বাণিজ্য মেলায় শিশুদের দিয়ে চুরি, মূল হোতা ‘বড় ভাই’



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে চুরি করছে এক শিশু/ছবি: সুমন শেখ

ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে চুরি করছে এক শিশু/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ, বিকেল চারটা। প্রথমে ডানে-বামে তাকিয়ে আশপাশের এলাকা ভালো করে দেখে নেয় ১০ বছরের এক শিশু। মূল ফটকের সামনে থেকে সালোয়ার কামিজ পড়া ৩৫-৪০ বছর বয়সের একজন নারী মেলার ভিতরে প্রবেশের জন্য পা বাড়ান। দূর থেকে এই নারীকে টার্গেট করে এগুতে থাকে শিশুটি। দেখা যায়, শিশুটিও চুপি চুপি এই নারীর পাশে হাঁটছে। তখনো বোঝা যাচ্ছিল না সামনে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ হাঁটার পর হাতিল ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নের সামনে পৌছা মাত্রই শিশুটি ওই নারীর ব্যাগে হাত ঢুকানোর চেষ্টা করে। এবার বোঝা গেল শিশুটি টাকা চুরি করার জন্য এই নারীর পিছু নিয়েছে। তৃতীয়বারে সফল হয় এবং ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে সে। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো, ২০ মিনিট ধরে শিশুটি পিছু নিয়ে ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে, কিন্তু এই নারী তার কিছুই টের পাননি।

এদিকে প্রথমে থেকেই এই দৃশ্য দেখে বার্তা২৪.কমের ফটো করেসপন্ডেন্ট সুমন শেখ, শিশু ও  নারীর পিছু নেন। যখন ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে তখনই হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন সুমন শেখ। ঐ নারী বিষয়টি বুঝতে পারলে তিনি রীতিমত অবাক হয়ে যান।  পরে তার হাতে চুরি হওয়া ২ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় শিশুটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547810872002.jpg

ভুক্তভোগী সুমি রহমান নামে ওই  নারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, এইটুকু  ছেলে ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করবে তা চিন্তাও করা যায়না। সে যে অনেকক্ষণ ধরে আমার পিছু নিয়েছে তা বুঝতেই পারিনি।

বুহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে অভিনব এই চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির সঙ্গে জড়িত এই কিশোরের নাম  কাউসার।

বাণিজ্য মেলায় এ ঘটনার শেষ এখনেই নয়। এটি কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া  ঘটনা নয়। একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাউসারদের মতো কোমলমতি শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এই চুরির চক্র চালাচ্ছে।

কাউসারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেসহ আরও দশজন শিশু বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ব্যাগ থেকে এভাবে টাকা, মোবাইল ফোন চুরি করে। তবে তাদের এক বড় ভাই আছে, যে কিনা এই চক্রের প্রধান। প্রতিদিন বাণিজ্য মেলা থেকে যা টাকা পয়সা বা মোবাইল কাউসাররা চুরি করে তা দিন শেষে তুলে দিতে হয় ঐ বড় ভাইয়ের কাছে। সেই টাকা থেকে ২০০-৩০০ টাকা কাউসারদের দেয়  চক্রে মূলহোতা ঐ বড় ভাই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547810902976.jpg

কাউসার বার্তা২৪.কমকে বলে, আমি মা বাবার সঙ্গে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে থাকি। সজীব নামে এক বড় ভাই মেলা উপলক্ষে আমাকে এখানে আনছে। ভাই আমারে বলছে মানুষের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে। হের কথায় আমি চুরি করি। সারাদিন যা চুরি করি তা ভাইয়ের কাছে দেই। পরে হে আমারে কোন দিন ২০০ আবার কোনো ৩০০ টাকা দেয়। আমরা মতো আরও দশ জন আছে।

পুলিশের ভয় করে না এমন প্রশ্নের জবাবে কাউসার বলে, বড় ভাই কইছে পুলিশের কোনো ভয় নাই। আমরা কাজ করলে পুলিশ কিছু কইব না। ভাইরে দেখি মেলায় মাঝে মধ্যে পুলিশের লগে কথা কয়।

তার সঙ্গী বা বড় ভাইয়ের কাছে নিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে কাউসার উত্তর দেয় পারুম। পরে এই করেসপন্ডেন্ট কাউসারের পিছনে বাণিজ্য মেলার ফুড কর্নারের টয়লেটের সামনে গেলে কাউসারের মতো কয়েকজনকে দেখা যায়। তাদের এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনো উত্তর  না দিয়ে দৌঁড়ে চলে যায়।

তবে ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পরও সেই কথিত বড় ভাইয়ের দেখা মিলেনি। তখন কাউসার বলে, ভাই মনে হয় মেলা থেকে চলে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547811096950.jpg

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলায় দায়িত্বরত পুলিশের এসআই জলিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটে যায়। তবে আমরা এ বিষয়ে সজাগ আছি।

এই পুলিশ সদস্যের কাছে সন্তুষ্টজনক উত্তর না পেয়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশকে বার বার করে বলে দেওয়া হয়েছে যে মেলা প্রাঙ্গণে যেন কোনো ধরনের হকার, বা এ ধরনের শিশু না থাকতে পারে বা তাদের যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। কিন্তু তারপরেও তারা মেলা প্রাঙ্গণে রয়ে গেছে। তবে আমরা এই চুরির বিষয়টি দেখছি। চক্রটির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে মেলায় ঘুরতে পারেন।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;