পানি থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামে ‘প্লাস্টিক কোটিং’ সড়ক



Milita Baroi
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: বৃষ্টি, জোয়ার বা বন্যার পানির ক্ষতি থেকে বাঁচাতে কার্পেটিং সড়ককে ‘প্লাস্টিক কোটিং সড়ক’ হিসেবে তৈরি করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের কাঁচামাল বিটুমিনের সঙ্গে বর্জ্য পলিথিনের চূর্ণ পাথরের খোয়া ভালো করে মিশিয়ে বিশেষ ভাবে এই সড়ক তৈরি করা হবে। এতে বিদ্যমান সড়কের চেয়ে বেশি টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব হবে এবং কার্পেটিং সড়কের নির্মাণের চেয়ে দশ শতাংশ খরচ কম হবে।

ভারতের বন্যাপ্রবণ বিভিন্ন প্রদেশে অনেক আগেই নতুন প্রযুক্তির এই সড়ক নির্মিত হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার সল্টগোলায় এই ধরনের একটি সড়ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। সেটি নির্মিত হলে এটি হবে এই প্রযুক্তিতে নির্মিত দেশের প্রথম সড়ক।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে ‘সড়ক নির্মাণ ও মান নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক প্রকৌশলীদের এক সেমিনারে নতুন প্রস্তাবটি দেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ উপাচার্য প্রকৌশলী আলী আশরাফ। পরে লিখিতভাবে সড়কটি নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেন তিনি।

এ প্রযুক্তি সম্পর্কে আলী আশরাফ জানান, ফেলে দেয়া ব্যবহৃত পলিথিন ব্যাগকে সংগ্রহ করে মেশিনে কুচি করে কেটে তাপের মধ্যে পাথরের খোয়ার সঙ্গে মেশানো হবে। এতে পাথরগুলো পলিকোটেড বা গলানো পলিথিনে আবৃত হয়ে যাবে। আর এই পলিকোটেড পাথরগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান পদ্ধতিতে বিটুমিন মিশিয়ে সড়ক কার্পেটিং করা হবে।

তিনি জানান, বিটুমিনের প্রধান শত্রু হচ্ছে পানি। কার্পেটিং সড়ক পানিতে ডুবে থাকলে বিটুমিন থেকে পাথর পৃথক হয়ে যায়, এতে সড়ক টিকে না। কিন্তু এই প্রযুক্তিতে পলি কোটিং থাকায় পাথরের ভেতর পানি ঢোকার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে পানির মধ্যেও এটি পৃথক হয় না, টেকসই থাকে।

ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অনেক আগেই ভারত বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই ধরনের সড়ক নির্মিত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে জামশেদপুর সিটিতে। টাটা কোম্পানির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জামশেদপুর ইউটিলিটি ও সার্ভিস কোম্পানি এই প্রযুক্তির সড়ক নির্মাণে সফলতা দেখিয়েছে। ফেলনা প্লাস্টিকের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের মূল আবিষ্কারক রাজগোপাল বাসুদেব। তিনি দক্ষিণ ভারতের এক প্রকৌশল কলেজের রসায়নের অধ্যাপক। রাজগোপাল বাসুদেব কিন্তু তার এই আবিষ্কার বিনা খরচেই অন্যদেরকে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছেন। একটা ডাচ প্রতিষ্ঠান তার মৌলিক চিন্তাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

ভারতে নির্মিত সড়ক পাঁচ বছরের বেশি টেকসই হয়েছে। সেখানে শুধু পলিথিন নয়, ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল, পলিব্যাগ, চিপসের প্যাকেট ও বিস্কুটের প্যাকেট দিয়েও এই প্রযুক্তির সড়ক নির্মাণে সফলতা এসেছে। এতে ১৫ শতাংশ খরচ সাশ্রয় হয়েছে।

সেই বিষয় মাথায় রেখেই চট্টগ্রাম সাদার্ন ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী অনেক আগেই ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করে সফল হয়েছে। এটি বাস্তবে প্রয়োগ চায় তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/29/1538208951325.jpg

গবেষক দলনেতা প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন,‘আমরা বিনামূল্যে নিজের গাড়ির তেল জ্বালিয়ে কনসালটেন্সি করব। বন্যা, বৃষ্টি বা জোয়ারপ্রবণ পাশাপাশি দুটি সড়কের একটিতে কার্পেটিং অন্যটিতে প্লাস্টিক কোটেড কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করে আমরা বিষয়টি প্রমাণ করতে চাই। কার্পেটিং সড়ক প্রতিবছরই মেরামত করতে হয়। কিন্তু এই সড়কটি একনাগাড়ে পাঁচ বছর কোনো মেরামত ছাড়াই চলবে।

তিনি বলেন,‘প্রস্তাবের পর আমরা ইতোমধ্যে ল্যাব টেস্টে ‘ডাবল সিওর’ করে নিশ্চিত হয়েছি। এখন রন্ধন প্রণালি বা কীভাবে সড়কটি নির্মাণ করব তা চূড়ান্ত করছি। আমাদের প্রস্তাবের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে আগ্রহ রয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নগরীর সল্টগোলা থেকে কাঠগড় পর্যন্ত প্রধান সড়কটিকে এই প্রযুক্তির সড়ক হিসেবে নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। আমরা তাদের প্রস্তাবের কারিগরি, পদ্ধতিগত ও টেকসই দিকগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে শিগগিরই বসব। সেসব বিষয়ে সন্তুষ্ট হলেই কেবল বাস্তবায়নে অগ্রসর হব। ছোট্ট পরিসরে শুরু করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে চাই। সেটা প্রথম চট্টগ্রাম থেকেই শুরু করতে চাই।’

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম সিটির বন্যা প্রবণ অনেক সড়ক এভাবে নির্মাণ করা গেলে প্রচুর অর্থের সাশ্রয় হবে।

চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আলী আশরাফ জানান, ব্যবহৃত পলিথিন ১০০ বছরেও কোনো ক্ষয় হয় না। আর সেগুলো নালা-নর্দমা, খাল-বিল, নদীকে ভরাট করে ফেলছে। কোনো ভাবেই এগুলোর বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না। সেগুলোকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করা গেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর টাকা দিয়ে কেনার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পলিথিনগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে। আর এই প্রযুক্তিতে ১০ শতাংশ পলিথিন মেশানোর কারণে খরচও সাশ্রয় হবে।

   

রাতের মধ্যে ৯ অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সংস্থাটি জানায়, বৃষ্টিপাতের ফলে আগামীকাল রোববার (১২ মে) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। একইসঙ্গে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবার কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকায় ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকা ও টাঙ্গাইলে। এই দুটি অঞ্চলেই ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;

সিলেটে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে চাচাতো ভাই খুন, আটক ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
নিহত বাচ্চু আহমদ

নিহত বাচ্চু আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের গোলাপগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে বাচ্চু আহমদ (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল (মিশ্রপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাচ্চু আহমদ দত্তরাইল গ্রামের আকদ্দছ আলীর ছেলে। তিনি ঢাকা দক্ষিণ মাইক্রোবাস শাখার সদস্য।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু'পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই রেদওয়ান আহমদ রনির (৩০) দায়ের কোপে গুরুতর আহত হোন বাচ্চু।

পরে তাকে স্বজনরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে তাৎক্ষণিক ঘটনার সাথে জড়িত রেদওয়ান আহমদ রনিসহ ৫ জনকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পার্থ সারথী দাশ।

;

ধামরাইয়ে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ধামরাইয়ে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন

ধামরাইয়ে হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি চার তলা ভবন হেলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে, বিকেলের দিকে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটার ধানসিঁড়ি এলাকায় ওই ভবনটি হেলে পড়ে।

ভবনটির মালিক জিয়াউর রহমান সিকদার। তিনি ধামরাইয়ের ধানসিঁড়ি এলাকার বাসিন্দা।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বিকেলের দিকে ওই ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি শুরুতে স্থানীয়দের নজরে এলে তারা বাড়ির মালিক ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনটি পার্শ্ববর্তী শামসুল হক নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনের পাশে কিছুটা হেলে পড়েছে। এরপরই ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনটি হেলে পড়া অবস্থায় দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভবনটির অনুমোদন নেই। সেখানে স্থানীয় মেয়র ও ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।

ভবনটির বিষয়ে রোববার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর। তিনি বলেন, ভবনটি দেখেছি। আগামীকাল প্রকৌশলী গিয়ে পরিদর্শন করে এটির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবেন। আপাতত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও মেয়রকে জানিয়েছি।

;

জাতীয় পর্যায়ের বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতার সমাপনী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ’ শীর্ষক লোকনৃত্যের আসর 'বৈশাখের রং লাগাও প্রাণে' এর স্কুল পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৩টায় কুড়িগ্রাম শেখ রাসেল পৌর মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।

বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতায় এবারে প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিভাগের পলাশপুর বিদ্যানিকেতন। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ময়মনসিংহ বিভাগের ১০৯ নং শেরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্যদিকে ৩য় স্থান অধিকার করেছে বরিশাল বিভাগের জাহানারা ইসরাইল স্কুল এন্ড কলেজ। মাধ্যমিক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সিলেট বিভাগের আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩য় স্থান অধিকার করেছে বরিশাল বিভাগের জাহানারা ইসরাইল স্কুল এন্ড কলেজ।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সূত্রে জানা যায়, বৈশাখের রং লাগাও প্রাণে, কর্মসূচিটি ২০১৯ সালে প্রথমবারেরমতো বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজন করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়েছে। এবছরের প্রতিযোগিতাটি দুটি শাখায় বিভক্ত ছিল। ক. প্রাথমিক শাখা (১ম থেকে ৫ম শ্রেণী) খ. মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি)। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩০৫টি স্কুল অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে মোট অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জন। যার মধ্যে মেয়ে ১ হাজার ৩৭২ জন এবং ছেলে ১৫৩ জন।

জেলা শহরের প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুটি শাখায় প্রথম স্থান অধিকারী স্কুলকে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতাটি ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে ১২২টি স্কুল অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৬১০ জন। এর মধ্যে মেয়ে ৫৮০ জন এবং ছেলে ৩০ জন। বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখায় বিজয়ী হওয়া ১৬টি স্কুল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে মেয়ের সংখ্যা ৭৮ জন এবং ছেলে ২ জন।

শনিবার বিকেলে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের জন্য একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছে, যে প্ল্যাটফর্ম শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে কাজ করে যাবে। আজকের শিশুরাই একদিন স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর হবে। তাই তাদের বিদ্যা-বুদ্ধিতে সাংস্কৃতিক বিকাশের পথ মসৃণ করতেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলার ইকরা স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আইয়ুশী দেব এশা বৈশাখের রঙ লাগাও প্রাণে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে কুড়িগ্রাম এসেছে। এশা জানায়, ছোটবেলা থেকে আমার নাচ করতে ভালো লাগে। এর আগেও আমি দুইবার ঢাকায় নাচ করতে গিয়েছিলাম। কুড়িগ্রামে এবারে প্রথম আসলাম। কুড়িগ্রাম এসে আমার ভালো লেগেছে।

'বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ' শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফেন সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রওশন আরা বেগম, একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা, শিবলী মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক এসএম আব্রাহাম লিংকন।

পরে বিজয়ী শিশু এবং কুড়িগ্রাম শিশু একাডেমি ও বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমির পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

;