গোল্ডেন গার্ল সুলতানা কামাল খুকী



ড. মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া
সুলতানা কামাল খুকী : বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

সুলতানা কামাল খুকী : বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঁচে থাকলে ৬৭-তে পা রাখতেন তিনি। ক্রীড়াঙ্গনের অদ্বিতীয়া এক নারী অ্যাথলিট- সুলতানা আহমেদ খুকী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের স্ত্রী। ক্ষণজন্মা এই নারী ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ষাটের দশকের গোড়ার দিকে যখন এ দেশের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের ঘরের বাইরে বেরোনোই কঠিন ছিল সে সময়টাতে তার অ্যাথলেটিকসে যাত্রা।

১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকার বকশীবাজার মুসলিম গার্লস স্কুলে পড়াকালীন আন্তঃবিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে শুরু এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অ্যাথলেটিক ট্র্যাক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অ্যাথলিট হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য অসাধারণ। হার্ডলস, হাইজাম্প এবং ব্রডজাম্প ছিল তার প্রিয় ইভেন্ট। এই তিন ইভেন্টে বরাবরই তিনি দেশে ও বিদেশের মাটিতে অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

জন্ম ১৯৫২ সালের ১০ ডিসেম্বর। বেড়ে উঠা পুরান ঢাকার বকশিবাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে। বাবা দবির উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী। মা জেবুন্নেছা বেগম গৃহিণী। নয় ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন অষ্টম এবং বোনদের মধ্যে সবার ছোট। মধ্যবিত্ত পরিবারে ছিলেন সবার খুব আদরের। মাত্র ২৪ বছর বয়সী সুলতানা কামালের ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্যময়। পড়তেন পুরান ঢাকার মুসলিম গার্লস স্কুলে। তারপর গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বেগম বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজ)। ১৯৬৯ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। অনার্স শেষে একই বিভাগে ভর্তি হন মাস্টার্সে। ১৯৭৫ সালে মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষাও দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105689273.png

কথাবার্তা, আচার-আচরণ, পারফরম্যান্স সবকিছুতেই ছিলেন অনন্য অসাধারণ। ছিলেন বেশ চটপটে, ছটফটে, হাসিখুশি! দুষ্টুমিতে ছিলেন সেরা। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও খেলার মাঠে তার মানবিক গুণাবলি সবাইকে মুগ্ধ করত। ছোটদের যেমন স্নেহ করতেন আবার বড়দের প্রতিও ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। ছিলেন সবার প্রিয় মানুষ, প্রিয় মুখ। মুখে সবসময় হাসি থাকত আর হাসি দিয়েই সবার মন জয় করে নিতেন। ছিল না কোনো অহংকার। এমনকি বঙ্গবন্ধুর পুত্রবধূ হওয়ার পরও ছিলেন সাধারণের মতোই।

বিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গে। নিজেদের মধ্যে চেনা জানা থাকলেও বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই। দুই পরিবারের মধ্যে সখ্য ছিল আগে থেকেই। বিয়ের পর সুলতানা আহমেদ হন সুলতানা কামাল। থাকতেন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ির তিন তলায়। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনিও ঘাতকদের নির্মমতার শিকার হন। বিয়ের মাত্র এক মাসের মাথায় মেহেদির রঙ মুছে যাওয়ার আগেই নিহত হন তিনি। ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ির দোতলার শোবার রুমে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে (বুক ও পেটে) রক্তাক্ত অবস্থায় সুলতানা কামালের নিথর দেহটি পড়েছিল অন্য সবার মাঝে। তখনও তার দু’হাতে শোভা পাচ্ছিল সদ্য বিয়ের মেহেদির আলপনা। রক্তের রঙ আর মেহেদির রঙের মাখামাখি হয়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল সেদিন।

ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলাধুলায় ছিলেন দারুন পারদর্শী। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুধু মেধাবী ছাত্রীই ছিলেন না, ছিলেন সবার সেরা অ্যাথলিট। আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রতিযোগিতায় বরাবর শীর্ষস্থান ধরে রাখতেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তৎকালীন পাকিস্তান অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিলেন (১৯৬৭-৬৮)। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মূলত তার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় দল জাতীয় পর্যায়ের লড়াইয়ে একাধিক পদক জয় করেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা ব্লু ছিলেন (১৯৬৯-৭০)। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ১৯৭৩, ’৭৪ এবং ’৭৫ সালে পর পর  অংশ নেন এবং রের্কড গড়েন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105712059.jpg

‘অলইন্ডিয়া রুরাল গেমসে’ লাভ করেন রৌপ্যপদক (১৯৭৩)। ক্রীড়া জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ডাকসু তাঁকে বিশেষ পদকে সম্মানিত করে (১৯৭৩)। ১৯৭৩ সালে জাতীয় ক্রীড়ালেখক সমিতি কর্তৃক তিনি সেরা অ্যাথলিটও নির্বাচিত হন। তাছাড়াও নিজ কলেজের শ্রেষ্ঠ অ্যাথলিট পুরস্কার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার, ব্যাডমিন্টন পুরস্কারসহ আরো অনেক সাফল্য ছিল তার ঝুলিতে। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পরে তাকে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক ও ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়। এসব পুরস্কার থরে থরে সাজানো ছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়ির একটি কক্ষে। আফসোস, ঘাতকরা তাকে মারার পাশাপাশি তার অর্জনগুলোকেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তার নামে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স’, বকশিবাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোয়ার্টারে থাকতেন, সেখানেও গড়ে তোলা হয়েছে ‘সুলতানা কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স’, তার স্মরণে ঢাকার ডেমরা-তারাবোতে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ‘সুলতানা কামাল সেতু’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566105733582.jpg

তার মূল বাড়ি ঢাকার মাতুয়াইলে পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে চলছে ‘সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার’ কার্যক্রম। এই কৃতি অ্যাথলিটের সুনাম ও দ্যুতি সারা দেশে বিশেষ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্রীড়ামোদী নতুন মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া দরকার। যা এই প্রজন্মের মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ যোগাতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সুলতানা কামালের অবদান অনেক। দেশের জন্য তিনি অনেক সুনাম বয়ে এনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী খেলাধুলায় নিজেকে উৎসর্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লড়াই, সাহস আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ছিল তাঁর চরিত্রে। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল দীপ্তিময় মুখাবয়ব এখনও এ দেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্যে অন্যরকম এক অনুপ্রেরণার উৎস। তখনকার প্রজন্মের কাছে তিনি ছিলেন রোল মডেল । আমাদের দুর্ভাগ্য, তার মতো গুণী অ্যাথলিটকে আমরা অকালেই হারিয়েছি। পঁচাত্তরের পনের আগস্টে ঘাতকদের হাতে ক্রীড়াক্ষেত্রের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভে যায়। তাই শোকের এই মাসে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সকল শহীদসহ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি এই কৃতি অ্যাথলিটকে, যিনি মন, মননে, চলায়, বলায়, দর্শনে, অর্জনে সত্যিই ছিলেন একজন গোল্ডেন গার্ল। স্যালুট প্রিয় অ্যাথলিট সুলতানা কামাল খুকি।

লেখক: ভিজিটিং সায়েনটিস্ট, এনাসটাসিয়া মসকিটো কন্ট্রোল, সেন্ট অগাস্টিন, ফ্লোরিডা, আমেরিকা ও সহযোগী অধ্যাপক (ডেপুটেশন), কীটতত্ত্ব বিভাগ, পবিপ্রবি, বাংলাদেশ।

   

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবলে (বিপিএল) আজ নামছে মোহামেডান ও বসুন্ধরা। এছাড়াও বিশ্ব ক্লাব ফুটবলে রয়েছে একাধিক ম্যাচ।


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

মোহামেডান-বসুন্ধরা

বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল

কলকাতা-মুম্বাই

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

বুন্দেসলিগা

কোলন-বার্লিন

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস ২

মাইঞ্জ-ডর্টমুন্ড

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস ২

লা লিগা

মায়োর্কা-লাস পালমাস

সন্ধ্যা ৬টা, স্পোর্টস ১৮

ভিয়ারিয়াল-সেভিয়া

রাত ৮টা ১৫ মিনিট, স্পোর্টস ১৮

গ্রানাদা-রিয়াল মাদ্রিদ

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, স্পোর্টস ১৮

বিলবাও-ওসাসুনা

রাত ১টা, স্পোর্টস ১৮

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ফুলহাম-ম্যান সিটি

বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

টটেনহাম-বার্নলি

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

নটিংহাম-চেলসি

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

এভারটন-শেফিল্ড

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

;

ব্যাটিং ধসের পর জয়ে স্বস্তি বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে শেষ ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়েও দিন শেষে হাসিমুখ বাংলাদেশের। কারণ ১৪৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও তালগোল পাকিয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেরে গেছে ৫ রানে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। লিটন দাস ধারাবাহিক বাজে ফর্মের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গা নেন সদ্য হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা সৌম্য সরকার।

তানজিদ তামিমের সঙ্গে সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে সুদিন ফেরার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে যে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা করেন তারা।  লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন।

একই বোলারের বল বোল্ড হয়ে ফেরা সৌম্যর রান ৩৪ বলে ৪১। বাংলাদেশ যখন বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে তখনই আচমকা যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। একই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল।

আগের দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন ১২ রানে। ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা সাকিব করেন ১ রান। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে তো রানখরা চলছেই, ৭ বলে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকেও।

বিনা উইকেটে ১০১ রান করা দলটা ১৪৩ রানে যেতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার দিনে ৩ উইকেট নেন পেসার লুক জংওয়ে।

কিন্তু ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েও জিম্বাবুয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। কোনো রান তোলার আগেই হারিয়েছে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। জোনাথান ক্যাম্পবেল বাদে দায়িত্ব নিয়ে খেলার যেন আগ্রহই ছিল না অন্য কোনো ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করে ক্যাম্পবেল নিজেও একাকী লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেন। শেষদিকে অবশ্য ৮ বলে ১৯* রানের ক্যামিও ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তবে রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে সাকিব দুই উইকেট তুলে নিলে ১৩৮ রানে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসান, তিন উইকেট ঝুলিতে পোরেন মুস্তাফিজ।

আগামী ১২ মে একই মাঠে সকাল ১০টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়াল আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের শিরোপার দৌড়ে আবাহনী নেই বললেই চলে। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য ১১। এছাড়া দুই নম্বর মোহামেডানও একেবারে মন্দ খেলছে না। আবাহনীর জন্য এখন তাই চ্যালেঞ্জ একটা সম্মানজনক অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করা। কিন্তু আজ (শুক্রবার) পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সে লক্ষ্যে একটা হোঁচট খেলো আকাশি-হলুদরা।

অথচ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আবাহনীর। নবম মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর এনামুল গাজীর ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি পুলিশের ডিফেন্ডার আবদুল্লায়েভ। বল চলে যায় বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকা কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পায়ে। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরও ভালো কিছু সুযোগ এলেও সেসব লুফে নিতে ব্যর্থ হয় আবাহনী। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া পুলিশ দ্বিতীয়ার্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ে পরম আরাধ্য গোল খুঁজে পাচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার ভুলে গোলের দেখা পেয়ে যায় পুলিশ। এম এস বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে আবাহনী গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের দুই পায়ের ফাঁক গলে বল পৌঁছে যায় জালে।

শেষ মুহূর্তের গোলে হতাশায় পুড়তে হয় আবাহনীকে। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনেই রয়েছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে পুলিশ।

;

উড়ন্ত শুরুর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং সমর্থকদের স্বস্তি দিতে পারেনি। তবে সৌম্য সরকার চোট থেকে ফিরে ওপেনিংয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশকে। তানজিদ তামিমও ব্যাটে সুর খুঁজে পেয়েছেন। সমর্থকরাও তাদের শতরানের জুটিতে বড় স্কোরের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এই দুই ওপেনার বাদে দলের অন্য ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দুরন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারেই ১০০ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস আসে সৌম্যর ব্যাটে। তাদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

আগের তিন টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছিলেন লিটন। তবে তাদের রসায়ন যে ওপেনিংয়ে একেবারেই জমছে না, তা আজ সৌম্যর সঙ্গে তানজিদের বোঝাপড়াতে পরিষ্কার।

১২তম ওভারে লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন। সেই ওভারে ৩৪ বলে ৪১ রান করা সৌম্যও সাজঘরের পথ ধরেন।

দুই ওপেনার বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেও হঠাৎ ধসে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়। গত দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় (১২) ও ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামা সাকিব আল হাসান (১) তিন বলের মধ্যে আউট হয়ে যান।

টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেটের কারণে সমালোচিত হওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ৭ বলে ২ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে সাকিবের মতো তিনিও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বিনা উইকেটে শতরানের ঘর ছোঁয়া বাংলাদেশ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ১৪৩ রানে পৌঁছাতেই সব উইকেট খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান জংওয়ে। ৬৪ উইকেট নিয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার।

;