বৃষ্টি থেমেছে, রোদ উঠেছে, খেলা শুরু হচ্ছে তাহলে?



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
বৃষ্টি শেষে খেলা শুরুর ইঙ্গিত চট্টগ্রামে- ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

বৃষ্টি শেষে খেলা শুরুর ইঙ্গিত চট্টগ্রামে- ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম দিন। বৃষ্টির কারণে খেলা বিলম্ব!

স্টেডিয়াম গ্যালারির পশ্চিম পাশের ঠিক মাঝ বরাবর বিগ স্ক্রিন। কালো সেই স্ক্রিনে গোটা গোটা সাদা অক্ষরে লেখা বৃষ্টির আগমনী বার্তা। প্রেসবক্সে বসে বৃষ্টিভেজা মাঠের দিকে যতবারই তাকান আফগানিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার সাদাত ততবারই তার চেহারায় হতাশা ও কষ্টের ছাপ স্পষ্ঠ!

এমন বৃষ্টি তো চায়নি আফগানিস্তান!

মাঠের আকাশে সকাল সোয়া ১১টার দিকে বেশ ঝলমলে রোদের ঝিলিকই দেখা গেলো স্টেডিয়ামে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির কান্নার শব্দও বন্ধ হলো সকালে প্রথমবারের মতো। এই মাঠের প্রধান পিচ কিউরেটর প্রবীন হিঙ্গানিকার তার সঙ্গীদের নিয়ে মাঠ পরিদর্শনে নামলেন।
উইকেটের চারধারের কাভারে তখন বেশ পানি জমেছে। কিন্তু আকাশে রোদের ঝলক দেখে ড্রেসিংরুমে বসে থাকা আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের মুখেও হাসির ঝিলিক!
 
 দিনের বাকি সময়ে যদি বৃষ্টি না হয় তবে ঘন্টায় কয়েকের খেলা হয়তো সম্ভব হবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা খুবই আধুনিক। আউটফিল্ডের পানি দ্রæত এখানে শুকিয়ে যায়।

এই ম্যাচ জয় থেকে আফগানিস্তান এখন ৪ উইকেট দুরে। আর ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে বাকি ৪ উইকেটে করতে হবে আরো ২৬২ রান।

এর আগে আগের রাতে বেশ জোরে বৃষ্টি নামে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এলাকায়। সেই বৃষ্টির তোড় কিছুটা কমলেও ভোরবেলা থেকে শুরু হয় ঝিরি ঝিরি ঝরে পড়া। সকাল ১১টায় পর্যন্ত প্রেসবক্সের সঙ্গে লাগোয়া টিনের চালে বৃষ্টির সেই রিনিঝিনি চলছেই।
ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী চট্টগ্রাম টেস্টে এখন বৃষ্টির এই শব্দ বাংলাদেশ দলের জন্য রিনিঝিনি ও সুমধুরই মনে হবে। আর আফগানিস্তানের কাছে সম্ভবত এই শব্দ এখন সবচেয়ে কুৎসিত!
বৃষ্টির তোড় দেখে সকালে হোটেল থেকেই বেরই হলো না বাংলাদেশ দল। হোটেল বন্দি হয়েই সময় কাটছে তাদের। জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের বৃষ্টির আনন্দ সুখ উপভোগ করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

আর বেচারা আফগানিস্তান দল সকাল সকাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মাঠে চলে আসে। বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে না জেনেও আফগানিস্তান ঠিকই মাঠে এসে হাজির।

 বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা কেমন- সেটা বোঝার জন্য মাঠে নামার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাও মাঠে নেমে গেলেন আফগান অধিনায়ক। এক হাতে চায়ের কাপ। অন্য হাতে ছাতা। চোখ আকাশের দিকে। মুখে মৃদু হাসি। তবে সেই হাসির আড়ালে হতাশা স্পষ্ঠ!

বৃষ্টি থামার যদি কোনো প্রার্থনা থাকে তবে সেটাই করছে এখন সম্ভবত আফগানিস্তান।

বৃষ্টিতে মাঠ এমনই সিক্ত যে আম্পায়ারদের মাঠে নেমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের প্রয়োজনই পড়েনি। দুর থেকে বসেই বোঝা যাচ্ছে সবুজ মাঠের পুরো চত্বর বৃষ্টিতে ভিজে সারা! তবে আফগানিস্তানের কোচিং প্যানেলের দুজন সদস্য ঠিকই হালকা বৃষ্টির মধ্যেও মাঠের বাউন্ডারি লাইনের চারধারে হাঁটলেন।

পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা আর কি!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ৩৪২/১০ (১১৭ ওভারে, রহমত শাহ ১০২, আসগর আফগান ৯২, আফসার ৪১, রশিদ খান ৫১, তাইজুল ৪/১১৬)  ও ২৬০/১০ (৯০.১ ওভারে। বাংলাদেশ ২০৫/১০ ও ১৩৬/৬ ( ৯০.১ ওভারে, ইব্রাহিম জাদরান ৮৭, আসগর আফগান ৫০, আফসার ৪৮, রশিদ খান ২৪, সাকিব ৩/৫৮) বাংলাদেশ ২০৫/১০ (৭০.৪ ওভারে, লিটন ৩৩, মমিনুল ৫২, মোসাদ্দেক ৪৮*, রশিদ খান ৫/৫৫, নবী ৩/৫৬) ও ১৩৬/৬ (৪৪.২ ওভারে, সাদমান ৪১, মুশফিক ২৩, সাকিব ৩৯*, সৌম্য ০*, রশিদ ৩/৪৬)
#চতুর্থদিন পর্যন্ত।

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;