প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল অ্যালামনাইয়ের পুনর্মিলনী



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল অ্যালামনাইয়ের গাজীপুর জোনের পুনর্মিলনী, ছবিছ সংগৃহীত

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল অ্যালামনাইয়ের গাজীপুর জোনের পুনর্মিলনী, ছবিছ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজেন্দ্রপুর ব্র্যাক সি ডি এম সেন্টার, গাজীপুরে কর্মরত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দিন ব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘বস্ত্রখাতকে বাঁচাও, অর্থনীতিকে বাঁচাও, দেশকে বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, ট্রেজারার একেএম আশরাফুল হক এবং রেজিষ্ট্রার, আবুল কাশেম মোল্লা।

লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সগযোগী অধ্যাপক এম. এ. সাঈদ মিয়া, হেলাল উদ্দিন এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র এবং সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল ডাকুয়া ও রাশেদ আহমেদসহ চার শতাধিকেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

পায়রা উড়িয়ে এবং লোগো উন্মোচন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্ম দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়। দক্ষ ও স্থানীয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দেশে এবং বিশ্বের তৈরি পোশাক ব্যবসায় প্রতিযোগিতামূলক বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে সবুজ বিশ্বের এবং স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন লিস্কি টেকনোলজি (বিডি) লিমিটেড, কেসি টেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কর্পোরেট ফিল্ড এবং আরটেক্স কর্পোরেশন লিমিটেড।

   

ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS)- এর উদ্যোগে 'ভাষা আন্দোলন এবং বিশ্বে বাংলাভাষী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আবির্ভাব' শীর্ষক দু'দিন ব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডন কিংস কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জন উইলসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা বিষয়ে সমন্বিত গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন বাঙালির আত্ম-পরিচয় ও স্বাধিকারের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বহুত্ববাদের আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিকৃত ইতিহাস রচনা করে এবং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। এটি বাঙালির আত্ম-পরিচয়, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। নতুন জ্ঞান বিতরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্যের মাঝে উদ্দীপনা জাগাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

;

আনন্দমুখর পরিবেশে সিআইইউতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দমুখর পরিবেশে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর সামার সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সোমবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা অংশ নেন মৌখিক পরীক্ষায়।

এর আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি এসময় গবেষণা, দক্ষতা ও নিত্য-নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে তাঁর প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর বলে অভিভাবকদের জানান।

সকালে পরীক্ষার হলগুলো ঘুরে দেখেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুর কাদের, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. রুবেল সেনগুপ্ত, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের সহকারী ডিন সার্মেন রড্রিক্স, স্কুল অব ল’র সহকারী ডিন নাজনীন আকতার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের দুই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছেন কিংবা যারা ভর্তির পর সেমিস্টারগুলোতে ভালো ফলাফল করবেন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে স্কলারশিপের নানান সুযোগ।

তাসনিয়া দোহা চৌধুরী নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন,ভালো উচ্চশিক্ষার জন্য সবাই এখন চিন্তিত। আর তার জন্য চাই ভালোমানের প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে, তার ভেতর সিআইইউ আমার বরাবরই পছন্দের। আশা করছি, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে পারবো।

 

;

জাবির ছয় অনুষদের ডিন নির্বাচনে ৩০ জনের মনোনয়নপত্র জমা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয়টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৩০ জন প্রার্থী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ২টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন পদে জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সর্বমোট ৭ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক আতাউর রহমান ও অধ্যাপক মো. এনামউল্যা এবং গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রব।

কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৪ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা ও অধ্যাপক খো: লুৎফুল এলাহী এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন পদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন্য প্রার্থী৷ তারা হলেন, উদ্ভিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূহু আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডিন পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী৷ তারা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত, সহযোগী অধ্যাপক নাফিজা ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নিগার সুলতানা, অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন, সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন রাজিব।

এছাড়া আইন অনুষদের ডিন পদে নির্বাচনের জন্য একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ।

প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে আগামি ০২ মে বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলে আগামী ৬ মে দুপুর ২টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রার্থী লিখিত আবেদনের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন৷ এরপর আগামি ৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আগামি ১৫ মে ছয়টি অনুষদে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরসহ মোট ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) মধ্য রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এতে বিবাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম। এছাড়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাকিব হোসেন ও দ্বীপ চৌধুরী।

সভাপতি আবু তাহের অভিযোগে উল্লেখ করেন, নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন নিজে সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করেন। এ সময় আরো অন্তত ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্য কার্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান উক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের উপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টোরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকিধামকি প্রদান করেন। এভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা ও হুমকিধামকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'গতকাল রাতে আমরা প্রায় ৫০ জন শিক্ষক থানায় অভিযোগ করে এসেছি। গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে উপাচার্য স্যার নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বারংবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করিয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ অভিযোগের ২০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'

;