সেচ ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে না চাষি



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেচ ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে না চাষি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সেচ ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে না চাষি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা কৃষি সেচ খাতে কোটি টাকার ভর্তুকি দিলেও তার সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক চাষিরা। এ সুবিধা শুধুমাত্র ভোগ করছে সেচ পাম্প মালিকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় বিদ্যুৎ চালিত শতাধিক গভীর নলকূপ, সোলার ৭০টি, ৩০ হাজার স্যালো ইঞ্জিন এবং ২৬টি পাওয়ার পাম্প রয়েছে। আমন, বোরো ও আউশ মৌসুমে জেলার চাষিরা ধান চাষ করেন। ২০০২ সাল থেকে মোটর চালিত সেচ পাম্পে মোট বিলের উপর শতকরা ২০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। যা প্রতি মাসে বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় বলে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

চাষিরা জানান, ধান আবাদে মৌখিক চুক্তিতে সেচ পাম্প কিংবা স্যালো ইঞ্জিন মালিকরা চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিয়ে থাকেন। মৌসুমের শুরুতে তারা কোনো টাকা নেন না। ধান কাটার পর সেচ খরচ বাবদ ধান কিংব নগদ টাকা গ্রহণ করেন সেচ যন্ত্রের মালিকরা। বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত খরচ নেন তারা। এছাড়াও আমন ও আউশ মৌসুমে ধান চাষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দর হিসেবে টাকা নেন মালিকরা। জলবায়ু পরিবর্তন ও সারা বছরই বিভিন্ন প্রকার ফসল আবাদের জন্য সেচের পানি অপরিহার্য।

সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের চাষি আকবর আলী জানান, সেচ পাম্প মালিকরা যে পরিমাণ টাকা নেন তা অনেক বেশি। বিঘা প্রতি সেচের প্রকৃত খরচ হয় আনুমানিক এক হাজার টাকা। কিন্তু সেচ পাম্প মালিকদের অঘোষিত সিন্ডিকেটের কারণে চাষিদের আর কিছুই করার থাকে না।

এ উপজেলার ঢেপা গ্রামের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প মালিক মুক্তারুল ইসলাম জানান, বিঘা প্রতি তিনি আড়াই হাজার টাকা খরচ নেন। এতে বিঘায় তার ৫শ টাকা লাভ থাকে। সারা মৌসুমে শ্রমিক দিয়ে চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিতে হয়। বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে সেচ পাম্প মালিকদের তেমন কিছুই থাকে না।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ফখর উদ্দীন জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প মালিকদের মূল বিদ্যুৎ বিলের ২০ ভাগ কমিয়ে বিল প্রস্তুত করা হয়। আর এ টাকা সরকারের কাছ থেকে নেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সেচ পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কয়েকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে চাষিদের ভর্তুতি দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের মন মানসিকতার ঠিক নেই।

   

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর-কর্মীদের মারধরের ঘটনায় মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি ও সরঞ্জাম ভাঙচুর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল কাহারোল থানায় ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল খালেক বাদী হয়ে এই মামলা করেন। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিঞ্জপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

বিঞ্জপ্তিতে মামলার নথি উল্লেখ করে তালহা বিন জসিম জানান, মামলার নথি থেকে জানা যায় গত ২৫ এপ্রিল রাত ৮টা ১৯ মিনিটে দশ মাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কাহারোল ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পৌঁছালে পাম্পের কর্মচারী ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন লোহার অ্যাংগেল, লাঠি, ইট দিয়ে ফায়ার সার্ভিস-এর গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এ কাজে আসামিদের বাধা দিলে ফায়ার সার্ভিস-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে।

একপর্যায়ে ড্রাইভার আব্দুল মোত্তালেবের বাম কানের নিচে লোহার অ্যাংগেল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মারধর করতে না পারায় অশ্লীল গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল করিম ও ড্রাইভার আব্দুল মোত্তালেবকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘কাহারোল ফায়ার স্টেশনের মাত্র একটি পানিবাহী গাড়ি; তাও ভাঙচুর করায় কাহারোল এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ সেবা ব্যাহত হবে। আমরা অতি দ্রুত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’ 

তিনি আরও জানান, একটি ফিলিং স্টেশনে অবশ্যই স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু আরিফ ফিলিং স্টেশনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় আগুন বড় হয়ে যায়। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির কোন ফায়ার লাইসেন্সও ছিল না। 

;

কলেজ শেষে আর কোনোদিন বাড়ি ফিরবেন না ফাতেমা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
নিহত ফাতেমা তুজ জোহরা

নিহত ফাতেমা তুজ জোহরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ফাতেমা তুজ জোহরা (১৮)। কর্ণফুলী নদীতে ফেরি পার হয়ে কিছুদূ্র গেলেই কলেজ। কিন্তু সেই ফেরিতে ওঠার সময়েই কিনা প্রাণ দিতে হলো তাকে। একটু আগে সুস্থ শরীরে যে মেয়েটা ঘর থেকে বেরিয়েছিল সেই মেয়েটার নিথর দেহ গেল এখন মা-বাবার কাছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী প্রান্তে ফেরির প্রবেশমুখের বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনায় পড়েন ফাতেমা তুজ জোহরা। সেখানেই সব শেষ। পরে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, আগেই মারা গেছে ফাতেমা। নগরীর হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীর কালুরঘাট পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ফেরি থেকে পাড়ে ওঠার সময় বেইলি ব্রিজে একটি সিএনজিচালিত টেম্পো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত পেছনের দিকে নেমে আসে। এসময় ফেরিতে উঠার জন্য ফাতেমা বেইলি ব্রিজ পার হচ্ছিল। পেছন দিক থেকে টেম্পোটি বেইলি ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে ফাতেমাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটা ছবিতে দেখা যায় রেলিংয়ে আটকে আছে ফাতেমার নিথর দেহ। নিচে নদীর তীরে তার রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছহাব উদ্দিন ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, টেম্পোটি আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফাতেমা বোয়ালখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীলের মো. হাসানের মেয়ে। আচমকা দুর্ঘটনায় মেয়েকে হারিয়ে মা-বাবা ও স্বজেনরা হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ।

;

উপজেলা ভোট: নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ দলকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসির নির্দেশনায় জানানো হয়, সকল প্রকার ভোটারদের বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সকল শ্রেণির ভোটার পূর্ব হতে নিশ্চিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে।

আরও জানায়, ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে উদ্দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ দল নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

সারাদেশের মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে।

প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

২১ বছর পর হত্যা মামলার ১৯ আসামির যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রায় ২১ বছর পর ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ১৯ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
বিস্তারিত আসছে...

;