সেবার শেষ আটে, এবার তাহলে শেষ চারে-কি বলেন?



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চার বছর আগে ইংল্যান্ড বধের পর উদযাপন টাইগার ক্রিকেটারদের-ফাইল ছবি

চার বছর আগে ইংল্যান্ড বধের পর উদযাপন টাইগার ক্রিকেটারদের-ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা প্রশ্ন উঠলো।

বাংলাদেশের খেলা ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের ২০১৯ বিশ্বকাপের একটা বড় পার্থক্য কি?

উত্তর মিললো এমন।

তখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলো শুধু অংশগ্রহণকারী একটা দল হিসেবে। আর এবার যাচ্ছে টুর্নামেন্টের সেরা হওয়ার একটা দৃঢ় ইচ্ছে নিয়ে। এই সাফল্যের সম্ভাবনাকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কঠিন বললেও অসম্ভব মানছেন না-‘সেমিফাইনালে যাওয়ার চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। তবে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। বিষয়টা অনেক কঠিন, তবে সম্ভবপরও বটে। এবার বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলেছে। আগে গ্রুপ পর্যায়ে একটা বড় দলকে হারালেই চলতো। তখন তাদের জন্য টুর্নামেন্টে ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে যেতো। কিন্তু এবার সবমিলিয়ে গ্রুপ পর্যায়ে নয়টি ম্যাচ আছে। যেসব দল সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে যাচ্ছে তারা কয়েকটি ম্যাচ হারলেও টুর্নামেন্টে ফিরে আসার সুযোগ পাবে এই ফরম্যাটে। এই বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। পেছনের পাঁচটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছে। ১৯৯৯ সালের অভিষেক বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলো। সেবার জয় পেয়েছিলো স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও। অভিষেক বিশ্বকাপে দুই জয়ের আনন্দ নিয়ে ফিরলো গর্বিত বাংলাদেশ। 

এর ঠিক তার চার বছর পরের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে ক্রিকেট খেলেছিলো তাতে কানাকড়ি পর্যন্ত হারিয়ে বসে। কানাডা ও কেনিয়ার মতো দলের কাছে হারে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের সেই বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দুঃস্বপ্নের সেই বিশ্বকাপ বাংলাদেশ পারে তো রাবার দিয়ে ঘসে মুছে ফেলতে চাইবে ইতিহাসের পাতা থেকে!

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ফের চমক! এবার প্রথম পর্বে বাংলাদেশের শিকার ভারত। বিশ্বকাপ থেকে সেবার মুলত বাংলাদেশের কাছে হারেই প্রথম পর্ব থেকেই ভারতের বিদায় লেখা হয়ে যায়। সেই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে উঠে বাংলাদেশ। সেখানেও বিস্ময় তৈরি করে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে।

২০১১ সালে নিজ মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ভালো-মন্দের মিশ্রণ। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জিতে তিনটি ম্যাচ। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আলোড়ন তৈরি করে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭৮ রানে গুটিয়ে লজ্জার রেকর্ডও তৈরি করে।

২০১৫ বিশ্বকাপের শুরুটা হলো আফগানিস্তানকে হারিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনার দুয়ার খোলে। আর অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ।

সেবার শেষ আটে মোকাবেলা হলো ভারতের সঙ্গে। আম্পায়ারিং বিতর্ককে সঙ্গে নিয়ে ভারত সেই ম্যাচে জিতে নিলো। প্রথমবারের মতো শেষ আটে খেলার আনন্দ নিয়েই বিশ্বকাপ থেকে ফিরলো বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে যে কায়দায় মাঠে প্রভাবী ব্যাটিং- বোলিং দেখায় বাংলাদেশ তা দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেলো অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে প্রায় বলে-কয়ে হারানোর ম্যাচের সেই বীরত্ব গাঁথা!

চার বছর আগের শেষ আটের সেই সাফল্যকে এবার আরেক ধাপ উপরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নামছে বাংলাদেশ দল। স্বপ্নটা অনেক বড়। পথটাও এবার কঠিন।

আরে ভাই, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্মই যে কঠিন ও অসম লড়াই জিতে!

   

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ম্যাচের মতো যেখানে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে, জিম্বাবুয়েকে শুরুতে বোলিং করে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই তুলে নিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর পরের দুই ওভারে ৪১ রানে ৭ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল তাসকিন, সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদীরা।

যদিও শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল সিকান্দার রাজার দল। যা ব্যাট হাতে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সাফল্যের পর তাই এ ম্যাচেও শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ তাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আনলেও জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। অভিষেক হতে যাচ্ছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। অন্যদিকে দল থেকে বাদ পড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মান্দান্ডে (উইকেটরক্ষক), লুক জংওয়ে, আইন্সলে এনডলোভু, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

;

মুস্তাফিজের পর পাথিরানাকেও হারাল চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলের অন্যতম সেরা এই পেসারকে হারানোর পর লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে ঘিরে আশা ছিল তাদের। আইপিএলের বাকি অংশ তুরুরাজ গায়কোয়াড়েড় দলের তুরুপের তাস হতে পারতেন এই গতিতারকা। কিন্তু কীসের কী! হ্যামস্ট্রিং চোটে যে আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলে এই লঙ্কান পেসার।

ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, চোট থেকে সেরে উঠতে শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন পাথিরানা। গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন এই পেসার, সেজন্য আইপিএলে চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচটিও মিস করেছিলেন।

বোলিং বিভাগ নিয়ে এবার বেশ ভাবনাতেই পড়তে হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে। একদিকে মুস্তাফিজ এবং পাথিরানাকে হারিয়েছে দলটি, অন্যদিকে দলের মূল ভারতীয় পেসার দীপক চাহারও চোট নিয়ে এখন মাঠের বাইরে। দলের একমাত্র বিদেশি পেসার হিসেবে আজ (রবিবার) পাঞ্জাবের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৩৬ বয়সী রিচার্ড গ্লিসনকে খেলাচ্ছে তারা। ভারতীয় আরেক পেসার তুষার দেশপান্ডে চোট থেকে সেরে উঠে এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরেছেন।

১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন আইপিএলের পয়েন্টে টেবিলের পাঁচ নম্বর স্থান দখল করে আছে চেন্নাই। প্লে-অফের টিকিট পেতে শেষ চারটি ম্যাচ তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সে সময়ই বোলিং বিভাগে একের পর এক দুঃসংবাদ চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে।

;

২২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ইপসউইচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে যখন ইংলিশ প্রথম বিভাগ ফুটবল প্রিমিয়ার লিগের মোড়কে হাজির হয়, তখন ইপসউইচ টাউন প্রিমিয়ার লিগে খেলত। তবে এরপর দুইবার লিগ থেকে অবনমিত হতে হয় তাদের। সর্বশেষ ২০০১-০২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলে তারা। ২২ বছর পর আবার প্রিমিয়ার লিগের দেখা পেয়েছে ‘ট্র্যাক্টর বয়েজ’ খ্যাত ক্লাবটি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) হাডার্সফিল্ড টাউনকে ২-০ গোলে হারিয়ে এবারের ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট কাটে তারা। এর আগে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত লেস্টার সিটি প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার যোগ্যতা অর্জন করে।

চ্যাম্পিয়নশিপে ৯৭ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লেস্টারের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নিয়েছে ইপসউইচ। চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দলকে এখন  প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্লে-অফ টুর্নামেন্টে খেলতে হবে। সে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন তৃতীয় দল হিসেবে পাবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট।

কোচ নর্দার্ন আইরিশ কোচ কিয়েরান ম্যাককেনার অধীনে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে ইপসউইচ। ২০২১ সালে ক্লাবের দায়িত্ব নেয়া ম্যাককেনার অধীনে গত মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের তৃতীয় বিভাগ লিগ ওয়ান থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তীর্ণ। এবার ব্যাক-টু-ব্যাক প্রমোশন পেয়ে তারা পৌঁছে গেল প্রিমিয়ার লিগে।

;