শ্রীলঙ্কাকে হতাশ করে প্রোটিয়াদের স্বস্তির জয়



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আমলা-ডু প্লেসিসের ব্যাটে অনায়াসেই জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

আমলা-ডু প্লেসিসের ব্যাটে অনায়াসেই জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাণিতিক হিসাবে লড়াইয়ে টিকে ছিল শ্রীলঙ্কা! সম্ভাবনাটা ভাল করে বাঁচিয়ে রাখতে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় জরুরী ছিল লঙ্কানদের। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই দলটিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। যদিও আগেই সেমি-ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল।

চেস্টার-লি-স্ট্রিটের দা রিভারসাইড ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি জিতেছে অনায়াসে ৯ উইকেটে। হাশিম আমলা ও ডু প্লেসিসের হাফসেঞ্চুরিতে হাতে ৭৬ বল রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে দলটি। স্বস্তির এই জয়ে মুখ রক্ষা হলো দলটির!

শুক্রবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে মাত্র ২০৩ রান। জবাব দিতে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।

এই হারেও অবশ্য লঙ্কানরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে এমনটা সরাসরি বলা যাচ্ছে না। কারণ ৭ ম্যাচে দুই জয় (আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে); দুই হারে (নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানদের দুটি ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টির কারণে। ফলে দুটি পয়েন্ট এমনিতেই পেয়ে যায় তারা। এ অবস্থায় শেষ দুই ম্যাচে জিতলে সেমিতে উঠতেও পারে এই দ্বীপ দেশটি।

অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ২ জয় (আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) আর ৫ (ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে) হারে ৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দূর্ভাগ্যই বলতে হবে হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিসের। দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই পেতে পারতেন শতরান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সংগ্রহটা কম বলেই সেঞ্চুরির সুবাস নিয়েই মাঠ ছাড়েন দু'জন। দলীয় ৩১ রানে কুইন্টন ডি কক (১৫) বিদায় নিতেই আমলার সঙ্গে জুটি বাধেন ডু প্লেসিস। এরপর দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ১০৫ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন আমলা। আর ডু প্লেসিস মাত্র ৪ রানের আক্ষেপে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ বলে ৯৬ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে সুপার ফ্লপ শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচের প্রথম বলেই অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন কাগিসো রাবাদা। তারপর অবশ্য লড়ছিলেন কুসল পেরেরা ও আভিশকা ফার্নান্দো। কিন্তু ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ৩০ রানে ফেরেন কুসল। আর আভিশকার ব্যাটেও সমান রান।

তারপর হতাশা নিয়েই ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, জিবন মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা। দলও পায়নি বড় সংগ্রহ।

ক্রিস মরিস ৪৬ রানে নেন ৩ উইকেট। কাগিসো রাবাদা ৩৬ রানে ২ উইকেট। তবে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা প্রিটোরিয়াস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:-

শ্রীলঙ্কা: ৪৯.৩ ওভারে ২০৩/১০ (করুনারত্নে ০, কুসল পেরেরা ৩০, ফার্নান্দো ৩০, কুসল মেন্ডিস ২৩, ম্যাথুজ ১১, ডি সিলভা ২৪, জিবন মেন্ডিস ১৮, থিসারা ২১, উদানা ১৭, লাকমল ৫*, মালিঙ্গা ৪; রাবাদা ২/৩৬, মরিস ৩/৪৬, প্রিটোরিয়াস ৩/২৫, ফেলুকোয়ায়ো ১/৩৮, ডুমিনি ১/১৫)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৭.২ ওভারে ২০৬/১ (ডি কক ১৫, আমলা ৮০*, ডু প্লেসিস ৯৬*; মালিঙ্গা ১/৪৭)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা:  ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস

   

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমাকে উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;