ধ্বংসের পথে কেপি বসুর বাড়ি



সোহাগ আলী, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কেপি বসুর বাড়ি। ছবি: বার্তা২৪.কম

কেপি বসুর বাড়ি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ: সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে অবস্থিত গণিতবিদ কালীপদ (কেপি) বসুর বাড়িটি। তবে অযত্ন আর অবহেলায় এখন সেটি ধ্বংসের পথে। সংশ্লিষ্ট মহলের তদারকি না থাকায় দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে বাড়িটি।

জানা যায়, কেপি বসু ১৮৬৫ সালে হরিশংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মহিমাচরণ বসু। নিজ গ্রামের পাঠশালায় হাতে খড়ি হয় তার। বাল্যকাল থেকে গণিতে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখান তিনি। গ্রামের পাঠশালার শিক্ষক নাছিম বিশ্বাসের কাছ থেকে জটিল অংকের সমাধান করার শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। এরপর তিনি লর্ড রিপন কলেজে ভর্তি হন এবং এখান থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৮৯২ সালে তিনি ঢাকা কলেজে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং আমৃত্যু ওই কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শিক্ষকতা জীবনে পাঠদানের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। তার ‘আধুনিক অ্যালজাবরা’ বইটি গণিত অধ্যয়ন ও অনুশীলনের পথকে সুগম করেছে। এছাড়া তিনি অসংখ্য নতুন অংক উদ্ভাবন করে এ শাস্ত্রের কলেবর বৃদ্ধি ও উত্কর্ষ সাধন করেছেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি অ্যালজাবরা ও জ্যামিতি শাস্ত্রের গবেষণা চালিয়ে গেছেন। তার ঐকান্তিক সাধনায় ‘অ্যালজাবরা মেডইজি’, ‘মডার্ন জিওমেট্রি’ ও ‘ইন্টারমিডিয়েট সলিড জিওমেট্রি’ প্রভৃতি গ্রন্থ রচিত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/22/1537595657707.jpg

এদিকে ১৯০৭ সালে হরিশংকরপুর গ্রামের নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে নয় বিঘা জমির উপর একটি বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। বাড়ি নির্মাণের জন্য বিদেশি কাঠ ও সৃজনশীল কারুকাজ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বাড়ি থেকে সিঁড়ি নামানো হয় ওই সময়ের প্রমত্তা নবগঙ্গা নদীতে। বাড়িটির অপরূপ সৌন্দর্য এখনো গ্রামের মানুষকে বিমোহিত করে। বাড়ির নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন দর্শনার্থীরা হরিশংকরপুর গ্রামে ভিড় করেন।

তবে অযত্ন আর অবহেলায় বাড়িটি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে বাড়িটি। এরই মধ্যে বাড়ির বেশ কয়েকটি ভবনের পলেস্তারা খসে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অধিকাংশ ভবনই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। ঐতিহাসিক এ বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে দর্শনার্থীরা।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, কপি বসুর স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়িটি সংস্কার করে একটি দর্শনীয় স্থানে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিন্তু অর্থ বরাদ্দের অভাবের কারণে সেটি সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে দ্রুত বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

১০ বছর ধরে রাস্তার পাশে মা, ছেলে নেয় না খোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের বেলা হামার ব্যাটা হামাকি বাড়িত থ্যাকে বার করে দিছে, কছে এই বাড়িত যান না ফিরি। হামি আমার ব্যাটা আর ব্যাটার বোউ এর কাছে বোঝা। ১০ বছরের বেশি হলো, হামি রাস্তাত থাকি, কেউ খোঁজ ল্যায় না।

এভাবেই আক্ষেপের স্পঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন মিরজান ওরফে মীরো (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা মা। ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, ১০ বছর ধরে খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৩ নং পরানপুর ইউনিয়নের, চককেসব গ্রামে রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরে ঝাড়ু বানিয়ে ও গ্রামের মানুষদের ঝাড়ু বেঁধে দিয়ে যা আয় হয় সেই সামান্য টাকা দিয়ে চলছে তার সংসার। কোনোদিন বিক্রি না হলে না খেয়েও দিনযাপন করতে হয় তাকে। আপন বলতে দুনিয়াতে এখন আর কেউ নেই, স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই, ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পর ঘর ছাড়তে বাধ্য করে ছেলে আস্তান হোসেন। ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর বয়স্ক ভাতার টাকা জমিয়ে কিছু টিন কিনে রাস্তার পাশে কোনোভাবে বাড়ি বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

বৃদ্ধা মীরজান ওরফে মীরো বলেন, আমার স্বামীকে নিয়ে আমার ছেলের বোউ খোটা দিয়ে বলে, মরা স্বামীর জায়গায় লজ্জাহীনের মতো কেন আছি, আমাকে ভাত দিত না, নানাভাবে অত্যাচার করতো, কিন্তু আমার ছেলে কোনো প্রতিবাদ করেনি। হঠাৎ একদিন রাতে ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বলে- তোমার যেখানে খুশি সেখানে চলে যাও, আমার বাড়িতে থাকতে পারবে না। তাই আমি বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে এখানে এসে ১০ বছর ধরে আছি। আমার অনেক বয়স হয়েছে, এই বয়সে বাহিরে বের হতেও পারি না, তবুও পেটের দায়ে বের হই, ঝাড়ু নিয়ে পাড়ায় মহল্লায়। দিনশেষে ২০-৫০ টাকা আয় হয়, সেটা দিয়েই চালের খুদ (গুড়ো) কিনে এনে খাই। যেদিন বের হতে পারি না, সেদিন না খেয়ে থাকি। কেউ খোঁজ খবর নেয় না।

তিনি আরও বলেন, যে ছেলেকে এত কষ্ট করে লালনপালন করলাম, নিজে না খেয়ে তাকে খাওয়ালাম। ভেজা জায়গায় আমি শুয়ে তাকে শুকনো জায়গায় রাখলাম। জীবনের চরম কষ্টে আমার ছেলেকে ভালো রাখলাম, কিন্তু আজ সে বড় হয়ে সব ভুলে গেছে। আমার কষ্ট রাখার মত কোনো জায়গা নেই। একমাত্র চোখের পানিই আমার সম্বল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মা, দয়া করে যদি থাকার মতো জায়গা করে দিতো আমার মা, তাহলে বাকি জীবনটা সেখানে থাকতে পারতাম। আমি খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে আছিরে মা, আমার দিকে একটু তাকাও।

স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই এই বৃদ্ধা মাকে এখানে থাকতে দেখি। মূলত আমরাই এখানে থাকার জায়গা দিয়েছি। তার জীবনে এতই কষ্ট যে আমাদের চোখে পানি চলে আসে। তার ছেলে এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, এটা অবশ্যই অন্যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যেন এই বৃদ্ধা মায়ের একটা ব্যবস্থা হয়।

পথচারী মো. কামাল বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় এই ছোট্ট বাড়িটি দেখি, খুব খারাপ লাগে। এই বয়সে তিনি এতো পরিমাণ কষ্ট সহ্য করে চলাফেরা করেন। বয়স বেশি হওয়ার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলা করতেও পারেন না। বৃদ্ধা মায়ের দ্রুত ব্যবস্থা হওয়াটা জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিদা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির সামনেই এক ছোট্ট ঘর, মাঝেমধ্যে তাকে খাওয়াই, তবুও কষ্ট লাগে যে তার ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বিষয়টা সত্যিই ন্যক্কারজনক। ছেলের বিচার হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানুকে দুইদিন ধরে একাধিকবার কল দিয়ে অবগত করলে তিনি এ বিষয় জানেন না বলে জানান, এবং প্রকাশিত ভিডিও নিউজের লিংক চান। কিছুক্ষণ পরে প্রকাশিত নিউজের লিংক দেওয়ার পরে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

পরেরদিন কল দিয়েও একই জানালে তিনি বলেন, প্রকাশিত ভিডিওটির আবার লিংক দিতে। ফেসবুক এবং ইউটিউব ভিডিওটির লিংক হোয়াটসঅ্যাপে দিলে তিনি বলেন, ওপেন হচ্ছে না; সার্চ দিয়ে দেখার সময় আমার নাই।

;

শিবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
শিবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে

শিবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মা, ছেলে ও ভাগ্নেসহ ৪ জন। এছাড়া পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। আগামী ২৯ মে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এই ১৪ জন প্রার্থী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, রিজুর মা মোছাঃ ফাতেমা বেগম ও শিবগঞ্জ আসনের বর্তমান সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ'র ছেলে ও বগুড়া জেলা যুব সংহতির নেতা হুসাইন শরীফ সঞ্চয় (রিজুর ভাগ্নে)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, কিচক ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকী, শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহেল শাফি তালুকদার, সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহ নেওয়াজ বিপুল, আরিফ প্রামানিক ও গণেশ প্রসাদ কানু।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতি আক্তার টুম্পা, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহানা খাতুন, ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তানজিলা আক্তার পপি, ববিতা ফেরদৌসী ও রুলি বিবি।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে ৫ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে (তিন দিন)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ মে ও প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে।

 

;

সিলেটে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ আলী (১৭) নামে এক তরুণ খুন হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ আলী কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর এলাকার নুর আলীর ছেলে। তারা স্বপরিবারে নগরীর ছড়ারপাড় কলোনীতে বসবাস করতেন।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর চালিবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাধীন সুবহানীঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) শামীম উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে দুর্বৃত্তরা চালিবন্দর ভৈরব মন্দির এলাকায় ওই তরুণকে ঘেরাও করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাধীন সুবহানীঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) শামীম উদ্দিন বলেন, দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সবজি বিক্রেতা এক তরুণ খুন হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

;

ভোট নরমালে না হলে সিজার করে নিব: চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজ এর একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে৷

এতে তাকে বলতে শোনা যায়, "আগে ছিলো দশ হাজার টাকা জামানত এখন দেড় লক্ষ টাকা এটা কি মুখের কথা ওটে কি আছে আমি দেখব নরমালে (স্বাভাবিকভাবে) না হলে আমি সিজার করে (জোরপূর্বক সিল মেরে ভোট নেওয়া বুঝায়) ভোট করব। এমপি সাহেব মাথার উপর আছে, আমাদের কি উন্নয়ন করা যাবে না?"

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজের এমন একটি মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এতে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলা জুড়ে।

তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তিনি উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নে এক পথসভায় মাইক হাতে নিয়ে দাড়িয়ে সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য এসব মন্তব্য করছেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ঠিক ঠিক বলে চিৎকার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভোটার ও প্রার্থীরা জানান, এমপি সাহেবের ভাতিজা পারভেজ নিজ মুখে কেন্দ্র দখলের কথা বলেছেন, যার ভিডিও ইতোমধ্যে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলেন ভোট যদি সিজার বা দখল করে হয় তাহলে ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে লাভ কি? আর ভোটের জন্য সরকারের এত টাকা খরচ করার দরকার কি? তাদেরকে এমনিতেই দিয়ে দিলে হয়। প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যের কারণে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণ আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ভিডিওটা সুপার ইডিট দাবি করে বলেন, আমি এসব কথা বলিনি আমার শত্রু পক্ষ এটা সুপার ইডিট করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

;