বহুতল ভবনের আতঙ্কের নাম ‘আগুন’



অনিক চক্রবর্তী, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বহুতল ভবনের আতঙ্কের নাম ‘আগুন’। ছবি: বার্তা২৪.কম

বহুতল ভবনের আতঙ্কের নাম ‘আগুন’। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা: উঁচু কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্রের জন্য ১৮টি শর্ত দেওয়া হয়। ভবন নির্মাণ শেষে এসব শর্ত পূরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

তবে ফায়ার সার্ভিসের এ নীতিমালার কোনোটাই মানছেন না চুয়াডাঙ্গায় উঁচু ভবন নির্মাণ করা মালিকরা। আর এভাবেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই একের পর এক নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন।

জেলার সুশীল নাগরিক বলছে, নির্মিত এসব বহুতল ভবন তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব ছিল। বহুতল ভবন নির্মাণে পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসের যে তদারকি থাকার দরকার রয়েছে, তা যথাযথ ভাবে তারা পালন করছে না। আর এ কারণে বহুতল ভবনের মালিকরা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ভবন নির্মাণ করছেন বলে দাবি তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/18/1537284875664.jpg

চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনসহ পৌর এলাকার শহীদ আবুল কাশেম সড়ক, শহীদ হাসান চত্বর, শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক, সদর হাসপাতাল সড়ক, শহীদ আলাউল ইসলাম সড়ক, মালোপাড়া সড়ক, হাসপাতালপাড়া ও বেলগাছীসহ বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। নির্মাণাধীন এসব ভবন ছয় থেকে দশ তলার উপরে উঁচু। তবে বেশির ভাগ ভবনে মানা হয়নি যথাযত আইন। অধিকাংশ ভবনের মালিকরা জানেনই না বহুতল ভবন নির্মাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার কথা।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করে গড়ে ওঠা এসব বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জামও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নেই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ভবনে যদি কখনো আগুন লাগে তাদের কিছু করার থাকবে না। এতে সচেতন মহলে আতঙ্ক বাড়ছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনে দুই লাখ লিটার ধারণক্ষমতার ও ভবনের সর্বশেষ ধাপে ৮০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার জলাধার থাকতে হবে। প্রতিটি ফ্লোরে লুজ রিল (পানির পাইপ) ও সংযোগ পয়েন্ট থাকতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলার জন্য পাম্প ও প্রশিক্ষিত জনবল থাকতে হবে। ভবনের সামনের সড়ক অন্তত ৩০ ফুট চওড়া থাকার কথা থাকলেও এর কোনটিই মানছে না ভবন মালিকরা।

বহুতল এসব ভবনে আগুন লাগলে কী হবে এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কেউই দিতে পারেননি সদুত্তর। দায়সারা বক্তব্য আর একে অপরের ওপর দোষ দিয়েই নিজেদের সাফাই গাইলেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/18/1537284907344.jpg

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুস ছালাম বলেন,‘দু’একটি বহুতল ভবনের অনুমোদন ছাড়া বাকি ভবনগুলোর কী অবস্থা তা আমার জানা নেই।’

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন,‘ফায়ার সার্ভিস নিয়ে তদারকির দায়িত্ব হল পৌরসভার। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে সেক্ষেত্রে পৌরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বহুতল ভবনের বিষয়ে জানা নেই। তবে বেশ কিছু কাগজ জমা পড়েছে। তবে কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

ঝালকাঠিতে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাই আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাই সুজন তালুকদার (৩৫) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাইকে স্বপন তালুকদার (৩০) কে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮)।

শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার মুহতাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৩০ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দধবল গ্রামে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে ভর্তি না করে রিলিজ দিয়ে দেয়। পরে ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুজনের স্ত্রী রিয়া বেগম গত মে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: লাইন থেকে সরানো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বগি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১ টা থেকে লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে বগির সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় ।

  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনা: ৩ ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
  • গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন

উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

;

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন খেজুরতলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় সাতটার দিকে পতেঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. মিনহাজ (৩৫)। আহত হয়েছেন আবু হেনা মাহমুদ (২৬) ও মনি নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারী। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ইমাম হোসেন ও ওমর মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। তারা বার্তা২৪.কম-কে জানান, সন্ধ্যায় আমরা পতেঙ্গা খেজুরতলা এলাকায় বীচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি মোটরসাইকেলসহ তারা তিনজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিনহাজ নামের একজন মারা যায়।

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে এসে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে যেটি বুঝেছি। মাহমুদ একা ওই মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। নিহত মিনহাজ ও মনি নামের মেয়েটি এক সঙ্গে ছিল। মিনহাজকে মনি তার স্বামী বলে দাবি করছে। মনি আঘাত কম পেলেও আহত মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, নিহত মিনহাজ রাউজানের সুলতানপুর ওয়াহাবউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির মো. শওকত আলীর ছেলে। আহত আবু হেনা মাহমুদ হালিশহরের নন্দন মহাজন সড়কের মহাজন বাড়ির আবু জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল পথচারীদের চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজন মারা যান। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামায় হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় নয় শতাধিক বাড়িঘর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এতথ্য জানা যায়।

কালবৈশাখী ঝড়ের দুই দিন পরেও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশরা খোলা ছাদের নিচে বসবাস করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে আজ লামায় আসেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। সেই সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালবৈশাখর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় লামা পৌরসভার লাইনঝিরি এলাকায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ সিদ্দিক জানান, ০১ মে ভোরে ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১১ কেভি সঞ্চালনের ১৭টি খুঁটি ও ৩৩ কেভি সঞ্চালনের ১টি খুঁটি ভেঙে যাওয়াতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

শুক্রবার মেইন লাইন চালু করে লামা হাসপাতাল ও শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাইনঝিড়ি হতে ছাগলখাইয়া, লামা আলিকদম সঞ্চালনের ১১ কেভি লাইনটি প্রায় দেড় কিলোমিটার বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়াতে আলিকদম সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যুতের লাইন স্বাভাবিক করতে। দুয়েকদিনের মধ্য লামা ও আলিকদমের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।


লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লামা পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৯ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লামা পৌরসভার মেয়র’সহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে সড়কে ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ও কিছু ঢেউটিন তাৎক্ষণিক বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে জানান তিনি।

লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম (আবছার) জানান, গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে লামা উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। শুধু পৌর এলাকায় একশ বিশটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও তিনশটি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পৌরএলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিনকোটি টাকা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক চাল ও আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, লামা পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নে গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছয়শত থেকে সাতশত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বমোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ সময় সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।

;