ২১ অক্টোবর মৌখিক পরীক্ষা আছে। আমি আশা করি মৌখিক পরীক্ষাতেও ভালো করবো। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য যে টাকা দরকার তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় নাজমুল। তার ছোট বোন অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

শৈশব থেকে পরিবারের দারিদ্রতা দেখে বড় নাজমুল। ফলে টিউশনির পাশাপাশি মাঠের কাজ করে নিজেই পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের খরচও বহন করেছে এই  মেধাবী।

নাজমুলের সাফল্যগাথা নিয়ে হালসা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক জুমারত আলী বার্তা ২৪.কমকে বলে, নাজমুল আমাদের কলেজের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। নাজমুল দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা একজন কৃষক। সে নিজেই দিনমজুর হয়েও পড়ালেখা চালিয়েছে। আমরা কলেজ থেকে তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়েছে। এটা আমাদেরও গর্বের বিষয়। সবাই যদি একটু সহযোগিতা করে হয়ত সে অনেক দুরে যাবে।

এদিকে এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেও নাজমুল দেখে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন।

নাজমুল জানায়, পড়ালেখা শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবো। কারণ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা (বিসিএস ক্যাডার) দেশের প্রথম শ্রেণির মানুষ। আমি নিজে সেই মানুষ হয়ে অন্য মানুষের উপকারে এগিয়ে আসবো। এছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে না পারলেও ভবিষ্যতে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিজেকে জড়াতে চান তিনি। কারণ তারা (শিক্ষকরা) মানুষ গড়ার কারিগর। 

তবে নাজমুল জানে না তার এসব স্বপ্ন পূরণ হবে নাকি-স্বপ্নই থেকে যাবে।

নাজমুল বলে, চান্স পেয়েছি, এখন কিভাবে ভর্তি হবো বুঝতে পারছি না। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।  

   

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

চট্টগ্রামে কাপড়ের রং দিয়ে তৈরি হতো আইসক্রিম

  • Font increase
  • Font Decrease

পানির সাথে ক্ষতিকর রং চিনির মিশ্রণে চলছিলো আইসক্রিম তৈরি। এরপর ব্রান্ডের মোড়ক লাগিয়ে চলে যাচ্ছিল স্থানীয় বাজারে। চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও মোহরা এলাকায় এরকম একটি আইসক্রিম কারখানার সন্ধান পায় নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর। যেখানে আইসক্রিম তৈরি করতে খাবারের রঙের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছিল ক্ষতিকর কাপড়ের রং।

রোববার (৫ মে) সকাল থেকে চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সোবহান।

এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরি করায় স্থানীয় নেয়ামত শাহ আইসক্রিম কারখানাটিকে সতর্ক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একটি অভিযানে আইসক্রিম তৈরিতে পরিচ্ছন্নতা বিধি অনুসরণ না করায় নেজার ফুড বেভারেজ নামের আরও একটি আইসক্রিম কারখানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের সহকারী উপ পরিচালক আবদুর সোবাহান। আইসক্রিম তৈরিতে ক্ষতিকর এই সব রং ব্যবহার না থামালে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতি বলছেন ভোক্তা নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

 

;

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

;

হাওরে ৭০, অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি উৎপাদন সহায়তার জন্য সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের মাঝে সহজ ও কম মূল্যে বিতরণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ফলে ধান কর্তন সময়ে হাওর এলাকায় শ্রমিকের যে সংকট তৈরি হয় তার অবসান ঘটবে। কৃষকগণ স্বল্পতম সময়ে তাদের গোলায় ফসল তুলতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা’ নামে একটি খাত রয়েছে। এ খাত হতে মূলতঃ দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা কর্মসূচিও পরিচালনা করা হয়। পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কৃষকদের সার্বিক কল্যাণ এবং বিভিন্ন ফসল চাষে তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি অর্থবছরেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্যমাত্রাও বৃদ্ধি করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মহাসড়কে মিনিট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. পেঁচু মিয়া (৬০) আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন- আবুল কালাম (৪৫) ও আলিফ (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মিনিট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. পেঁচু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত ব্যক্তির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনিট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

;