#মোজোএশিয়া২০১৯

যদি মোজো করতে চাও, স্মার্টলি করো



কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং, ব্যাংকক; থাইল্যান্ড থেকে
ছবি. কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং

ছবি. কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল জার্নালিজম এখন এক বাস্তবতা। তবে একজন সাংবাদিক হিসেবে এই আলোচনাও হতে পারে, মোবাইল জার্নালিজম কি আমাদের জন্য সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে? মোবাইল জার্নালিজম কি আমাদের ভবিষ্যত নিউজরুম অথবা আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563273807946.png

এসব প্রশ্নের মধ্যে প্রথমটির উত্তর আমি পেয়েছি সম্প্রতি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত মোবাইল জার্নালিজম কনফারেন্স ২০১৯-এ। যাকে বলা হচ্ছে #মোজোএশিয়া২০১৯।

মোজোএশিয়া২০১৯-এর আয়োজক ছিল কর্নাড এডেনয়ার স্টিফটাং (কেএএস) নামক প্রতিষ্ঠান। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে কেএএস-এর পরিচালক ক্রিস্টোফ গ্রাবিটজ বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে যখন স্বাধীন সাংবাদিকতা রুদ্ধ হয়ে এসেছে, তখন মোবাইল সাংবাদিকতা হতে পারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার একটি বড় উপায়।

এই সম্মেলনে ৩৩টি দেশ থেকে পেশাদার সাংবাদিক, সংবাদ প্রযোজক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা যোগ দেন। এখানে যেমন মোবাইল জার্নালিজমের ওপর কর্মশালা পরিচালিত হয়, তেমনি অনেকেই নিজেদের ধারণা এবং মোবাইল সাংবাদিকতার উদাহরণ উপস্থাপন করেন।

শুধু সাংবাদিক নয় এখন প্রায় সকলের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এই ধারণাকেই বদলে দিয়েছে, যে সংবাদ শুধুমাত্র সাংবাদিকের কাছ থেকেই আসতে হবে৷ বরং যে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছ থেকেই আসতে পারে৷ আবার একজন সাংবাদিক মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত এবং ঘটনার আরো কাছে গিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। তবে এখানে একটি প্রশ্ন আসছে যে, যদি মোবাইল ব্যবহারকারী দিনের ২৪ ঘণ্টাই প্রতিবেদন তৈরি করতে চায় বা বলতে চায়, সেটি পেশাদারিত্ব হবে কিনা?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274071108.png
উদ্বোধনী বক্তব্যে কেএএস-এর পরিচালক ক্রিস্টোফ গ্রাবিটজ ◢

 

এই দুদিনের ওয়ার্কশপে কোনো প্রশিক্ষকই, কী পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেননি। তারা শুধুমাত্র বলে গিয়েছেন, মোবাইল তাদের কাজে কী ধরনের সুবিধা তৈরি করছে বা তাদের সম্পাদকীয় নীতিমালায় কিভাবে মোবাইল ব্যবহারের বিষয়গুলো এসেছে।

অন্যদিকে সামাজিক এবং কমিউনিটির উন্নতিতে মোজো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সে বিষয়ে কিছু প্রকল্পের উদাহরণও দেখানো হয়েছে সম্মেলনে।

সম্মেলনের মধ্যে লেবাননের সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক সারাহ টেইটসের প্রকল্প উপস্থাপনা সত্যি আমার ভালো লেগেছে। সিরিয়া যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় মোজো কিভাবে তার কাজে সাহায্য করেছে, উপস্থাপন করেন তিনি৷

মোজো সাংবাদিকতার তিন ধারণা

তিনি বলেন, যুদ্ধাবস্থার এলাকাগুলো থেকে সাংবাদিকরা শুধু যুদ্ধের অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস এবং শরণার্থী বা ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে প্রতিবেদন করেন৷ তবে আরেকটি সত্যি হচ্ছে, এই খারাপ দিনগুলো থেকেও তারা একদিন সুখে থাকার স্বপ্ন দেখেন, জীবনে সমৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করেন। জীবনকে ছেড়ে দেন না।

সারাহ যুদ্ধকালীন সময়ে তিনটি শরণার্থী ক্যাম্পে মোজো প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শরণার্থীদের। এবং তার এই উপস্থাপনায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে মোজো শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274315964.png
লেবাননের সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক সারাহ টেইটস ◢

 

এবার আসি পরের আলোচনায়। মোজো কি আমাদের পরবর্তী নিউজরুম? আসলে আমার মনে হয় না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া যাবে। তবে, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের অনেক সাংবাদিকও এরই মধ্যে বলেছেন, সব দেশেই মোজোর ভিন্নতা রয়েছে এবং বর্তমান সময়ে প্রতিবেদন তৈরিতে মোজো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তাই আমার মনে হয়, গণমাধ্যমের, নিউজরুমের খুব ভালোভাবে জানা প্রয়োজন কেন আমরা নিউজরুমে মোজোর ওপর গুরুত্ব দেব? উত্তর হচ্ছে, খরচ বাঁচানো, সবার প্রথমে সংবাদ পরিবেশন এবং স্থানীয়দের সংবাদ তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করতে।

যাই হোক, যদিও মোজো সবার জন্য, প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় যখন তথ্যের স্রোত বইছে, সেসময় মোজো কিন্তু ভুল সংবাদের উৎসও হয়ে উঠতে পারে। যা ঘৃণা ছড়াতে, ভুল তথ্য ছড়াতে বা বিভ্রান্ত করতে সহায়ক হতে পারে৷ তাই যখন মোজো করা হবে, সেখানে তথ্যের উৎস এবং সত্যতা সম্পর্কে আরো বেশি নিশ্চিত হতে হবে। এর মানে নিউজরুম, স্থানীয় গণমাধ্যম এমনকি নাগরিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মোজোতে আনতে হবে পেশাদারিত্ব।

সম্মেলনের একজন আলোচক বলেছিলেন, যদি তুমি মোজোকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চাও, এটাকে নির্ভুল করো প্রথমে। সম্মেলনের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। শুধু আপনার হাতে ফোন আছে বলেই আপনি দায়িত্বহীনভাবে যা ইচ্ছে বলে যাবেন, সেটা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274529956.png

   

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;

তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড, ৩০ জনের মৃত্যু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাইথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড

তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপে পুড়ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তাপদাহ নিয়ে নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। এবছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি মাসে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে আশঙ্কা জানিয়ে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগি সেলসিয়াস। এবং বৃহস্পতিবারেও একই তাপমাত্রা ছিল। ব্যাংকক শহরকে এই দুই দিন তাপদাহ বড় ধরনের আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি তাপদাহের ঢেউ। তাপদাহে ফিলিপাইনে ইতোমধ্যে স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্যাংককের পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, তাপ সূচক - আর্দ্রতা, বাতাসের গতি এবং তাপদাহের কারণে ব্যাংককের আবহাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক স্তরে ছিল গত সপ্তাহে। এই সপ্তাহেও তার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

রাজ্যের উত্তর-পূর্বে উদন থানি প্রদেশের কর্তৃপক্ষও বৃহস্পতিবার তাপদাহের বিষয়ে সতর্ক করেছে। সেখানকার গ্রামীণ অঞ্চলগুলো তাপদাহে যেন জ্বলছে।

এর আগে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হিটস্ট্রোকে ৩০ জন মারা গেছেন, অথচ ২০২৩ সালের পুরো সময়ে একই কারণে মারা যান ৩৭ জন।

থাইল্যান্ডের ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল ডাইরেক খাম্পেন জানিয়েছেন, বয়স্ক এবং স্থুলতাসহ নক কমিউনিকেবল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘরে থাকতে এবং নিয়মিত পানি পান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে বছরের উষ্ণতম সময় সাধারণত এপ্রিল, তবে চলতি বছর এল নিনোর আঘাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে তাপদাহ ছিল ভয়ংকর। গত সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ লাম্পাংয়ে ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে, বুধবার তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

;

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ অর্থ্যাৎ সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানকে দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ অগ্রগতি করেছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম যখন...আমাদেরকে বলা হতো যে এটা আমাদের কাঁধে একটি বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন, সেই ‘বোঝা কোথায় পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে)। এবং এখন আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই, তখন আমরা লজ্জা বোধ করি।

বর্তমানে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতের প্রায় সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।

;