জাবিতে র্যাগিং প্রমাণে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কোনো শিক্ষার্থীকে র্যাগ দিলে র্যাগদাতাকে প্রমাণ সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিষ্কার করা হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের র্যাগিং প্রতিরোধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে র্যাগিং বিরোধী সচেতনতামূলক র্যালি করা হবে, ক্লাস শুরুর দিন বিভাগ ও হল প্রশাসন নতুন শিক্ষার্থীদেরকে পূর্ববর্তী সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে, শিক্ষকদের নিয়ে একাডেমিক ভবন ভিত্তিক ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হবে, বিভাগীয় সভাপতি ও ছাত্র উপদেষ্টাগণ ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও কাউন্সেলিং করবেন, হল প্রভোস্ট, ওয়ার্ডেন, আবাসিক শিক্ষক, সহকারী আবাসিক শিক্ষক পালাক্রমে হলে উপস্থিত থাকবেন, হলে ওঠার দিন থেকেই হল প্রশাসন নতুন শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করবেন, হল প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে প্রক্টরিয়াল বডি হলে প্রবেশ করতে পারবে, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা দিবা-রাত্রি মোবাইল ডিউটি পালন করবেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাত ১০টার পরে জয় বাংলা গেট ব্যতীত সকল গেট বন্ধ থাকবে প্রভৃতি।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে র্যাগিং প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হল- শিক্ষক ক্লাসে প্রবেশের পূর্বে শ্রেণীকক্ষের দরজা বন্ধ করা যাবে না, হলে যাতে র্যাগিং না হয় সেজন্য ছাত্রনেতা/নেত্রীদের দায়িত্ব নিতে হবে, ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে দুর্গম-লোক চলাচল কম-নির্জন স্থানে নেওয়া যাবে না, শিক্ষার্থীদেরকে সার্বক্ষণিক আইডি কার্ড/লাইব্রেরি কার্ড/ বিভাগের কার্ড সাথে রাখতে হবে, এখন থেকে ব্যাচ দিবস পালন করা যাবে না এবং রাত ১২টার পরে বটতলা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও খাবার দোকান খোলা রাখা যাবে না।