নগদ টাকার সংকট ষোল ব্যাংকে



মাহফুজুল ইসলাম , সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নগদ অর্থ সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬টি ব্যাংক। আর তাতে ২০১৮ সালে ব্যাংকগুলোর সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রকৃত মুনাফা হওয়ার পর শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেয়নি।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, মুনাফার টাকায়, মূলধন ঘাটতি মেটানো হচ্ছে, প্রভিশনিং কিংবা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তার বদলে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার দিয়েছে।

তাতে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে শেয়ারহোল্ডার তথা পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। যার প্রভাব পড়ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দামে। শেয়ারহোল্ডার ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা এমনই অভিযোগ করেছে।

ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ও আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিমিটেড।

শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ, ব্যাংকগুলো কাগজে-কলমে মুনাফা দেখিছে। তাই নগদ লভ্যাংশ দিতে পারছে না। বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিচ্ছে।

এবি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার রোকন উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তিন বছর আগে এবি ব্যাংকের ১০ হাজার শেয়ার কিনেছি। গত বছর লভ্যাংশ দেয়নি। এবছরও মুনাফা হয়েছে। কিন্তু ক্যাশ অর্থাৎ নগদ লভ্যাংশ দেয়নি।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বার্তা২৪.কমকে জানান, ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে চলছে এটা ঠিক। তার একটি প্রমাণ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারী উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।

তার কারণ হিসেবে তিনি জানান, বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিলে কোম্পানির মূলধন বাড়ে। কোম্পানির আর্নিং পার শেয়ারে (ইপিএস) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা এটা প্রত্যাশা করে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বার্তা২৪কমকে জানান, ব্যাংকগুলো ২০১৮ সালে অতিমূল্যায়িত মুনাফা দেখিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে সঠিকভাবে সঞ্চিতি গঠন করা হলে, ব্যাংকগুলো লোকসানে পতিত হবে। আর এই দুরবস্থা আড়াল করতেই কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়েছে। আর দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ব্যাংকগুলো অতিরঞ্জিত মুনাফা দেখালেও বাংলাদেশ ব্যাংক এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখে না।

২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে মুনাফার এই টাকার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ১৩টি ব্যাংক। আর ১৭টি ব্যাংক নগদ অর্থ সংকটের কারণে শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। যার মুনাফার অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকার বেশি। তার মধ্যে ১৬টি ব্যাংকের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এগুলোর বেশির ভাগই গত ২-৩ বছর ধরে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557284585109.gif

প্রতিবেদন অনুসারে, ১৬টি ব্যাংকের মধ্যে বিদায়ী বছর সবচেয়ে বেশি ৫৫৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। ফলে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৭ টাকা।

কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের বছর ২০১৭ সালেও ২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। তবে তার আগের বছর ২০১৬ এবং ২০১৫ সালে যথাক্রমে ১০ ও ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557284647719.gif

এরপরের তালিকায় থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪২০ কোটি ২০ লাখ টাকা। তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ০১ টাকা। কোম্পানির পরিচালনা পরিষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। এর আগের তিন বছর ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ ক্যাশ (নগদ) লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ৩০ এবং ২০১৫ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557284710769.gif

অন্যদিকে, সবচেয়ে কম মুনাফা হওয়ার তালিকায় থাকা এবি ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শেয়ারের ইপিএস দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ০৬ টাকা। অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকটি গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এর আগের ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। ব্যাংকটিতে দীর্ঘদিন ধরে নগদ অর্থ সংকট রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557285728593.gif

সাউথইস্ট ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২৪৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত বছরও ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে তার আগের দুই বছর ২০১৬ এবং ২০১৫ সালে যথাক্রমে ২০ এবং ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557284823206.gif

রূপালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৪১ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে নগদ অর্থ সংকটে রয়েছে। ফলে ২০১০ সাল থেকে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০১৭ সালে ২৪ এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ এগুলো কাগজে কলমে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557285024150.gif

২০১৮ সালে মুনাফা বাড়া বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৮৪ টাকায়। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ওয়ান ব্যাংকের ১৪১ কোটি ০৪ লাখ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩৮৪ কোটি ৯৬ লাখ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১২৪ কোটি ৭৪ লাখ এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557284999075.gif

এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১২৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৬৪ কোটি ৬৬ লাখ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। আর সেই টাকার বিপরীতে ব্যাংকগুলো শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (এমটিবি), রুপালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি মো. কামাল হোসাইন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, ক্লাসিফাইড লোনের প্রভিশনিং করতে গিয়ে বোনাস শেয়ার দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদও জানান, মুনাফার টাকায় ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি মেটাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ক্যাপিটাল বাড়াচ্ছে। ফলে কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিচ্ছে।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;