‘প্রশ্নফাঁসের কলঙ্ক’ মেটাতে একা লড়ছেন আখতার!



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘প্রশ্নফাঁসের কলঙ্ক’ মেটাতে একা লড়ছেন আখতার!/ছবি: বার্তা২৪

‘প্রশ্নফাঁসের কলঙ্ক’ মেটাতে একা লড়ছেন আখতার!/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘড়ির কাটায় রাত ২ টা ৩০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় মধ্যরাতে হেমন্তের ঈষৎ কুয়াশার খেলায় শরীরে শীতল অনুভূতি দেয়। গোটা এলাকা জুড়ে রাজ্যের নীরবতা। মাঝে মধ্যেই ঘেউ ঘেউ করে ডাকছে কয়েকটি কুকুর। অদূরেই হাকিম চত্বরের সামনে যাত্রী ছাউনিতে বসে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ডিউটিরত। কয়েকজন নিশাচর ছাত্রের আনাগোনা। এমনি পরিবেশে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়ে মাথায় কাথামুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন আখতার হোসেন।

তার পাশেই ৯-১০ জন ছিন্নমূল শিশু-কিশোর মানুষ কাথামুড়ি দিয়ে গভীর ঘুমে অচেতন। এক কোণায় একটি কুকুরও শুয়ে আছে। শীতের কুয়াশা, গাড়ির চাকার শব্দ, ক্ষুধার যন্ত্রণা, মশার কামড়-সব মিলিয়ে ঘুম নেই আখতার হোসেনের চোখে।

আখতার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৫-১৬ সেশনে‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৪তম হয়েছিলেন তিনি। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছে সে। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান আজ প্রশ্নবিদ্ধ ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মত কলঙ্কজনক ঘটনার কারণে। আর এই কলঙ্ক তাকে বিদ্ধ করছে। তাই বিবেকের তাড়নায় সে আমরণ অনশনে বসেছে। আখতার চায় প্রশ্নফাঁস বন্ধ হোক। প্রশ্নফাঁস কারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। কঠোর হোক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) তার অনশনের তৃতীয় দিন শুরু হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/18/1539842700562.jpg

আখতারের কাছে একাই অনশনে বসলেন কেন- জানতে চাইলে কাথা থেকে মাথাটা বের করে শুকনা কণ্ঠে জানাল, ‘বিবেকের তাড়নায়।’ সেখানে থাকা ঢাবির এক শিক্ষার্থী জানালো, আখতার নন-পলিটিক্যাল ছেলে। তার মধ্যে একটা শিক্ষক শিক্ষক ভাব আছে। প্রতিবছর সে কয়েকজনকে অ্যাডমিশন কোচিং করায়। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবরের পর তার ছাত্রদের একজনের প্রশ্ন ছিল, ‘স্যার, আমরা এত পড়াশোনা করলাম, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় আমরা কি চান্স পাব? তাহলে কি আমরা দুর্নীতির কাছে হেরে গেলাম?’ ছাত্রের এই প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারে নি। তারপরই সে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেয়।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’ আখ্যা দিয়ে সেটাকে পরোক্ষভাবে স্বীকার করে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রশ্নফাঁসের সে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়ে ওঠে। কেননা ঘ-ইউনিটের বাণিজ্য শাখার মেধা তালিকায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৪.৩০ নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া জাহিদ হাসান আকাশ গ-ইউনিটে মাত্র ৩৪ নম্বর পেয়ে ফেল করেছেন। এক ইউনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রেকর্ড নম্বর আরেক ইউনিটে একদম ফেল জহিদের মেধার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম বিন আলম ঢাবি ঘ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখায়) ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০৯.৫০ সম্মিলিত মেধা তালিকার বিজ্ঞান শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ বিজ্ঞান শাখার এই শিক্ষার্থী তার নিজের অনুষদ ক ইউনিটের পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ৪৩.৭৫ পেয়ে ফেল করেছিলেন। ফলাফলে ‘মেধার বিস্ফোরণে’ বেশ শোরগোল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে। কোন না কোন ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। সেগুলোর প্রমাণ গণমাধ্যম তুলে ধরছে। কিন্তু প্রশাসন তারপরো নিজেদের ‘ইমেজ সংকট’ যেন না হয় সেজন্য অস্বীকার করে যাচ্ছে। নমকাওয়াস্তে তদন্ত কমিটি করলেও কোন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় না। প্রতিবেদন জমা দিলে সেগুলো কখনো আলো মুখ দেখে না। প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/18/1539842721863.jpg

আখতার বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের পবিত্র দায়িত্ব। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ মিনিট আগেও প্রশ্নপত্র পাওয়া গেলে সেটাও প্রশ্ন ফাঁস। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাই ঘ-ইউনিটের পরীক্ষা আবার নেয়া হোক।’

কথায় কথায় জানতে পারলাম আখতারকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে গেছে ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গোলাম রব্বানী, ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসাইন সংহতি প্রকাশ করেছে তার সাথে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাও ঘ-ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নামতে চায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোন সাড়া এখনো পায় নি সে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরদের কয়েকজন বিচ্ছিন্নভাবে তার সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করে, সাহস দিয়ে চলে গেছে। আখতার বলে ‘আমার অনশন চলবে। আমি এখান থেকে উঠছি না।’

টানা ৪০ ঘণ্টা না খাওয়া আখতারের গলা শুকিয়ে আসে। কিন্তু মনের জোর ঠিকই ছিল শুকনো চোখে মুখে।

   

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে নির্দেশনা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট-এ আগামী ২৭ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও বহিরাগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য: গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

;