মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই- মিলল দেশটির নেতাদের বক্তব্যে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলা চালায় মাসুদ আজহারের (বামে) নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদ/ ছবি: সংগৃহীত

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলা চালায় মাসুদ আজহারের (বামে) নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ফের আলোচনায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহম্মদ (জেইএম)। সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন মাসুদ আজহার। পাকিস্তানের মদদে জেইএম এ হামলা করছে বলে ভারত দাবি করলেও তা বরাবরই অস্বীকার করছে পাকিস্তান।

সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশারফের কিছু বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে ভারতের দাবি সঠিক। পাকিস্তান চাইলেও জেইএমকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি লুকাতে পারছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে জইশ-ই-মুহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার পাকিন্তানে আছেন বলে স্বীকার করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের বহরে জেইএমের ঐ হামলায় ৪৫ জওয়ান প্রাণ হারান। ঘটনার পর দুই পক্ষই সীমান্তে সৈন্য-সামন্ত জড়ো করে গোলাগুলি করে। এমনকি উভয় পক্ষেরই যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেইএমের হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নিন্দা জানান।

বর্বরোচিত ঐ হামলার পর দায় স্বীকার করে জেইএমের একাধিক নেতা অডিও ও ভিডিও বার্তায় ভারতের বিরুদ্ধে এ ধরণের আক্রমণ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এসব বার্তায় জইশ নেতারা ‘জিহাদ জিন্দাবাদ’, ‘শোদাই কাশ্মীর জিন্দাবাদ’ বলার পাশাপাশি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলেও স্লোগান দেন।

অথচ জেইএমের হামলা চালানো এবং তাদের পাকিস্তানে থাকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরেশী বলেন, ‘পুলওয়ামা হামলায় জেইএম জড়িত কি-না আমরা নিশ্চিত নই। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।’

‘দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কোথায়’ জানতে চাইলে কোরেশী বলেন, ‘জেইএমের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে এবং তারা বলেছে ‘না’। তারা অস্বীকার করেছে। এটাই দ্বিধা।’

কারা যোগাযোগ করেছে জইশ নেতাদের সঙ্গে- জানতে চাইলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা তাদের পরিচিত তারা। সেখানে যারা আছে তারা। তারা কোনো দায় স্বীকার করেনি। তারা অস্বীকার করেছে।’

কিন্তু জইশ তো প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বলা হলে কোরেশী বলেন, ‘এ বিষয়ে পরস্পর বিরোধী রিপোর্ট আছে। এটাই দ্বিধার।’

আরেকটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোরেশী স্বীকার করে নেন জেইএমের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন।

‘জইশ প্রধান মাসুদ আজহার কি এখন পাকিস্তানে আছেন? যদি থাকেন, তবে কি আপনারা তাকে ধরবেন?’- এমন প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি পাকিস্তানেই আছেন, তবে অবস্থা খুব খারাপ। তার অবস্থা এতোই খারাপ যে ঘর থেকেও বেরে হতে পারছেন না।’

কোরেশী পাকিস্তানে জইশ নেতার অবস্থানের কথা বললেও তার ঠিক বিপরীত কথা বলেন দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে জইশ-ই-মুহম্মদের অস্তিত্ব নেই।’ তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয় গত ৬ মার্চ।

মাহমুদ কোরেশী বা মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের বক্তব্যে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বক্তব্যে তা বেরিয়ে আসে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মুহম্মদকে ভারতের মাটিতে আক্রমণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেই সাক্ষাৎকারের খবর ৬ মার্চই প্রকাশ হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

সামরিক বাহিনী ও সরকারের বর্তমান নেতৃত্বের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আর সাবেক নেতাদের এমন সরল স্বীকারোক্তি স্বভাবতই চাপে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। সেজন্যই কি-না মাসুদ আজহারের দুই ভাই জেইএম’র নীতিনির্ধারক বলে পরিচিত আবদুল রউফ আজগর ও হামাদ আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান সরকার। যদিও মাসুদ আজহারকে ধরা হয়নি এখনো। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপের মুখে পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে না ধরে পার পাবে কি-না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

জইশ-ই-মুহম্মদ ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর তাদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে ২০০২ সালে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়। নিষিদ্ধ হলেও সীমান্ত পেরিয়ে এসে একাধিকবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠীটির সদস্যরা।

   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;