রোবি ফ্রাইলিঙ্ক: কঠিন ম্যাচ সহজে জেতান যিনি!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
রোবি ফ্রাইলিঙ্ককে ঘিরে আনন্দে মেতেছে চিটাগংয়ের ক্রিকেটাররা

রোবি ফ্রাইলিঙ্ককে ঘিরে আনন্দে মেতেছে চিটাগংয়ের ক্রিকেটাররা

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচে দুটোতে জিতেছে চিটাগং ভাইকিংস। আর এই দুই জয়েই দলের হয়ে বড় ভুমিকা রেখেছেন রোবি ফ্রাইলিঙ্ক। কখনো ব্যাটে। কখনো বল হাতে। টি-টুয়েন্টির ঠিক পারফেক্ট ক্রিকেটার বলতে যা বোঝায় পুরোদুস্তর সেটাই এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

প্রায় হিসেবের বাইরে থাকা ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছেন দলকে। বল হাতেও চমৎকার ফর্মে আছেন। ব্যাট হাতেও বিগ শট খেলে কম বলে বেশি রানের কঠিন টার্গেটকে সহজ বানিয়ে দিচ্ছেন।

খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে শেষ ওভারে ব্যাটে এবং সুপার ওভারে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখান ফ্রাইলিঙ্ক।

খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে শেষ ওভারে চিটাগং ভাইকিংসের প্রয়োজন ছিলো ১৯ রান। সেই ওভারে আবার প্রথম বলে কোন রান হলো না। দ্বিতীয় বলে নাঈম হাসান ছক্কা মারলেন। তৃতীয় বলে তিনি আউট। পরের দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে নাটকীয়ভাবে চিটাগংয়ে জয়ের একদম কাছে নিয়ে গেলেন ফ্রাইলিঙ্ক। আরিফুল হকের করা পঞ্চম বলে যে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ফ্রাইলিঙ্ক, সেটা ছিলো কোমর সমান উচ্চতায় আসা ফুলটস। ফ্রাইলিঙ্ক ছক্কা হওয়ার পর সেই বলটা ‘নো’ কলের জন্য আম্পায়ারের কাছে ছুটে গিয়ে দাবি জানান। সেই বলটা নো হলেই ওতে ৭ রান আসে। তখনই ম্যাচ জিতে যায় চিটাগং ভাইকিংস। কিন্তু আম্পায়ার সেই বল ‘ নো’ কল করেননি। ওভারের শেষ বলে ফ্রাইলিঙ্ক কোন রান নিতে পারেননি। রান আউট হয়ে যান। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে ১২ রানের টার্গেট ছুঁতে পারেনি খুলনা। ঠিক জায়গায় বল রেখে দলকে ১ রানের জয় এনে দেন চিটাগংয়ের এই বিদেশি ক্রিকেটার। নাটকীয় এই জয়ের পর ফ্রাইলিঙ্ক বলছিলেন-‘আমি এখনো বিশ্বাস করি শেষ ওভারের পঞ্চম ঐ বলটা ছিলো নো বল। কিন্তু আম্পায়ার ভিন্নমত পোষণ করেন। কি আর করার! পুরো ম্যাচটা দুর্দান্ত হয়েছে। দু’দলই ভালো খেলেছে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো একটা দলকে হারতেই হতো!’

ব্যাটে-বলে ম্যাচ জেতানোর এমন কৃতিত্ব ফ্রাইলিঙ্কের জন্য নতুন কিছু নয়। বললেন-‘আমি সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামি। জানি ওখানে আমাকে কম বলে বেশি রান করতে হবে। কখনো কখনো শেষ ওভারে ১৫ রান নিতে হবে। আবার কখনো বল হাতে শেষ ওভারে ১০ রানও ডিফেন্ড করতে হবে। আমি এও জানি এমনসব ম্যাচে কখনো আমি পারবো। কখনো প্রতিপক্ষ পারবে। আজ এই দিনটা ছিলো আমার।’

চলতি বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংস তিন ম্যাচে দুটিতে জিতেছে। এই দুই ম্যাচেই জয়ের নায়ক রোবি ফ্রানলিঙ্ক। দুটোতেও ম্যাচ সেরা তিনি। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে যে ম্যাচে হেরেছে চিটাগং, সেখানেও ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাটে-বলে পারফরমেন্স অনবদ্য। ২৪ বলে ৪৪ রান। এবং ২৬ বলে ৩ উইকেট শিকার। যে ম্যাচে দল জিতছে সেখানে সেরা পারফরমেন্স তার। যে ম্যাচে জিততে পারেনি, সেখানেও সেরা চেষ্টাটা তারই!

ক্যারিয়ারের লম্বা সময় জুড়ে ম্যাচে এমন জমাট মূহূর্ত দেখে এসেছেন এবং সেই সময়টা জয়ও করেছেন; সেই অভিজ্ঞতাই ফ্রাইলিঙ্ককে এমনসব কঠিন সময়েও শান্ত ও ধীরস্থির থাকতে সহায়তা করেছে।

ম্যাচের চরম উত্তেজনার সময়ও এত শান্ত ভঙ্গিতে থাকার সেই রহস্য প্রসঙ্গে ফ্রাইলিঙ্ক জানালেন-‘অনুশীলন করা। ভালভাবে অনুশীলন করা এবং দক্ষতা বাড়ানো। তাহলেই এমনসব কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়া যায়, জেতা যায়।’

কঠিন ম্যাচ জেতানোর ফ্রাইলিঙ্কের সহজ ফর্মুলা তাহলে এই!

   

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট সেরা বোলিংয়ে রাজার সঙ্গী যারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। সাকিব, সোহান, ইয়াসির রাব্বিসহ এভাবে একে একে শেখ জামালের আট ব্যাটসম্যানই শিকার রেজাউর রহমান রাজার। ৬ ওভার ৩ বলের স্পেলে ২৩ রানে শিকার আট উইকেট। রাজার এই বোলিং পরিসংখ্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা।

রাজা বোলিংয়ে আসার আগেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। যে তান্ডব রাজা চালিয়েছিলেন তাতে ঝুঁকি নিয়ে একটা কথা বলে যেতেই পারে ওপেনিং স্পেলে বল করলে রাজা হয়তো দশ উইকেটই পেতেন। আবার এভাবেও বলা যায়, হাতে উইকেট থাকলে কিংবা আর দুই এক ওভার বল করলেই পেতে পারতেন দশ উইকেটও। কারণ ২৩ রানে আট উইকেট শিকারের দিন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিলেন রাজা।

লিস্ট এ তে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে এতোদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো ইয়াসিন আরাফাত মিশুর।  ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তিনে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিন কিংবদন্তি ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট।

চলতি ডিপিএলেই ২০ রানে সাত উইকেট শিকার করা আবু হায়দার রনি আছে লিস্টের চারে।

;

টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

আজ (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অনেকটা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করে দুই দল। একের পর আক্রমণ গড়েও মোহামেডান পুলিশের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অর্ধে যে কয়টি সুযোগ এসেছিল তা লুফে নিতে না পারার আক্ষেপ ছিল পুলিশের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সে আক্ষেপ ঘুচে যায় তাদের। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই মোহামেডান বক্সে পুলিশের হানা। ৪৬ মিনিটে মুরিওর ফ্রি কিকে হেড করেন উখমাতোভ, পোস্টে লেগে বল প্রবেশ করে জালে। মোহামেডান গোলকিপার সুজন তা ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ার দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ শানায় মোহামেডান। ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডে জাল খুঁজে পেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান। বক্সের ভেতর সুলেমান দিয়াবাতের শট ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে গোল পেয়ে যান সানডে।

৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় মোহামেডান। এ যাত্রায় গোলের কারিগর বনে যান সানডে। তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানকে আনন্দে ভাসান শাহরিয়ার ইমন।

আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস।

;

ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন তৈয়ব হাসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।

বুধবার (৮ মে) তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিন এমিরেটস এয়ারলাইনযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পৌঁছে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামী ১২ মে তিনি দেশে ফিরবেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি-তে তিনি ১০ বছর এলিট রেফারি হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব হাসান প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারি হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন এই কৃতি রেফারি।

করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা তিনি দুস্থ, পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈয়ব হাসান বাবুকে পুরস্কৃত করেছে।

 

 

;

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটার ফারাজ আকরাম লড়াই করলেন। ব্যাটিং ধসের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রইলেন। টপ এবং মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় জয় তবু অধরাই রইল তাদের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয়লাভ করল ৯ রানে। এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার জয়লর্ড গামবিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। সাইফউদ্দিনের বল ক্যাচ তুলে দেন গামবি, ডিপ থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহ সহজ ক্যাচ তালুতে জমিয়ে গামবির বিদায় নিশ্চিত করেন। 

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকেও নিজের শিকার বানান এই সিরিজ দিয়ে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার বলে ঠিকঠাক শট না খেলতে পেরে বল স্টাম্পে টেনে আনেন এরভিন (৭)।

সাইফউদ্দিনের দুই উইকেটের মাঝে ব্রায়ান বেনেটকে কট এন্ড বোল্ড করেন শরিফুলের জায়গায় একাদশে ঢোকা তানজিম সাকিব। প্রথম ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলতেই এই তিন উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

পাওয়ার প্লে’র পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির বিচারে অসম্ভব কোনো লক্ষ্য না হলেও ১৬৬ রান তাড়ায় একেবারেই ছন্দ খুঁজে পায়নি সিকান্দার রাজার দল।

জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার গতিতে পরাস্ত হয়, মিডল অর্ডার ঘূর্ণিতে। তবে লেজের সারির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখে জিম্বাবুয়ে। নবম উইকেটে ৫৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ফারাজ এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে ফারাজ ১৯ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৯ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে ২ উইকেট। ফর্মহীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন লিটন দাস। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে আদৌ দলে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাস্যকরভাবে নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন লিটন। মুজারাবানিকে টানা দুইবার স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েও তৃতীয়বার একই কাজ করার চেষ্টা করে বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন ১২ রান।

অধিনায়ক শান্তও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। সিকান্দার রাজার আর্ম বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

চতুর্থ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়ে তোলেন ৮৭ রানের জুটি। তাদের জুটিতে লড়াইয়ের রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেছেন হৃদয়। একই ওভারে মুজারাবানির ইয়র্কারে ধরাশায়ী হওয়া জাকের আলি করেছেন ৪৪ রান। তাদের নৈপুণ্য ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

আগামী ১০ মে (শুক্রবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;