প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়ে এনামুলের একশ’
প্রাইম ব্যাংকের ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ম্যাচটা যখন শেষ হলো তখন চাইলে উভয় দল অতিরিক্ত একটা টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে নিলে পারতো! হাতে এতো বেশি সময় রেখে শেষ হলো এই ম্যাচ!
প্রাইম ব্যাংকের বিশাল এবং সহজ এই জয়ে একজন ঠিকই আকর্ষণ কাড়লেন-এনামুল হক বিজয়। ১১১ বলে ঠিক অপরাজিত ১০০ রান করলেন প্রাইম ব্যাংকের এই ওপেনার। চলতি লিগে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। আর লিস্ট ‘এ’ তে দশ নম্বর একশ’।
বিকেএসপিতে টসে জিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জের ইনিংস। ওপেনিং-এ নাইম শেখের ৪৩ বলে ৫২ এবং সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাকির আলী অনিকের ৬৪ বলে ৪৭ রান ছাড়া দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন! কোটার পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারলো না রূপগঞ্জ।
প্রাইম ব্যাংকের রাজ্জাক, মোহর শেখ, আল আমিন হোসেন, আরিফুল হক ও অলক কাপালি প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট পেলেন। বিকেএসপির মাঠ সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু সহজ সেই ব্যাটিং উইকেটেই মুখ থুবড়ে পড়ে রূপগঞ্জের ব্যাটিং।
মামুলি টার্গেটের পেছনে ছুটতে নেমে ম্যাচ জয়ের মুল কাজটা সেরে নেয় প্রাইম ব্যাংক এনামুল ও রুবেল মিয়ার ওপেনিং জুটিতেই। ২৩.৪ ওভারে এই জুটিতে যোগ হয় ১২৫ রান। ৬১ বলে ৪৪ রান করে রুবেল মিয়া ফিরেন। তবে অন্যপ্রান্তে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান এনামুল হক বিজয়। ১২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক। তার সঙ্গে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সুদীপ চ্যাটার্জি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১৬৩/১০ (৪৬.১ ওভারে, নাইম শেখ ৫২, আলী অনিক ৪৭, মোহর শেখ ২/১৪, আল আমিন হোসেন ২/৪৮, আরিফুল ২/৩৮, রাজ্জাক ২/২৫, অলক কাপালি ২/১২)। প্রাইম ব্যাংক: ১৬৬/১ (৩১.৩ ওভারে, এনামুল ১০০*, রুবেল মিয়া ৪৪, সুদীপ চ্যাটার্জি ১৫*, নাবিল সামাদ ১/৩৬)। ফল: প্রাইম ব্যাংক ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান সেরা: এনামুল হক বিজয়।