'জাকসু'সহ সকল নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষকদের প্রতীকী অবস্থান, ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষকদের প্রতীকী অবস্থান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের ঘোষণা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন, সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকদের জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’।

এ লক্ষ্যে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তবে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা বলছেন, 'উপাচার্যের অসুস্থতার কারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।'

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘উপাচার্যের কাছে যে আশা ছিল সেই আশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলুক। এখনো আপনার সময় শেষ হয়ে যায়নি। আপনি অতিদ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। যদি না করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আসব। গোটা প্রশাসন বসে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনের আয়োজন করবেন। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে গেছি এমন ঘোষণা দেওয়ার পরেও আপনি লঙ্ঘন করলেন। আপনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় না নিজেরও ক্ষতি করে ফেললেন। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তি হলো নৈতিক ও যৌক্তিক। স্মরণ রাখবেন লক্ষ্যে অর্জনের জন্য আমরা খুব শীঘ্রই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্য ও তার আশপাশের মানুষের কারণে আজ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৬ মের মধ্যে সকল ধরণের নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। কিন্তু এখন উপাচার্যের অসুস্থতার কথা বলে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। গত ৬মার্চ থেকে তিনি অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছেন, তাহলে ছুটি নেওয়ার আগে কেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন না? বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে আছে নির্বাচন দিতে হবে সুতরাং উপাচার্য নির্বাচন দিতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা প্রয়োজন আর এই জন্য আমরা সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ নেমেছি। আমরা কাউকে রক্ষা বা পদত্যাগের জন্য নামি নাই। আমরা নেমেছি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশকে রক্ষা করতে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করতে।’

জাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনের কথা বলে উপাচার্য শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছেন। উনি বলেছেন শিক্ষকরা নাকি নির্বাচন চায়না। আমি বলছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭০ জন শিক্ষক জাকসু নির্বাচন চায়। আপনি যদি ২১ দিনের মধ্যে শিক্ষকদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে জাকসু নির্বাচন দিতে পারেন দেন। আমরা চাই আগে জাকসু হোক। তারপরও যদি মনে করেন আপনি শিক্ষকদের নির্বাচন দিবেন না জাকসু দিবেন তবে তাই করেন। কিন্তু ছাত্র শিক্ষক মুখোমুখি অবস্থানে দাড় করাবেন না।’

অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা, অধ্যাপক মো. শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক কৌশিক সাহা, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু প্রমুখ।

এর আগে গত ১৬ মার্চ উপাচার্য পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে প্রচারিত এক প্রচারপত্রে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা দাবি করেন উপাচার্যের অসুস্থতাকে নিয়ে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের বক্তব্য ‘অত্যন্ত অমানবিক, অযৈাক্তিক ও নিন্দনীয়’। এছাড়া তারা মনে করেন মেয়াদোত্তীর্ণ সকল নির্বাচনের ব্যাপারে উপাচার্য আন্তরিক। তিনি খুব শীঘ্রই সকল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

এছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চার দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ। এর মধ্যে আগামী ১৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং গণসংযোগ, ২১ মার্চ সারাদিন কর্মবিরতি, ২৪ মার্চ দুপুর একটায় কালো পতাকা ধারণ এবং ২৭ মার্চ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভা।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ৬ মে’র মধ্যে সকল নির্বাচন আয়োজন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে তফসিল ঘোষণায় গড়িমসি করছেন উপাচার্য এমন দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকদের জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’।

 

   

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে নির্দেশনা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট-এ আগামী ২৭ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও বহিরাগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য: গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

;