সাইফুদ্দিনের ৫ উইকেট, আবাহনীর আরেকটি জয়
আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটের এই হারের সঙ্গে সঙ্গে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড একটা সত্য জেনে গেলো-চলতি টুর্নামেন্টে শিরোপার লড়াই তাদের শেষ। আর আবাহনী এই ম্যাচ জিতে আরেকবার জানান দিলো-চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে বেশ ভালভাবেই আছে তারা।
১৪ ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের অর্জন মাত্র ১৬ পয়েন্ট। সমান সংখ্যাক ম্যাচে আবাহনীর সঞ্চয় ২২ পয়েন্ট। লিডার হিসেবে রূগগঞ্জ তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি।
মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংক আসলে লড়াই জমিয়ে তোলার মতো যোগাড়ই করতে পারেনি। নিজের ওপেনিং স্পেলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনারকে বিদায় করে দেন। মিডলঅর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা সারেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সৌম্য সরকার।
৬৬ রানে ৬ উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংক যে শেষ পর্যন্ত ২২৬ রানে পৌঁছালো সেজন্য অলক কাপালি ও স্পিনার নাঈম হাসান একটা বড়সড় ধন্যবাদ দাবি করতেই পারেন। অলক ১১২ বলে ৮০ রান করেন। নাঈম হাসানের ব্যাট হাসে ৭৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে।
শুরুতে বল হাতে ঝড় তোলা সাইফুদ্দিন নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন ইনিংসের শেষভাগের জন্য। প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং লেজ ছেঁটে ফেলেন সাইফুদ্দিন একাই। টপাটপ আরো তিন উইকেট তুলে নেন। ম্যাচে তার শিকার ৯.১ ওভারে ৩২ রানে ৫ উইকেট। সত্যিকার অর্থেই এই ম্যাচে সাইফুদ্দিন ছিলেন ‘আনপ্লেয়েবল’!
ইনিংসের শুরুতে আউট হওয়াকে সৌম্য সরকার যেন ‘অভ্যাসই’ বানিয়ে ফেলেছেন! এই ম্যাচেও সেটাই বজায় রইলো। নিজের খেলা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে আউট সৌম্য। স্পিনার নাঈম হাসানের বলে স্ট্যাম্পড হলেন। ওয়াসিম জাফরের ৬৪ এবং নাজমুল হাসান শান্ত’র ৮৪ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে আবাহনী সহজ জয় তুলে নেয়। মোহাম্মদ মিঠুনও ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করে ব্যাটিং একটু ঝালিয়ে নিলেন।
চলতি টুর্নামেন্টে লিগ পর্যায়ে আবাহনী তাদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিলো প্রাইম ব্যাংকের কাছে। সুপার লিগে এসে সেই হারের শোধ নিলো আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক: ২২৬/১০ (৪৯.৩ ওভারে, অলক ৮০, নাঈম হাসান ৫১, সাইফুদ্দিন ৫/৩২, মাশরাফি ২/৫০, সৌম্য ২/৪২)।
আবাহনী: ২২৮/৪ (৪৪.৪ ওভারে, ওয়াসিম জাফর ৬৪, শান্ত ৭৭*, মিঠুন ৩৩*, নাঈম ২/৪৯)।
ফল: আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।