অগ্নিকন্যা কল্পনা দত্তের অপেক্ষার দশ বছর



ক্যামেলিয়া আলম, বিভাগীয় সম্পাদক, নারীশক্তি
বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ও তারকেশ্বর দস্তিদার

বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ও তারকেশ্বর দস্তিদার

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্পনা দত্তের আক্ষেপ ছিল তিন হাজার পৃষ্ঠা নিজের কথা লিখে তা হারিয়ে ফেলার। তাই স্মৃতিকথা খুব সামান্যই তাঁর পাওয়া যায়। এরপরেও কোথাও কখনও স্মৃতিকথা নিয়ে টুকিটাকি লেখার ফাঁকে ছোট কিন্তু এক দ্যুতির মতোন বেরিয়ে আসে ‘ফুটু দা’ ওরফে তারকেশ্বর দস্তিদারের নাম।

দুই সেলে দুইজন। একই মামলার আসামী। বিপ্লবের সাথী। লড়াইকালে ভালোবাসার কথা বলা হয়নি, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ বলা ‘অপেক্ষা কোরো’ আর তা নিয়ে দীর্ঘ দশ বছর অপেক্ষা! কল্পনা দত্তের স্মৃতিকথায়, “ধরা পড়ার পর মাস্টারদা, ফুটুদা আর আমাকে নিয়ে নতুন করে মামলা শুরু হয়েছিল। আমরা কাঠগড়ায় একসঙ্গে দাঁড়াতাম। সেইসময় একদিন ফুটুদা বলেছিলেন, তোকে ভালো লাগে। যদি ফিরে আসি, আমার জন্য অপেক্ষা করবি? আমার মৌনতায় হয়তো সম্মতি ছিল।” ১৯৩৪ সালে তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি হয়েছিল মাস্টারদার সাথেই। তবু কল্পনা দত্ত অপেক্ষা করেছিলেন। অপেক্ষা করেছিলেন দীর্ঘ দশ বছর!

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের নেতা বীর শহীদ সূর্য সেন, পূর্ণেন্দু দস্তিদারের নামের সাথে যে দুজন নারীর নাম জড়ানো তাঁদের একজন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আর অন্যজন কল্পনা দত্ত। সাধারণ বাঙালিদের চেয়ে বেশ লম্বা, ছিপছিপে, গৌরবর্ণের এক ভীষণ মিষ্টি চেহারার এক নারী কল্পনা দত্ত। রবীন্দ্রনাথের অগ্নিকন্যা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। বাবা জমিজমা, বাড়ি সব বিক্রি করেন মেয়েকে বাঁচাতে! বাবা মেয়ের ভালোবাসার গল্প আর কোনোদিন হবে। শুধু এটুকু বলি, বাবার ছুটোছুটিতে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, সি. এফ. অ্যান্ডুজ কল্পনার বাবাকে কথা দিলেন, তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। শেষমেশ, ১৯৩৯ সালের ১ মে আন্দোলনের চাপে সরকার কল্পনা দত্তকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

১৯১৩ সালের ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর অঞ্চলে বোয়ালখালি গ্রামে কল্পনা দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিনোদবিহারী দত্ত ও মাতা শোভন বালা দত্ত। ঠাকুরদা ডাক্তার দুর্গাদাস দত্ত ছিলেন একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। ইংরেজ প্রশাসনের আস্থাভাজন। ফলে প্রশাসনের নজরদারির বাইরে ছিল বাড়িটি। বারো বছর বয়স থেকেই দেশ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। বিপ্লবীদের জীবনী, ‘পথের দাবী’ বই পড়তে পড়তে ব্রিটিশ সরকার বিরোধী মনোভাব জেগে ওঠে তাঁর ভেতর। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি কেবল অর্থনীতিই নয়, বাংলার ভাবজগতকেও পরিবর্তিত করছে, এই উপলব্ধিটুকু জন্মাবার পরপরই ব্রিটিশদের এদেশ থেকে তাড়াবার সংকল্পে ব্রত হন।

ম্যাট্রিকে মেয়েদের মাঝে চতুর্থ স্থান অধিকার করে বেথুন কলেজে এসে সায়েন্সে ভর্তি হন। নানা ধরনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে থাকেন। যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্রী সংঘে। বেথুন কলেজে ছাত্রীদের উদ্যোগে হরতাল পালন ও অন্যান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। স্কলারশিপের টাকা দিয়ে সাইকেল কিনে বিপ্লবী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে ভোরবেলায় সবার ঘুম ভাঙার আগেই বেথুন কলেজের কম্পাউন্ডের মধ্যে সাইকেল চালানো শুরু করেন। প্রতি রবিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে গিয়ে নৌকা চালানোর অভ্যাসও করতেন।

তারপর সাড়া ফেলে দিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের ঘটনা। ১৯৩০ এর ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার দখল আর ২২ এপ্রিল জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধের ঘটনায় কল্পনা এতটাই অনুপ্রাণিত হলেন যে, ছুটিতে চট্টগ্রামে এসে তাঁর আর কলকাতায় ফেরা হলো না। এর কিছুদিন পরেই পরিচয় মাস্টার দার সাথে পুর্নেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে। বিপ্লবী হিসেবে নারীকে নিতে অনিচ্ছুক সত্ত্বেও প্রীতিলতা আর কল্পনার একান্ত আগ্রহ মাস্টার দার সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করে। মাস্টার দা প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখায় যোগদান করেন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হওয়ায় নিজের পড়ার ঘরে বসে বোমার জন্য তৈরি করতেন গান-কটন।

১৯৩২-এ পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করতে গিয়ে শহীদ হন সেদিনের নেতৃত্বে থাকা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। পুরুষবেশী কল্পনা ধরা পড়তে পড়তে কোনো রকমে পালাতে পারেন আর আত্মগোপন করেন। ১৯৩৩ এর ১৬ ফেব্রুয়ারি গৈরালা গ্রামে ইংরেজ ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে মাস্টারদা আর তারকেশ্বর দস্তিদারের সঙ্গী ছিলেন কল্পনা। রাতে সেখানে বৈঠক করছিলেন কল্পনা দত্ত, শান্তি চক্রবর্তী, মণি দত্ত, ব্রজেন সেন আর সুশীল দাসগুপ্ত। পুরস্কারের টাকা বা ঈর্ষা বা উভয়ের জন্য ব্রজেন সেনের সহোদর নেত্র সেন সূর্য সেনের উপস্থিতির খবর পুলিশকে জানিয়ে দেয়। সেখানে অস্ত্রসহ সূর্যসেন এবং ব্রজেন সেন ধরা পড়ে গেলেও অন্যান্যদের সাথে পালাতে সক্ষম হন কল্পনা দত্ত। ১৯ মে গৈরালা গ্রামে আরেক সশস্ত্র সংঘর্ষের পর কল্পনা সতীর্থ বিপ্লবীসহ ধরা পড়ে যান।

তারকেশ্বর দস্তিদার চট্টগ্রামের সারোয়াতলীর চন্দ্রমোহন দস্তিদারের ছেলে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। সাথীরা ডাকতেন ‘ফুটু দা’ নামে।

চট্টগ্রাম বিদ্রোহের নেতাদের মধ্যে তারকেশ্বর দস্তিদারের স্থান ছিল সপ্তম। বিদ্রোহের এক মাস আগে পাহাড়তলীতে লুকিয়ে বোমা তৈরি করতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। বুক, হাত, মুখ পুড়ে গিয়েছিল। শরীরের হাড় পর্যন্ত নানা জায়গায় দেখা যেত। প্রচণ্ড শারীরিক কষ্টে নিজের মৃত্যু কামনা করতেন। মাস্টারদার নির্দেশে গোপনে গ্রামে পাঠিয়ে চিকিৎসা করে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। সুস্থ হয়ে পার্টি সংগঠনের দায়িত্বভার তুলে নেন গ্রামে।

জালালাবাদ যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। সবাই ছত্রভঙ্গ। আহত অবস্থাতেও পলাতক সঙ্গীদের জন্য ঘুরে ঘুরে ব্যবস্থা করতেন নিরাপদ আশ্রয়ের। মাস্টার দা ধরা পড়ার পরে সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বসেন। মাস্টারদাকে জেল থেকে বের করে আনতেই হবে। কৌশল খাটাতে লাগলেন জেলের ভেতর। টাকা দিয়ে ওয়ার্ডারদের বশ করে অচিরেই জেলে পৌঁছে গেল বিস্ফোরক, রিভলবার, সেলের তালা খোলার জন্য ডুপ্লিকেট চাবি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধরা পড়ে যায় এই কাজে সাহায্যকারী শৈলেশ রায়। ফাঁস হয়ে গেল সবকিছু, পুলিশের নজরে চলে এলেন তারকেশ্বর দস্তিদার।

১৯৩৩ এর ১৯ মে গহিরা গ্রামে পূর্ণ তালুকদারের বাড়িতে গোপন মিটিং চলাকালে গ্রাম ঘিরে ফেলে পুলিশ। গুলির লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ। নিহত হন মনোরঞ্জন দাস, গৃহস্বামী পূর্ণ আর তাঁর ভাই নিশি তালুকদার। ধরা পড়লেন কল্পনা, তারকেশ্বরসহ বাকি বিপ্লবীরা। ধরা পড়ার পর, মেজর কিমের জুতার আঘাতে তারকেশ্বরের চোখ দিয়ে পিচকিরির মতো বের হতে থাকে রক্ত। মামলা খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, মাস্টার দা আর তারকেশ্বরের ফাঁসির আদেশ আর কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবনের দণ্ড দিয়ে।

ফাঁসির আগে বিপ্লবীদের স্লোগানের মাঝেই বীভৎস অত্যাচার চালানো হয় মাস্টারদা আর তারকেশ্বরের ওপরে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দাঁত, নখ সব ভেঙে দেওয়া হয়। সমস্ত জয়েন্ট আর হাড়গোড় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, আসলে আগেই মেরে ফেলে মৃতদেহকেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ফাঁসির পর লাশদুটো জেলখানা থেকে ট্রাকে করে ৪ নম্বর স্টিমার ঘাটে নিয়ে মৃতদেহ দুটোকে ব্রিটিশ ক্রুজার ‘দি রিনাউন’—তুলে নিয়ে বুকে লোহার টুকরো বেঁধে বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরের মাঝামাঝি এক জায়গায় ফেলা দেওয়া হয়। প্রেমিকের শহীদ হবার খবরটি কারাগারে বসেই পান। আরো নিভৃতাচারী হয়ে ওঠেন। মন দেন পড়ায়। জায়াড, কোলে, বার্নার্ড শ, রঁমা রঁল্যার আই উইল নট রেস্ট, সোউল এনচান্টেড, জাঁ ক্রিস্তোভ তার বিপ্লবী চেতনাকে আরো উজ্জীবিত করতে থাকে।

১৯৩৯ এ আন্দোলনে জেলের বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন কল্পনা দত্ত। ৪০-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি পরীক্ষা দেন। সেই বছরই মুম্বাইতে এক সম্মেলনে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে পরিচয় হয় পি. সি. যোশীর সাথে। কল্পনা দত্ত স্মৃতিকথায় জানিয়েছেন—“দুর্ভিক্ষের পরে বোম্বেতে একটা কনফারেন্স হয়েছিল। সালটা সম্ভবত ১৯৪৩। আমি চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে সেই কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানেই যোশী আমায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি বললাম, আই হ্যাভ প্রমিজড তারকেশ্বর দস্তিদার। যোশী বলল, তুমি জানো না ওর ফাঁসি হয়ে গেছে। ও তো আর কোনোদিন আসবে না। ... তাও আমি দোনামোনা করছিলাম। বিটি (বিটি রণদিভে), ডক (ডঃ গঙ্গাধর অধিকারী) এর ইনসিস্ট করাতে বিয়ে করলাম।”

১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কল্পনা দত্ত বেঁচে ছিলেন। লড়াই আর আত্মত্যাগের শিক্ষা থেকে কোনোদিন বিচ্যূত হননি। অস্ফুট সেই মৌনতা ঘেরা ভালোবাসা আজীবনই কি ধরে রেখেছিলেন? আমাদের ধারণা রেখেছিলেন, না-হয় কেনই বা স্মৃতির কথায় বেরিয়ে আসে সেই মৌন সম্মতিতে দেওয়া অপেক্ষার দশ বছর!

   

নারীরাই সমাজের স্থপতি



ফাহমিদা নবী
নারীরাই সমাজের স্থপতি

নারীরাই সমাজের স্থপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর জাগরণে অনেক পিছিয়ে আছি বললে ভুল হবে। যদি বলি, তবে প্রযুক্তির যুগে এসে সে কথা বলার কোন মানে হয় না। নারীও তাঁর অধিকারে এগিয়ে যাচ্ছে সাহস এবং শক্তিশালী মানসিকতার বদৌলতে। কেন পিছিয়ে থাকবে?

১৯০৮ সালের শ্রম আন্দোলন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি। বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া আমাদের নারীদের জাগরণের জন্য যখন পথ দেখালেন তখন থেকে অদ্যাবধি অবস্থানকে শক্ত এবং শক্তিশালী করবার দুর্নিবার পথ চলা কিন্তু থেমে নেই। তবুও আমরা আজো পিছিয়ে কেন? যে জাতি নারীদের সম্মান করতে পারে না, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব।

নারীরাই সমাজের প্রকৃত স্থপতি। নারীকে চিন্তা চেতনার শর্তে জীবনযাপন করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। আমাদের দেশে আত্মসচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই নারীদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; সবসময় এবং বারংবার। নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মেধা ও শ্রমশক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে। আর তা করতে হলে সমাজ সম্পর্কে তাঁর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

নারী দিবস মানেই আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া সৃষ্টিতে-কৃষ্টিতে সমতায় সেরা নারী যেন কোনভাবেই ভেঙে না পড়ে।

আমার তো মনে হয় নারী ফিনিক্স পাখি! সে যেভাবে বারবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়। নিজের কিশোরবেলা থেকে শুরু করে সংসার, বিয়ে, সন্তান থেকে পরিবার পুরো সমাজ সংসারে তার চলাচল ভীষণ ইতিবাচক। তাঁর তো সময় নেই নেতিবাচকতায় চোখ রাখবার! থাকুক যতই বাধা তার ধৈর্যের কমতি নাই। হাসিমুখে সব কিছুতে তাঁর অংশগ্রহণ এক বিস্ময়।

সত্যি বলতে কী নারী মানেই “মা”। তাই নারী সব কিছুরই উদাহরণ। মাকে কখনো কঠিন হতে হয়, কখনো কোমল, কখনো বা সংসার কৌশলী, বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী।

নারীদের বলতে চাই জীবনে সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কথা বলতে, না বলতে, সাহসে পথ চলতে শিখতে হবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের দেশে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। শুধু সাহস আর মানবিকতা পথটাকে আরেকটু চিনে চলতে হবে। কারণ অমানবিকতা আনাচেকানাচে চিরকালই দেখি।

আরেকটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতেই হবে যা মানবিক আচরণ। কিছু সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি সবাই এক সমতায় তবে এখনো পিতার সম্পত্তি বণ্টনে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না কেন? বিশাল সমস্যা এখানেই রয়ে গ্যাছে। এই সমঅধিকারের প্রতিকার যতদিন না হবে বৈষম্যের ফাঁকটা রয়েই যাবে। এবং মেয়েদের উপর অত্যাচার কখনোই কমবে না।

পৃথিবীর কোন দেশে এই বৈষম্যতা নেই বলেই নারীরা অনেক সাহসে এবং সমতার অংশগ্রহণের নিশ্চিত থাকতে পারে।

আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। সমবণ্টন নিশ্চিত হোক। নারীর এগিয়ে যাওয়া আর রুদ্ধ হবে না।

আমি সব সময় মুগ্ধ হই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে। কী প্রাণবন্ত হয়ে নারীদের অগ্রগতিতে তিনি কতটা ভূমিকা রাখছেন! প্রতি মুহূর্তে তিনি চান মেয়েরা এগিয়ে আসুক সাহসী হোক। তিনি এ ব্যাপারেও কাজ করছেন শুনেছি। আশা করি অবশ্যই পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমঅধিকার হবে। কাজেকর্মে, শিক্ষায় সমাজ সংসার জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক সমতায়। সেজন্য সুযোগ সুবিধায় নারীদের সম্মানকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

সকল নারীদের জন্য শুভ কামনা; আত্মবিশ্বাসে পথ চলা সফল হোক।

ফাহমিদা নবী: সংগীত শিল্পী

;

‘নারীবাদী’ শব্দের উৎপত্তি এবং এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক



নারীশক্তি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

নারী ক্ষমতায়নের বিশ্ববাসী / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নারীবাদী কিনা?’ প্রশ্নে পুরুষ কিংবা নারী- অনেককেই অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়। কারো উত্তরে থাকে দ্বিধা। হাস্যকর হলেও সত্য, কেউ কেউ উত্তর দেয়,‘আমি নারীবাদী নই, তবে আমি সমতায় বিশ্বাসী।’ সমাজে অধিকাংশ মানুষের কাছে ‘নারীবাদী’ শব্দটার অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। বর্তমান সমাজে মানুষ নারীদের সমান অধিকারের দাবীর কথা শুনে হাসে। কিছু মানুষের মতে, নারীরা বরং বেশিই পাচ্ছে। বর্তমান সমাজচিত্র দেখে অনেকে মনে করেন, নারীবাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বরফখণ্ড ভাসতে দেখে, পানির নিচে তার আকার বোঝা যায় না। নারীবাদী  শব্দের সূচনা যখন হয়েছিল, তখন সমাজের চিত্র একদম ভিন্ন ছিল।

নারীবাদ মানেই পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের মানসিকতা। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে-মানুষ হিসেবে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্য, সেই নারীবাদী। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ের অনেক নারীবাদীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী ভাব ফুটে ওটে। এই আচরণ কোনোভাবেই নারীবাদী হওয়ার প্রমাণ নয়!    

উনবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবার ফেমিনিজম বা নারীবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন। এরপর ১৮৭২ সালে  ফ্রান্স এবং ১৮৯০ সালে নেদারল্যান্ডসে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্ট শব্দ দু’টির ব্যবহার হয়। পরবর্তীতে যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়।

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা ভোটের অধিকার আদায়ে এবং নারী-পুরুষ সমান ক্ষমতায়নের আন্দোলন শুরু করে। এই  আন্দোলন হয়েছিল কারণ, কর্মক্ষেত্রে সম্মান এবং আয়ের দিকে নারীরা ছিল পুরুষদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে।  সমান অধিকার ছিল না বলেই, তা ছিনিয়ে নিতে বার বার আন্দোলনে নামতে হয়েছে নারীদের ।

স্রষ্টা পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ-কে পাঠিয়েছেন। অথচ বিবেক-বুদ্ধিবান মানব সমাজেই একপক্ষকে অপর পক্ষ থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা নয় কি?

একটা সময় নারীদের নিজ ইচ্ছায় ঘর থেকে বের হওয়ার অধিকারও ছিল না। শিক্ষাগ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছিল স্বপ্নাতীত। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় স্বামীর মৃত্যু হলে, জীবিত নারীদের তাদের সাথে পুড়িয়ে মারা হতো। নারীর ইচ্ছা না থাকলেও পরিবারের সকলে মিলে তাকে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করতো। সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে, নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে চালু হয়ে বিধবা বিবাহ আইন। ১৮৫৬ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা নারীদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ছেলেকে এক বিধবা কন্যার সাথে বিয়ে দিয়ে।

তৎৎকালীন এই অসমতার চিত্র, ইউরোপের অনেক লেখকের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রাচ্যের বর্বরতা হিসেবে। তারা নারীদের প্রতি আচরণের কারণে, প্রাচ্যকে অনুন্নত বিবেচনা করতো। অথচ পশ্চিমের আচরণ যে নারীদের প্রতি খুব সম্মানজনক ছিল, নাও কিন্তু নয়!

ইংল্যান্ডের বাজারে একসময় বউ বিক্রি হতো। নারীদের লাল লিপস্টিক দিয়ে সাজ ছিল নিষিদ্ধ। কেবল দেহ ব্যবসায়ী নারীরাই লাল লিপস্টিকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। ১৮০০ সালের দিকে ঝগড়া করার অপরাধে এক ইউরোপীয়ান তার স্ত্রীর মুখে বেড়ি পড়িয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছিলেন। এমনকি নারী আন্দোলন এবং জাগরণের শুরুই হয়েছিল খোদ পশ্চিমের দেশগুলোতেই।  

সব মানুষেই নিজের জীবন স্বাধীনভাবে কাটাতে চায়। কেউই  পরাধীন থাকতে চায়না বিধায়, কালের বিবর্তনে বিশ্বজুড়ে বার বার বিদ্রোহ এবং আন্দোলন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েও লড়ে গেছে স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান সমাজ নারীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয় হলেও, শুরু থেকে এমনটা ছিল না। সেই কারণেই নারীরা আন্দোলন করে অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।    

;

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

'রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক'। বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। কিশোরগঞ্জের সমাজ প্রগতি ও জনসেবায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদানকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী নূরজাহান বেগমকে ১ম শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ শাহ্ বাড়িতে নবনির্মিত নান্দনিক স্থাপত্য শাহ্ মাহ্তাব আলী কালচারাল কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের পক্ষে তাঁর বড় ছেলে, মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, বার্তা২৪.কম এর অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘জীবনের ধ্রুবতারা: আমার মা নূরজাহান বেগম ও কিশোরগঞ্জের স্মৃতি’ শীর্ষক পাবলিক লেকচার প্রদান করেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার। এতে পদক প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. গোলাম হোসেন।

এতে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি‌নিয়র আইনজীবী বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা না‌সির উ‌দ্দিন ফারুকী, সিনিয়র আইনজীবী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রির সাধারণ সম্পাদক মু আ ল‌তিফ, সি‌নিয়র সাংবা‌দিক আলম সা‌রোয়ার টিটু, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি মিনহাজ শিহাব ফুয়াদ, সমাজকর্মী লুৎফু‌ন্নেছা চিনু প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সমাজসেবী নূরজাহান বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন কীর্তির ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা ছাড়াও বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করছে।

এছাড়া সমাজসেবী নূরজাহান বেগম বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি এই মহীয়সী নারী পরলোকগমন করেন। তাঁর কর্ম ও স্মৃতিকে অম্লান রাখার জন্য শাহ্ মাহ্তাব আলী ফাউন্ডেশন তাঁকে মরণোত্তর পদকে ভূষিত করেছে।

;

‘প্রতিবন্ধী নারীদের বাধা দূর করতে একসঙ্গে সাইরেন বাজাতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), অ্যারো ও সিএনএস এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক একটি কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিআরইউ সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় বেলা ১১টায় ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

এ সময় তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারসহ শীর্ষ পর্যায়ে নারী ক্ষমতায় থাকলেও নারীরা এখনও তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এই নারীরাই যখন প্রতিবন্ধী হয় তখন তারা আরো নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন।


নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না এমন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, রাস্তাঘাটসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থাকলেও মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের নিয়েও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রকল্প নেই। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র একটা ভুল মডেলের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে একসঙ্গে বাঁশি এবং সাইরেনটা বাজাতে হবে, আওয়াজ এক সঙ্গে করতে হবে।

এসময় তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সরকার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কর্মশালাটিতে প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ প্রকল্প সমন্বয় বিশেষজ্ঞ তুশিবা কাশেম মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) উপস্থিত ছিলেন।

;