স্মৃতি: রক্তাক্ত ৯/১১



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
৯/১১ এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা।

৯/১১ এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা।

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮ বছর আগের একটি দিন। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সাল। সংক্ষেপে ৯/১১। আধুনিক বিশ্বের প্রতিভূ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থরথর করে কেঁপে উঠেছিল। বিমূঢ় ও বিস্মিত হয়েছিল সারা বিশ্ব। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই রক্তাক্ত দিনটির কথা কেউ কোনও দিন ভুলতে পারবে না।

সেদিন এবং পরের আরও অনেক দিন পৃথিবীর সবগুলো টিভি চ্যানেল দেখাতেই থাকলো ৯/১১-এর ঘটনাবলী। প্লেনগুলো সোজা ধাক্কা মারল মার্কিনীদের গর্বের প্রতীকগুলোতে। নিমেষে প্লেনের হামলায় ভেঙে পড়ল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার। ১৯ জন আত্নঘাতী হামলাকারী এবং ৪টি বিমান জড়িত ছিল হামলায়।

৪টি বিমানের দু’টির লক্ষ্য ছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। অন্য একটি আঘাত করে পেন্টাগনে, যেটির অবস্থান ওয়াশিংটনের ঠিক বাইরেই আর চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে।

মারা যান ২৯৯৬ জন, গুরুতর জখম ৬ হাজার জনেরও বেশি। যাদের মধ্যে চারশ’র বেশি ছিলেন পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ কর্মী।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিস্মিত বিশ্ব আড়মোড়া ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ে অদৃশ্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘোষণা করেন 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'। মার্কিন দেশে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অনেক দেশেই মুসলিমদের পাশাপাশি দাড়িগোঁফ থাকার কারণে মুসলিম সন্দেহে বহু শিখ পর্যম্ত আক্রান্ত হন। যদিও ৯/১১ ঘটনার বহু প্রশ্নের সঠিক উত্তর ও রহস্য স্পষ্টভাবে উন্মোচিত হয় নি আজো।

৯/১১-এর পর গ্রাউন্ড জিরোতে এখন ঘটনাটির স্মৃতিস্বরূপ গড়ে উঠেছে ফ্রিডম টাওয়ার। দালানের উচ্চতার দিক থেকে টুইন টাওয়ারকে ছাড়িয়ে যাওয়া ফ্রিডম টাওয়ারেই নির্মিত হয়েছে সেপ্টেম্বর ১১ মেমোরিয়াল স্থাপনা। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা স্থাপনা পেন্টাগনকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেদিন হোয়াইট হাউসের দিকে উড়ে যাওয়া আরেকটি বিমান মাঝ আকাশে ভূপাতিত হয়েছিল যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে ৯/১২-এর পর পরই।

৯/১১ অনেক কিছুর পাশাপাশি বিশ্ব ইতিহাসে ভয়াল দিন হয়ে চিহ্নিত হয়েছে। সেদিনের মতো সমন্বিত আর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী সময়ে আর দেখা যায়নি। এমন কি, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর বদলে যায় খোদ আমেরিকা। এর জের ধরে বদলে গেছে বিশ্ব আর বৈশ্বিক রাজনীতি। বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বিভাজন শুরু হয়েছে ৯/১১-এর মাধ্যমে। শুরু হয়েছে বিশ্বের দেশে দেশে সন্ত্রাসী খোঁজার পালা। যে তৎপরতার জেরে জ্বলছে অনেক দেশ, জনপদ। অনেক নিরিহ মানুষও মারা যাচ্ছে 'সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ'-এর পক্ষ-বিপক্ষের মাঝখানে পড়ে।

শান্তিবাদী বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ চায় না। আবার অকাতরে নিরপরাধ, নিরস্ত্র, সাধারণ মানুষের মৃত্যুও মেনে নিতে পারে না। শান্তি ও মানবতার এই আকুতি ৯/১১-এর পর তীব্র ভাষায় উচ্চারিত হলেও আজো বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা থেমে থেমে হুঙ্কার দিয়েই চলেছে। আবার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দমন করার হামলাতেও মারা পড়ছেই সাধারণ মানুষ, স্কুলের শিশু, ঘরের নারী, নিরাপরাধী মানুষ।

৯/১১ ঘটনার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার এক রক্তাক্ত রণাঙ্গনে পরিণত করেছে বিশ্ব মানচিত্রকে। ৯/১১-এর স্মৃতি আজো রক্ত আর মৃত্যুর চিহ্নে বার বার ছুঁয়ে যাচ্ছে তাবৎ পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষদের।

   

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তৈরিকৃত ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা জায়ান্টের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে আরও একটি মারাত্মক রোগের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় তৈরি করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রোমবোকায়টোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রোমবোসিসের’ (ভিআইটিটি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

‘ভিআইটিটি’ রক্ত জমাট বাধার একটি অতি বিরল রোগ হলেও খুবই মারাত্মক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।

তবে এই রোগটি পৃথিবীতে নতুন না হলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রভাবে এটি নতুন করে উদ্ভব হয়েছে। ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সময়ে এটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কোভিশিল্ড হিসেবে বিক্রি হয়েছিল। আর ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

এই রোগের কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, “একটি অস্বাভাবিক বিপজ্জনক রোগ এটি। যা রক্তে অটোঅ্যান্টিবডির প্লাটিলেট ফেক্টর ৪ (পিএফ৪) নামের একটি প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যেটি ভিআইটিটির কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে।” 

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে, টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।

যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত বছর কানাডা, উত্তর আমেরিকা, জার্মানি এবং ইতালির গবেষকরা পৃথক এক গবেষণায় এই রোগের সম্পর্কে বলেছিলেন।

ওই গবেষণায় তারা বলেছেন, থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (TTS) অ্যাডেনোভাইরাস (জ্বর, সর্দি, কাশি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট) ভেক্টর-ভিত্তিক টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এটি এক ধরনের সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস (CVST), যার মধ্যে মস্তিষ্কের শিরাস্থ সাইনাসে রক্ত জমাট বাধে, যা মস্তিষ্কের বাইরে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়। এটি প্লাটিলেটের সংখ্যা কমায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তপাত বা রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি বাড়ায়। পাকস্থলী বা মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গবেষকদের সম্মিলিত এক গবেষণায়- অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের ব্যক্তিদের এই 'ভিআইটিটি' রোগটি হওয়ার সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।

গবেষণায় কাজ করা ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম গর্ডন বলেছেন, এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। যা জেনেটিক ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাডেনোভাইরাস সংক্রমণের পর এই টিকা দেওয়ার ফলে রক্ত ​​​​জমাট বাধার বিরল রোগ দেখা দিয়েছে।

তবে বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

;

ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিলেন ইমরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন আইনের সংশোধনী সংক্রান্ত একটি মামলায় কারাগার থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৬ মে) শুনানিতে প্রথমবারের মতো ভিডিও লিংকের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিলেন তিনি।

৭১ বছর বয়সি এই নেতার আদালতে উপস্থিতি শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিম করা হয়নি কিংবা দেশের নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়নি।

ইমরানের শুনানি কেন নিউজ চ্যানেল বা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করা হয়নি সে সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আল জাজিরা তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এদিকে, শুনানি সম্প্রচারের অনুমতি না দেওয়ায় প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)।

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পিটিআইয়ের আমির মুঘল আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের দল বিশ্বাস করে যে, দেশের প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করছেন এবং তাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে পিটিআইকে স্তব্ধ করা।’

ইমরান ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পরপরই তার স্থলাভিষিক্ত সরকার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স (এনএও) ১৯৯৯ সংশোধন করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা হ্রাস করে।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তার বিচার অবশ্যই এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সংস্থাটিকে গ্রেপ্তার করার আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

আইনের ওই সংশোধনীর পরে আদালত থেকে অন্তত ২২টি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেয় এনএবি।

সেসব মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ছিলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন ইমরান। ওই পিটিশনে তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রক্ষা করা এবং সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তিনি আদালতে ওই সংশোধনী বাতিলের আবেদন করেন।

শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি স্থগিত করেছে। ইমরান তার ভার্চুয়াল উপস্থিতির সময় কথা বলেননি।

;

টিকটক নিষিদ্ধ করলো ফ্রান্স, নিউ ক্যালেডোনিয়ায় সেনা মোতায়েন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত তিন রাতের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য নিউ ক্যালেডোনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে ফ্রান্স।

রয়টার্স জানিয়েছে, নিউ ক্যালেডোনিয়ার বন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক।

নিউ ক্যালেডোনিয়ায় সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে নতুন ভোটদানের নিয়ম আরোপ করার ফরাসি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদিবাসীদের বিক্ষোভ পরবর্তীতে সহিংস দাঙ্গায় রূপ নেয় বলে জানা গেছে।

আদিবাসীদের এই বিক্ষোভ ১৯৮০ সালের পর দেশটিতে সবচেয়ে মারাত্মক সহিংস ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার জন নিহত হয়েছেন।

ফরাসি রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী হাই কমিশনের এক বিবৃতি অনুসারে, নিউ ক্যালেডোনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী পাঁচজন সন্দেহভাজন নেতাকে গৃহবন্দী করেছে।

হাই কমিশন জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০০ জনেরও বেশি দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নউমিয়ায় দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘দাঙ্গাবাজরা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং শিকারের রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়েছে।

;

চট্টগ্রামে নিহত মালয়েশিয়ান ক্রু’র মরদেহ দ্রুত নিতে পরিবারের আবেদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের জলসীমায় দুর্ঘটনায় নিহত মালয়েশিয়ান নাগরিকের মরদেহ দ্রুত সে দেশে ফিরিয়ে নিতে সেই দেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে পরিবারটি।

গত বুধবার (৮ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে জাহাজের পাইলট মই বসানোর সময় সাগরে পড়ে মৃত্যু হয় মালয়েশিয়ান ক্রু মুহাম্মদ ঈসা মুহাম্মদ বীরমোহনের। এরপর গত সোমবার (১৩ মে) মরদেহটি খুঁজে পেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মৃতদেহ ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিহতের পরিবার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ সিফারার্স অফ পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার (এনইউএসপিএম) নির্বাহী পরিচালক ইকমাল আজম থানারাজ আবদুল্লাহ গত বুধবার (১৫ মে) নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তার স্বজনেরা ইকমাল আজমের কাছে এই আবেদন জানান।

ইকবাল আজম স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার (১৫ মে) পর্যন্ত মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছে। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করছি দ্রুত মরদেহ মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসতে। পরিবারটি আশা করছে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।’

;