উইন্ডিজকে উড়িয়ে ভারতের রেকর্ড জয়



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বুমরার পেস তোপে নাজেহাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বুমরার পেস তোপে নাজেহাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • Font increase
  • Font Decrease

দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্রেফে উড়ে গেছে। অ্যান্টিগা টেস্ট ভারত জিতেছে রেকর্ড ৩১৮ রানে। বিদেশির মাটিতে রানের হিসেবে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। ম্যাচ জেতার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৪১৯ রানের বিশাল টার্গেট দাড় করায় ভারত। উইন্ডিজ গুটিয়ে যায় মাত্র ১০০ রানে। তাও আবার মাত্র ২৬.৫ ওভারে। সবমিলিয়ে এক সেশন টিকলো মাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

জাপপ্রিত বুমবার এক স্পেলেই তছনছ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় তুলে নেন বুমরা ৫ উইকেট। ঈশান্ত শর্মার শিকার তিন উইকেট। মোহাম্মদ সামি পান ২ উইকেট। তিন পেসার মিলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ করে দেন মাত্র ১০০ রানে।

দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে গেলো ১-০ তে। দাপুটে ভঙ্গিতে এই ম্যাচ জিতে ভারত পুরো ৬০ পয়েন্ট পেলো। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের যাত্রাটাও হলো বেশ রাজকীয় ভঙ্গিতেই।

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ব্যাটিংয়ে নায়ক অজিঙ্কা রাহানে। ১০২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম ইনিংসেও ৮১ রান করা রাহানে ছিলেন দলের টপ স্কোরার। বিরাট কোহলি চতুর্থদিনের সকালের সেশনেই ফিরলেন তার আগের দিনের ৫১ রানের স্কোরে। রাহানের সঙ্গে হনুমা বিহারির জুটিটা জমলো বেশ। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্টে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন বিহারি। কিন্তু পারলেন না মাত্র ৭ রানের জন্য। ৯৩ রানে জ্যাসন হোল্ডারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। দিনের দ্বিতীয় সেশনের শেষভাগে ভারত ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।

ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪১৯ রানের। হাতে সময় প্রায় চার সেশনেরও কিছুটা বেশি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই যে মুখ থুবড়ে পড়ে, আর উঠে দাড়াতে পারেনি।

শুরুর ৭.৩ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা! তারপর চা বিরতি যায়। চতুর্থদিনের শেষ সেশনে ২০ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় তাদের বাকি ইনিংস।

মাত্র ক্যারিয়ারের ১১ নম্বর টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে জাসপ্রিত বুমরা এশিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইনিংসে পাঁচ বা তারচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ১ম ইনিং: ২৯৭/১০ (৯৬.৪ ওভারে, রাহুল ৪৪, আগরওয়াল ৫, পুজারা ২, কোহলি ৯, রাহানে ৮১, বিহারি ৩২, পান্থ ২৪, জাদেজা ৫৮, রোচ ৪/৬৬, গ্যাব্রিয়েল ৩/৭১, চেজ ২/৫৮)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনি: ২২২/১০ (৭৪.২ ওভারে, ব্রাভো ১৮, চেজ ৪৮, হোপ ২৪, হেটমায়ার ৩৫, হোল্ডার ৩৯, ঈশান্ত ৫/৪৩)। ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৪৩/৭ (১২২. ওভারে, রাহুল ৩৮, আগারওয়াল ১৬, পুজারা ২৫, কোহলি ৫১, রাহানে ১০২, হনুমা বিহারি ৯৩, রোচ ১/২৯, চেজ ৪/১৩২)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০০/১০ (২৬.৫ ওভারে, রোচ ৩৮, কামিন্স ১৯, বুমরা ৫/৭, ঈশান্ত ৩/৩১, সামি ২/১৩)।
ফল: ভারত ৩১৮ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: অজিঙ্কা রাহানে।

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;