এটা তাহলে ‘সাকিবের বিশ্বকাপ’ হতে চলেছে!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, টন্টন, ইংল্যান্ড থেকে
উইন্ডিজের বিপক্ষে নান্দনিক শতরানে ম্যাচসেরা সাকিব

উইন্ডিজের বিপক্ষে নান্দনিক শতরানে ম্যাচসেরা সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

সাকিব যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সঞ্চয় মাত্র ৫২ রান। ম্যাচ জিততে তখনো বাকি আরো ২৭০ রান!

বিশাল কাজই বটে! কিন্তু সেই বিশাল কাজ সাকিব অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে শেষ করলেন। ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ ৭ উইকেটে। তখনো ম্যাচের ৫১ বল বাকি। সাকিব ৯৯ বলে অপরাজিত ১২৪ এবং লিটন দাস করলেন হার না মানা ৯৪ রান।

বিশ্বকাপের চার ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফসেঞ্চুরি। দু’বার ম্যাচ সেরা। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩৮৪ রানের মালিক সাকিব। এবারের বিশ্বকাপকে পুরোদুস্তর নিজের করে নিচ্ছেন সাকিব। সেই প্রসঙ্গে সাকিব বললেন-‘বিশ্বকাপে আমাকে ভালো করতে হবে- সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি এখানে খেলতে এসেছি। দলের জন্য আমাকে অবদান রাখতেই হবে। নিজেকেই সবসময় বলেছি-আমাকে ভালো খেলতেই হবে। তবে এখানো আমাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়নি। সামনের চারটা ম্যাচ আছে। সেই ম্যাচগুলোতে ভালো খেলতেই হবে। নিজের ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়ে আমি এখন অনেক বেশি ফোকাসড এবং রিল্যাক্স।’

ম্যাচ জিততে চাই ৩২২ রান। এতো বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার নজির ছিলো না বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের বিশাল মঞ্চে বাংলাদেশ রান তাড়ার নতুন ইতিহাস তৈরি করলো। এই রান তাড়া করে জেতার ভিত্তিটা কি? ম্যাচ শেষে সেই বিশ্লেষণে সাকিব জানালেন-‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে কেউ ভাবেইনি যে এটা কঠিন কোনো রান হবে। সবাই খুব হাসিখুশি মেজাজেই ছিলো। এই পরিবেশই পুরো দলকে উদ্বীপ্ত করে। এই ম্যাচ আমরা জিতবো সেই বিশ্বাসের জন্ম তখনই।’

ম্যাচ জেতার জন্য দুই ওপেনারের ভালো শুরুকে আলাদা করে ধন্যবাদ দেন সাকিব-‘ দুই ওপেনারের শুরুর ব্যাটিং সেই আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে তোলে। যেভাবে তামিম ও সৌম্য খেলছিলো তাতে ড্রেসিংরুমের পরিবেশই বদলে গেলো। কোনো সময় কোনো হতাশা বা আতঙ্কের ছায়া কোথাও নেই। আমার তো মনে হয় মাঠে রান তাড়া করার বিশ্বাসের পুঁজি সেখানে পেয়ে যাই আমরা।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে এতো ভালো অবস্থানে সাকিবকে কখনো দেখা যায়নি। অন্তত ব্যাট হাতে। সেই প্রসঙ্গেও সাকিব বললেন-‘ব্যাটিংটা আমি ভালো করছি। তবে এটাই সেরা কিনা-তা জানি না। আশা করছি সামনের ম্যাচগুলোতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো। ব্যাটে-বলে আমার সময়টা ভালো যাচ্ছে। দলের জন্য অবদান রাখতে পারছি-তাতে আমি খুশি। গ্রুপে আরো চারটা ম্যাচ বাকি আছে। সামনের এই ম্যাচেও আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাইকে দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে হবে।’

সাকিবের সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটনের সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাহসের সময়। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই লিটন দাস যে ব্যাটিং করলেন তাতেই বাংলাদেশের কঠিন ম্যাচ জেতার কাজটাও সহজ হয়ে গেলো। সাকিবও তাই জানালেন-‘লিটন ব্যাটিং করতে নামার সময় আমি তাকে বলেছি-উইকেট খুব ভালো। যদি ঠিক মতো আমরা খেলতে পারি তাহলে তিন উইকেটেই ম্যাচ জিতে ফিরবো। প্রথম ১০/১৫ বলের পর লিটন যে কায়দায় ব্যাট করেছে সেটা দেখার আনন্দই আলাদা। অন্যপ্রান্ত থেকে আমি তার ব্যাটিং উপভোগ করেছি।

লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে অন্যপ্রান্তে আমি কখনোই কোনো চাপ অনুভব করিনি। এই রান তাড়ার সেটাই সবচেয়ে ভালো অংশ ছিলো। বিশ্বকাপে এটা ছিলো তার প্রথম ম্যাচ। চার ম্যাচ দলের বাইরে থাকার পর এমন ম্যাচে খেলতে নামাটা আদর্শ কোনো ব্যাপার নয়। তবে যে কায়দায় সে চাপ মোকাবেলা করেছে তাতে আমি মুগ্ধ।’

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;