কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে স্থবির বেরোবি
১১ দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কর্মকর্তারা। বুধবারের (১৩ মার্চ) এই কর্মসূচিতে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও যোগ দেন।
সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা। তাদের এই কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পেনশন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবিতে গত সোমবার (১১ মার্চ) কর্মবিরতি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেবে। অন্যথায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।’
তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী সিন্ডিকেটের আগে কর্মচারীদের নীতিমালা পাস, চলতি মাসেই ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ, দ্রুত পেনশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল, দূরের কর্মচারীদের জন্য গাড়ি ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার করা, কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা।
অন্যদিকে, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দপ্তরে বদলিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস উপাচার্য আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় আমাদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
এদিকে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে দাপ্তরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেঙে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।