মেয়াদোত্তীর্ণ তেল নিয়ে টি কে গ্রুপের ঔদ্ধত্য!



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল নিয়ে পাইপ লাইনে দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে আবার বাজারে ছাড়ছে টি কে গ্রুপের ‘পুষ্টি সয়াবিন তেল’। এমনটাই প্রমাণ মিলেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে। মেয়াদোত্তীর্ণ তেল বাজারজাতকরণের দায়ে টি কে গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন র‌্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুধু তাই নয়, পুষ্টির কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবের ৮০ ভাগ রাসায়নিক পদার্থের মেয়াদ দুই বছর আগে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে অভিযানে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অবস্থায় প্রতিদিন বাজারে লাখ লাখ কার্টন তেল সরবরাহ করছে টি কে গ্রুপ।

তবে র‌্যাবের এই অভিযানকে দুর্ভাগ্য বলছেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিরা। পাশাপাশি তারা দাবি করছেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ তেল বাজারজাতকরণের এই কাজ শুধু পুষ্টি নয়, সকল কোম্পানিই করে, সারা বিশ্বেই হয়। এতে স্বাস্থ্যহানীরও কিছু ঘটেনি।’

পুষ্টির জরিমানা করা অভিযানের পর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুষ্টির বিরুদ্ধে ‍দুটি বড় অভিযোগ ছিল যে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল সংগ্রহ করে কারখানায় পাইপ লাইনের মধ্য দিয়ে প্রসেস করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আরেকটা হচ্ছে তাদের ল্যাবে যেখানে তেলের গুণগত মান নির্ণয় করা হয় সেই পদার্থেরই মেয়াদোত্তীর্ণ দুই বছর। এত বড় প্রতিষ্ঠান এ ধরণের কাজ করতে পারে বিশ্বাস হচ্ছিল না।‘

কারখানায় মেয়াদোত্তীর্ণ তেল প্রক্রিয়াজাত করার প্রমাণ পেলেন, তাহলে বাজারে তাদের যে পরিমাণ তেল রয়েছে সেগুলো কি স্বাস্থ্যসম্মত- এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, ‘বাজারের তাদের যে তেল আছে সেটাতেও ঝামেলা থাকতে পারে, আমাদের আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তবে যেহেতু রমজান মাস তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আরও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে র‌্যাবের অভিযোগের বিষয়ে টি কে গ্রুপের সেলস এন্ড মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক মোফাসেল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের ফ্যাক্টরির বড় ধরণের সংস্কার কাজ চলছে। ল্যাব স্থানান্তরের কাজ চলছে। আমাদের দুর্ভাগ্য সেদিন মার্কেট থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল সংগ্রহ করে ডাম্পিং বা অন্য কোথাও রাখার সুযোগ হয়নি।’

‘আর বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল তুলে আনা এটা ধারাবাহিক কাজ। উনারা যদি মার্কেটে যেতেন বা আমাদের সরবরাহ দেখতেন তাহলে ঠিক ছিল। আর আমাদের তেলের তো এক বছর মেয়াদ থাকে, কিন্তু আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির (নাম উল্লেখ না করে) বোতলের গায়ে দেড় বছর মেয়াদ দিয়ে থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলটাই আসলে প্রিজারভেটিভ, এখানে আসলে কিছু করা যায় না। আমরা যেটা রিফাইন করে দেব সেটা ক্রুডের সঙ্গে যাবে। ক্রুড অনেক উচ্চ মানের একটা জিনিস। আমরা প্রসেস করে দিচ্ছি ক্রুডের সঙ্গে যাওয়ায় কোনোভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর না বরং এটা স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ভালো। আসলে সেদিন যেটা ঘটেছে, সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই না।’

টি কে গ্রুপের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উনারা (ভ্রাম্যমাণ আদালত) যে কিউসি ল্যাবের কথা বলছেন কথাটা আসলে সঠিকভাবে আসেনি। ওখানে যে সিলিকা জেল ব্যবহার করা হয়, ওটার আসলে কোনো মেয়াদই থাকে না। যাই হোক আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সেদিনই সেটেল করে দিয়েছি।’

তাহলে বাজারে পুষ্টির যে তেল রয়েছে সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারের তেল মেয়াদের মধ্যেই রয়েছে। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল থাকার সুযোগ নেই। আমরা ৪০-৪৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি, আমরা কি সুনাম নষ্ট করতে যাব? প্রতিদিন কয়েক লাখ কার্টন সরবরাহ করি, আর সেদিন ৭০-৭২ কার্টন মেয়াদোত্তীর্ণ পেয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৫ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পুষ্টি সয়াবিনের একটি কারখানায় র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরও পড়ুন:প্রাণ-এসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ ভেজাল পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ

   

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;

এ দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ১৮৭৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখ টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছিল সোনার দাম। এবার ৮ম দফায় কমানো হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম এখন ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমল।

;

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

;