আফগানিস্তান নিরাপদ লিডের পথে, বাংলাদেশ বিপদে!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
বাংলাদেশের বোলারদের সামলে বড় সংগ্রহের পথে আফগানরা- ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশের বোলারদের সামলে বড় সংগ্রহের পথে আফগানরা- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আরেকটি সেশন শেষ হলো চট্টগ্রাম টেস্টের। সঙ্গে আরো সমস্যা বাড়লো বাংলাদেশের। তৃতীয়দিন চা বিরতিতে গেলো আফগানিস্তান ৪ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে। ম্যাচে তাদের লিড এখন ২৯৩ রানের।

প্রায় তিনশ রান ছুঁই ছুুঁই এই লিড জানাচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্টে নিয়ন্ত্রণের রশি আফগানিস্তানের হাতেই। এই উইকেটে শেষ ইনিংসে যেখানে আড়াইশ রান তাড়া করাই কঠিন বিষয় হতো, সেখানে বাংলাদেশকে এখন তাড়া করতে হবে আরো অনেক বড় রান!

প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে থেমে যাওয়া বাংলাদেশ দল চতুর্থ ইনিংসে তিনশ প্লাস স্কোর রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে যাবে-এমন আশাবাদির সংখ্যা ভীষণভাবে কম! এই ম্যাচ বাঁচাতে হলে এখন বাংলাদেশকে এখন বৃষ্টির আশায় তাকিয়ে থাকতে হবে। চট্টগ্রামের স্থানীয় আবহাওয়া বার্তা যা জানাচ্ছে তাতে ম্যাচের চতুর্থ এবং পঞ্চমদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
যদি তাই হয়, তবে সেটি হবে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বৃষ্টি। আর আফগানিস্তানের জন্য হতাশার অন্য নাম!

১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয়দিন সকালে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত তারা ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে ৫৬ রান। দিনের দ্বিতীয় সেশনে শুরুর সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠে সফরকারিরা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান আসগর আফগান ১০৮ রান যোগ করে দলকে বড় স্কোরের পথে রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা আসগর আফগান দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফসেঞ্চুরি পেলেন। ১০৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা হাঁকিয়ে করলেন ৫০ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পথে আছেন। চা বিরতিতে গেলেন ইব্রাহিম অপরাজিত ৮২ রান তুলে।
 
চা বিরতির ঘন্টাখানেক আগে আসগর আফগানকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে এটাই তাইজুলের একমাত্র সাফল্য।

 এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে ঠিক যা করতে চেয়েছে আফগানিস্তান তার সবকিছুই তারা সেরে ফেলছে।

-আর বাংলাদেশ?

ক্রমশই গর্তের আরো কিনারায়!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ৩৪২/১০ ও ১৫৬/৪। বাংলাদেশ ২০৫/১০

   

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে আজ যা থাকছে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রাতে লা লিগার ম্যাচে মাঠে নামছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়াও আইপিএলে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এছাড়াও টিভিতে আজ যে সব খেলা দেখা যাবে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
রূপগঞ্জ টাইগার্স–সিটি ক্লাব

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
শেখ রাসেল–ঢাকা আবাহনী

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

রহমতগঞ্জ–ফর্টিস এফসি

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, বাফুফে ইউটিউব চ্যানেল

আইপিএল
কলকাতা নাইট রাইডার্স–পাঞ্জাব কিংস

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

লা লিগা
রিয়াল সোসিয়েদাদ–রিয়াল মাদ্রিদ

রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল ও স্পোর্টস ১৮–১

সৌদি প্রো লিগ
আল হিলাল–আল ফাতেহ

রাত ৯টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

জার্মান বুন্দেসলিগা
বোখুম–হফেনহাইম

রাত ১২টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১

;

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;