সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে



মুহিববুল্লাহ মুহিব, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ জলদস্যুতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক ও শ্রমিকরা। জলদস্যুদের ভয়ে মালিকরা মাছ ধরার জন্য ট্রলার সাগরে পাঠাচ্ছে না। এতে বেকার হয়ে পড়েছে হাজারো জেলে।

কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লাদের বেধড়ক মারধর ও গুলি করে জলদস্যুরা। এছাড়াও ট্রলারে থাকা মালামাল, আহরণকৃত মাছ, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায়। এতে চরম আতঙ্কে রয়েছে কক্সবাজার উপকূলের হাজারো জেলে।

সমিতি সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রেই গড়ে উঠেছে জলদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট। যারা প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের সহযোগিতা করে। জলদস্যুরা যে মালামাল নিয়ে আসে তা বিক্রি করে এ চক্রটি। তাই এই চক্রকে আইনের আওতায় আনলে সাগরে জলদস্যুতা অনেকাংশে কমে যেত।

গত বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে কুতুবদিয়া উপকূলের ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫টি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এতে জলদস্যুদের গুলিতে মাঝি শফিউল্লাহ (৪০), মো. আলী (৩০), কামাল (২৮), মো. আনিচ (৩২) নামে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত সোমবার বঙ্গোপসাগরের ১৮ মইল এলাকায় ১৪ জেলেকে কুপিয়ে আহত করে জলদস্যুরা। আহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর ১৪ জেলে মহেশখালী উপকূলে ফিরে আসে। এরপর তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গত এক মাসে এ ধরনের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/09/1536486776392.jpg

জলদস্যুদের কবলে পড়া ট্রলার এফবি সাদিয়ার মালিক কামাল উদ্দিন আহত জেলেদের বরাত দিয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান, গত বুধবার সকালে কুতুবদিয়া উপকূলের আকবর বলী ঘাট হতে গভীর সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে যায়। বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়া উপকূল হতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অদূরে বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে মাছ ধরারত অবস্থায় অন্য ট্রলার যোগে ১৪/১৫ জন অস্ত্রধারী জলদস্যুর দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে জলদস্যুরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

মহেশখালীর জহির মাঝি বলেন,‘মালিকের লোকসান হলেও আমাদের করার কিছু নেই। সমুদ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আমরা সাগরে যেতে চাই না। যদিও মাছ ধরতে না পেরে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি না হাওয়া পর্যন্ত আমাদের কোনো সদস্য সাগরে যাবে না। জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। জলদস্যুরা হত্যা করলেও এর কোনো প্রতিকার নেই।’

কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বার্তা২৪.কমকে জানান, ভয়ে মাঝি-মাল্লারা সাগরে যেতে চায় না। কিন্তু প্রতিটি শ্রমিকই বিপুল টাকা অগ্রিম নিয়েছে। তারা না যাওয়ায় মালিক পক্ষ চরম লোকসানে পড়েছে। তবে জীবনের মূল্য সবার আগে। তাই মাছ ধরার জন্য ট্রলার সাগরে পাঠানো হচ্ছে না।’

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বার্তা২৪.কমকে জানান, কুতুবদিয়া থানার তালিকাভুক্ত অধিকাংশ জলদস্যুকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। যারা কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুতা করছে তারা বাঁশখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বার্তা২৪.কমকে জানান, কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। যারা কূলে থেকে জলদস্যুদের সহযোগিতা করছে তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। তবে দায়িত্বটা বেশি কোস্টগার্ডের।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, সাগরের যে সকল স্থানে জলদস্যুতা চলে সেখানে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জলদস্যুদের ধরতে জেলেরা কোনো ধরনের সহযোগিতা না করায় তা দমনে একটু সময় লাগছে।

তিনি আরও জানান, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ি, টেকনাফসহ সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন স্টেশনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় জলদস্যুতা দমনের অভিযান থমকে যায়। যার ফলে জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

   

বান্দরবানে আগুনে পুড়ে ছাই দোকান-ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান জেলা সদরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিসি বাংলোর বিপরীতে এক মুদি দোকানসহ তিনটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯টায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আমাদের চারটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানানো হবে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত নয়টার দিকে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা লাকি দত্তের দোকানের পেছন দিক থেকে আগুন দেখা যায় এবং মুহূর্তেই তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভাতে স্থানীয় জনসাধারণ, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট সদস্য, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে এর আগেই একটি মুদি দোকানসহ তিনটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্ত বাড়ির পাশে এনআরবিসি ব্যাংকের বিল্ডিং এবং সনি শো-রুমের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, প্রাথমিকভাবে বাসাবাড়ি ও দোকানের মালামালসহ ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১৪১ পিস ইয়াবা, ১১ গ্রাম ২০ পুরিয়া হেরোইন, ১৫ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা, ১০৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ১৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

এমপি ভাইয়ের কথাও শুনছেন না উপজেলা প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এর আপন ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার। তবে ভাইকে অনুরোধ করেও নির্বাচন থেকে সরাতে পারেননি বলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন এ সংসদ সদস্য।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সহ বিরোধী পক্ষের বর্জনের মুখে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার জন্য এবার নৌকা দেয়নি আওয়ামী লীগ। সেই সাথে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ যেন না করে সে জন্যও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি নির্দেশনা। প্রার্থী হয়েছেন স্বজনরা।

আওয়ামী লীগের এমন কড়া নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেননি নজরুল ইসলাম সাত্তার। তবে তিনি তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে বলছেন, তিনি বর্তমানে দলের কোনো পদে নেই। যদিও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অমান্য করছেন কি না জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম সাত্তার বার্তা২৪.কম কে বলেন, 'আমি দলের কোনো পদে নাই। তাহলে কেন নির্বাচন করতে পারবো না? আমার সংসার (সংসদ সদস্যের সঙ্গে তিনি থাকেন না) আলাদা। আমি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তবে এই বিষয়ে ফোনে এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। আরও কিছু জানতে হলে সরাসরি আসেন।'

দলের নির্দেশনা অমান্য করে ভাইয়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকটায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। বার্তা২৪.কম কে তিনি বলেন, 'সে (নজরুল ইসলাম সাত্তার) আমার কথা শোনে না। আমি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত দিয়ে বলে দিয়েছি।'

স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই অভিযোগ করছেন, ভাই না চাইলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভরসায় তিনি দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনে। স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়ার নেতৃত্বে চলছে এই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন, উপজেলার ছাত্রত্বহীন ছাত্রলীগ নেতারা, রয়েছেন বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন সময় বিতর্কিতরা।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ কর্মীদের বাধ্য হয়ে মো. রাজন মিয়াকে অনুসরণ করতে হচ্ছে। প্রচারণায় না আসলে দেখানো হচ্ছে কমিটিতে না রাখার ভয়ভীতি। তাই পদ-পদবীর আসায় অনেক কেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও থাকতে হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায়।

জানা যায়, উপজেলার অন্তর্গত আটটি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ইউনিয়নের কমিটি এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি আছে আরও ৭টি। এসব ইউনিয়নে যারা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী তাদেরকে পদের লোভ দেখিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণায় কাজে লাগানো হচ্ছে৷

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একজন স্থানীয় কর্মী বলেন, 'আমাদের বলা হয়েছে সাত্তার সাহেবের পক্ষে প্রচারণা করতে। নইলে আমাদের পদ দিবে না। তারা আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বসে আছে দুই বছরের বেশি সময় ধরে৷ আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ থাকে তিনি মাস। আবার সেই কমিটির ১২ জন বিবাহিত। একেকজনের নামে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ। তারপরও সেন্ট্রাল তাদেরকে কিছু বলে না। আমরা বলতে গেলে তো আমরা বিপদে পরবো। তাই বাধ্য হয়েই তাদের নির্দেশ মানতেছি।'

এ বিষয়ে কথা বলতে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়াকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এ বিষয়ে এখনো জানি না। আমি খোঁজ নিবো।'

;

তীব্র তাপদাহেও 'অস্বাস্থ্যকর' ঢাকার বাতাস, বিশ্ব তালিকায় সপ্তম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ সকালেও অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৯ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ; ২৬৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাজাকিস্তান।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

;