রামু ট্র্যাজেডির ৬ বছর
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ৬বছর পূর্ণ হলো আজ (শনিবার ২৯ সেপ্টেম্বর)। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আজকের এইদিনে ইতিহাসের বর্বর ধ্বংসলিলা চালানো হয়েছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির লীলাভূমি এই জনপদে। এমন ঘটনার পর থেকে শত বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় ধরণের ফাটলের ধরানোর চেষ্টা করা হয়।
তবে, বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে ইতিমধ্যে সেই চির ধরা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আবারো জোড়া লেগেছে। হারানো সেই সব বৌদ্ধ স্থাপনা আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার ৬ বছরের মাথায় এসেও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়। মামলার চার্জশিট দাখিল নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ।
আদালত সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর কক্সবাজারের ৪ টি উপজেলায় ১৯ টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তার মধ্যে একটি মামলা আপোস হয়ে গেছে বহু আগে। বাকি ১৮টি মামলা এখনো চলমান।
রামুর বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের সহকারি পরিচালক (আবাসিক) প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনার ৬ বছর পর বৌদ্ধরা নিরাপত্তায় রয়েছে। কিন্তু মামলার প্রক্রিয়াটি আরো যাচাই বাছাই জরুরি। এতে যে সব নিরীহ লোক হয়রানি হচ্ছে তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃতদের আসামি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায় খুবই ভালো আছে। তাদের মধ্যে আবারো সেই শত বছর আগের সম্প্রীতি ফিরে এসেছে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার খত এখন আর নেই। সবকিছু বদলে গেছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর ঘুমন্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দূর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিকায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।