শফিউল-রকিুবলের ম্যাচে মোহামেডানের জয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন শফিউল -ফাইল ছবি

পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন শফিউল -ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এই ম্যাচের সবকিছুই জমা ছিলো তাহলে শেষের নাটকের জন্যই!

শেষের সেই নাটকীয়তায় জিতলো মোহামেডান। আর ব্যাট হাতে দলের এই জয়ের নায়ক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান। তার হার না মানা ৮২ রানের চওড়া ব্যাটেই মোহামেডান ৩ উইকেটে হারালো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। তবে ম্যাচ সেরার কৃতিত্বে রকিবুলের ৮২ রানকে পেছনে ফেললেন পাঁচ উইকেট শিকারি শফিউল ইসলাম।

শনিবার (৯ মার্চ) সাভারে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ যে ভয়াবহ বিপদে পড়ে তাতে একসময় মনে হচ্ছিলো তিন অংকেও পৌছাবে না তাদের স্কোর। ২৬ রানে নেই শুরুর ৬ উইকেট! এই ৬ উইকেটের মধ্যে পাঁচটিই মোহামেডানের পেসার শফিউল ইসলামের! ব্যাটিংয়ে চরম সঙ্কটে পড়া দলকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন শেষের ব্যাটসম্যানরা।

সাত আট ও নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিন ব্যাটসম্যানের কৃতিত্বে গাজী গ্রপের সঞ্চয় কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায়। ১৮২ রানে থামে গাজীর নড়বড়ে ইনিংস। যেখানে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা তৌহিদ তারিখ খানের অবদান ৭০ বলে ৫৬ রান। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে ব্যাট হাতে বিস্ময় উপহার দেন আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা শামসুল ইসলাম অনিক। মাত্র ৩ বাউন্ডারিতে ১১১ বলে তার অপরাজিত ৭১ রান গাজী গ্রপের ইনিংসে সবচেয়ে সাহসী ব্যাটিংয়ের পদক পাচ্ছে! নয় নম্বর ব্যাটসম্যান আবু হায়দার রনির ৩৪ বলে ২৪ রানও দলের সংগ্রহকে দুশোর কাছে পৌছে দেয়।

মোহামেডানের বোলিংয়ের পুরোটাই জুড়ে কেবল একটাই নাম-শফিউল ইসলাম। এক স্পেলেই গাজীর ৫ উইকেট উপড়ে দেন তিনি। চলতি লিগে ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের এটাই প্রথম কৃতিত্ব।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের ব্যাটিংও ছত্রখান হয়ে পড়ে! ২২.১ ওভারেই তারা মাত্র ৮৭ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইরফান শুকুর। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে মোহামেডান।

বিপর্যয়টা একা হাতেই সামাল দিলেন অভিজ্ঞ রকিবুল হাসান। একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে রকিবুল ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করে গেলেন। ১২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় তার অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস মোহামেডানকে ৩ উইকেটের জয় উপহার দিলো। শেষের দিকে সোহাগ গাজীর ২৯ ও নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা আলাউদ্দিন বাবু অপরাজিত ১৪ রান মোহামেডানের জয়ে অবদান রাখে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ১৮১/১০ ( ৪৫.২ ওভারে, তৌহিদ তারিক ৫৬, অনিক ৭১*, রনি ২৪, শফিউল ৫/৩২, সোহাগ গাজী ২/১৭)। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ১৮৩/৭ (৪৫.৩ ওভারে, রকিবুল ৮২*, সোহাগ গাজী ২৯, আলাউদ্দিন বাবু ১৪*, রুয়েল ২/৩২, কামরুল ২/১৯)। ফল: মোহামেডান ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: শফিউল ইসলাম।

   

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ম্যাচের মতো যেখানে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে, জিম্বাবুয়েকে শুরুতে বোলিং করে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই তুলে নিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর পরের দুই ওভারে ৪১ রানে ৭ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল তাসকিন, সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদীরা।

যদিও শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল সিকান্দার রাজার দল। যা ব্যাট হাতে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সাফল্যের পর তাই এ ম্যাচেও শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ তাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আনলেও জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। অভিষেক হতে যাচ্ছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। অন্যদিকে দল থেকে বাদ পড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মান্দান্ডে (উইকেটরক্ষক), লুক জংওয়ে, আইন্সলে এনডলোভু, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

;