পাকিস্তানি কূটনীতিককে খুঁজছে ভারত



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের জাতীয় তদন্ত এজেন্সি পাকিস্তানি কূটনীতিককে ‘ওয়ান্টেড' তালিকাভুক্ত করে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আর্জি জানাতে চলেছে৷ অভিযোগ, ২৬/১১'র ধাঁচে ভারতের ওপর বড় ধরণের হামলা চালাবার ষড়যন্ত্র করছিলেন তিনি৷ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এই প্রথম একজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে তাদের ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে তার ছবি ছাপিয়ে তার সম্পর্কে খোঁজখবর করছে৷ ঐ কূটনীতিকের নাম আমির জুবের সিদ্দিকি৷ তিনি শ্রীলংকার পাকিস্তানি হাইকমিশনে ভিসা কাউন্সিলর পদে থাকলেও আদতে তিনি নাকি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার৷ তাকে এবং আরও দু'জন পাকিস্তানি অফিসার ২৬/১১'র ধাঁচে দক্ষিণ ভারতে মার্কিন ও ইসরায়েলি কনস্যুলেট এবং ভারতের বিভিন্ন সেনা, নৌ ঘাঁটি এবং পরমাণু কেন্দ্রের ওপর বড় রকমের হামলা চালাবার ছক কষেছিল৷ এমনটাই অভিযোগ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার৷ এই কাজে ভাড়া করা হয়েছিল শ্রীলংকার নাগরিক মোহাম্মদ শাকির হোসেন, অরুণ সেলভেরাজ, শিবাবালান এবং থামিম আন্সারিকে৷ তাদের মাধ্যমেই এই কাজ হাসিল করার ছক ছিল৷ জেরার মুখে শাকির স্বীকার করে যে, পাক-কূটনীতিক সিদ্দিকি ভারতের শীর্ষ সেনাকর্তাদের ল্যাপটপ চুরি করতে বলেছিলেন৷ তাদের দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় জাল নোট৷ বলা হয়েছিল, বিশাখাপত্তনমে পূর্বাঞ্চলীয় নৌ সদর দপ্তর এবং বিভিন্ন স্থানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ঘাঁটিসহ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেট এবং ব্যাঙ্গালুরুর ইসরায়েলি কনস্যুলেটে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা চালাতে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিভিন্ন তথ্য ও খোঁজখবর দিয়ে নতুনদিল্লিকে সাহায্য করায় এনআইএর তদন্তের কাজে যথেষ্ট সহায়ক হয়৷ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার সাংকেতিক নাম ছিল ‘ওয়েডিং হল'৷ যারা এই হামলা চালাবে তাদের সাংকেতিক নাম ছিল কুক (রাঁধুনি)৷ সিদ্দিকির অফিসাররাই এই সাংকেতিক কোডগুলি জানিয়েছিল৷ এদের সমুদ্রপথে মালদ্বীপের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশ করার পরিকল্পনা ছিল৷ ধৃত এবং অন্যতম অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাকির হুসেইন শ্রীলংকায় বিভিন্ন পাকিস্তানি অফিসারের সঙ্গে গোপন বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণও দিয়ে জানায়, ঐ কাজে দুজন আত্মঘাতি জঙ্গির (ফিদায়েন) সঙ্গে সে মিলিত হয়েছিল ব্যাংককে৷ তাদের ভারতে এনে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কোলকাতাসহ একাধিক শহরে রেকি করে৷ স্পাইস (মশলা) ছিল বোমার সাংকেতিক নাম৷ শাহজি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শাকিবের কথা হতো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ঐ দুইজন একই ব্যক্তি৷ কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে এনআইএ ? ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে মোহাম্মদ শাকির হুসেন নামে শ্রীলংকার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে তামিলনাড়ুর পুলিশ৷ বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় শাকির হুসেন৷ সন্ত্রাস মোকাবিলায় মার্কিন সহযোগিতা কি দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন আঁতাত গড়ে তোলার ইঙ্গিত? এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘পরিবর্তন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসার পর৷ তিনি পূর্বেকার নীতিতে এনেছেন পরিবর্তন৷ আগেকার নীতিতে পাকিস্তানকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো৷ বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে৷ রণকৌশলগত কারণই মুখ্য ছিল৷ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারেন, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান আগ্রহী নয়, বিশেষ করে ভারতের ক্ষেত্রে৷'' এই পরিবর্তন কি তাহলে নতুন আঁতাত নয় ? অধ্যাপক সরকারের মতে, ‘‘এটা ঠিক আঁতাত নয়৷ বলা যায়, ন্যাচারাল অ্যালায়েন্স৷ ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক বন্ধুত্ব৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি সেটাই বলেছেন৷ উভয় দেশই গণতান্ত্রিক এবং শান্তি ও উন্নয়নই উভয় দেশের লক্ষ্য৷'' আইএনএ ইন্টারপোলের কাছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যখন রেড কর্নার নোটিশ জারি করার জন্য তোড়জোডর করছিল, তখন পাকিস্তান সরকার এদের কলম্বো থেকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনআইএ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করলেও অন্য তিনজন অফিসারকে চিহ্নিত করতে পারেনি৷ ঐসব অফিসার ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কলম্বোয় কাজ করেছেন৷ ২৬/১১'র মুম্বাই হামলার জঙ্গিরাও জলপথে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাই উপকূলে৷ লস্কর-ই-তৈয়বাসহ পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর ১০জন সন্ত্রাসী মুম্বাইয়ের ১২টি জায়গায় ধারাবাহিক হামলা চালায়৷ ব্যবহার করে আরডিএক্স, গ্রেনেড এবং একে-৪৭ রাইফেল৷ হামলায় নিহত হয় ১৬৮জন, আহত হন ৩০৮ জন৷ জীবিত ধরা পড়ে আজমল কাসাব৷ পরে বিচারে তার ফাঁসি হয়৷ এই হামলার নেপথ্য খলনায়ক ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার জাকির হোসেন লাখভি৷ মুম্বাই হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার সমুদ্র উপকূলে নজরদারি এবং সুরক্ষা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়৷ কিন্তু বেশির ভাগ সুরক্ষা প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি, যেটা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গোয়ার সমুদ্র সৈকতে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে উপকূল রক্ষীবাহিনী৷ শুধু গোয়া নয়, পুরো পশ্চিম উপকূলে মত্সজীবিদের ট্রলারগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়৷ ২৬/১১র হামলায় সন্ত্রাসীরা ট্রলার ছিনতাই করেই মুম্বাইয়ে অনুপ্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়৷
   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;