ডিএসএলআর হবে ওয়েবক্যাম!



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রভাবে বাসা থেকে কাজের জন্য ভিডিও কলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অফিসের কাজে ভিডিও কলের জন্য বেশিরভাগ ব্যবহৃত হয় ডেক্সটপ, ল্যাপটপ কম্পিউটার। কিন্তু এসব ডিভাইসের ক্যামেরা কোয়ালিটি তুলনামূলক স্মার্টফোন থেকে কম। তাই এই পরিস্থিতিতে ক্যাননের ক্যামেরাকে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ১০ পিসির জন্য ক্যানন 'ইওএস ওয়েবক্যাম ইউটিলিটি' নামে একটি সফটওয়্যার লঞ্চ করেছে। এই সফটওয়্যার দিয়ে ক্যাননের নির্ধারিত ক্যামেরা ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপে ওয়েব ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এই ফিচারটি সাপোর্ট করবে যেসব ক্যামেরায় তার তালিকা এবং সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই ঠিকানায় ভিজিট করুন

বর্তমামে এই সফটওয়্যারটি ক্যানোনের ২৫ টি ভিন্ন মডেলের ক্যামেরায় চলবে।

নিচের ভিডিওটি থেকে নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

সূত্র: দ্য ভার্জ

   

ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এলো গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০ লাইট। রবিবার (৫ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিভো ভি৩০ লাইটকে পরিচয় করিয়ে দেন জনপ্রিয় তারকা ও ভিভোর শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের ভিভো ভি৩০ লাইটে যুক্ত হয়েছে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ডিজাইন। সূর্যের আলোতে মুহূর্তেই বদলে যাবে ব্যাক সাইডের কালার। দেবে এক অভিনব লুক।

ভিভো ভি৩০ লাইটকে আরো প্রিমিয়াম করেছে এর ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। ব্রিজ গ্রিন আর ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

ভিভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাইফকে আরো লাইট আপ করতে ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটে এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটরি ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে। যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দেবে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা।

একবার চার্জে এই স্মার্টফোনে কথা বলা যাবে টানা ২৯ ঘন্টা। টানা ৮ ঘন্টা গেম উপভোগ করা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টানা ১৬ ঘন্টা ভিডিও চলবে।
ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে সুপার চার্জ পাম্প। এটি যেমন ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করবে, তেমনি সবচেয়ে কম তাপ উৎপন্ন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে চার্জের সময়ে, মাল্টিটাস্কিং বা প্রচন্ড রোদের তাপেও ভিভো ভি৩০ লাইট থাকছে ঠান্ডা।

এ ছাড়াও ব্যবহারের ৪ বছরের মধ্যে যদি এর ব্যাটারি ৮০% এর বেশি ড্যামেজ হয় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা।

৭.৭৯ মিলিমিটার সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিট পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। থাকছে অত্যাধুনিক ৬৮৫ কোয়ালকম স্নাপড্রাগন প্রসেসর এবং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য থাকছে ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম।

একইসঙ্গে ২৫ টা অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ৮ জিবি র‍্যামের সঙ্গে থাকছে ৮ জিবি র‍্যাম বাড়ানোর সুবিধা। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। তাই গান, ভিডিও বা গেমে সাউন্ড কোয়ালিটি হবে স্মুথ এবং হাই। সঙ্গে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সঙ্গে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। যা কম আলোতে দারুণ ছবির নিশ্চয়তা দিবে ব্যবহারকারীকে। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা। ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে প্রি-বুকিং। প্রি-বুকিং করলেই পাওয়া যাবে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

সাথে যারা প্রি-বুকিং করবে তাদের জন্য আরো থাকছে ১৮০ দিনের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট অফার। যদি ১৮০ দিনের মধ্যে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ভেঙে যায় তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটি ঠিক করে দেবে ভিভো। এই অফারটি পেতে সাধারণত ৯৯৯ টাকা এবং ডিসপ্লে বাবদ প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ করতে হলেও ভিভো এটি দিচ্ছে একদম ফ্রি।

;

নির্বাচনের আগেই আক্রমণের শিকার সাবেক বেসিস সভাপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন এরই মধ্যে জমে উঠেছে। ১১টি পরিচালক পদের বিপরীতে তিন প্যানেলের ৩৩ জন পার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর এই তিন প্যানেলের মধ্যে একটি প্যানেলকে সমর্থন দিয়ে বিপাকে পড়েছেন খোদ বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান।

সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর প্রার্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম নামে ফেসবুকের ক্লোজড গ্রুপে তার মতামত তুলে ধরায় গ্রুপটি থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ভোটেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ৪ মে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে সংগঠনের ২০১০-১২ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মাহবুব জামানের সঙ্গে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি সামল দিতে এখন বেসিসের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য পরিচালকদেরকে দুঃখ প্রকাশ করে এর সমালোচনা করতে হচ্ছে। কিন্তু ভোটাররা বলছেন, যাদের চক্রান্তে মাহবুব জামানকে অপমান করা হয়েছে, তারাই এখন রূপ পাল্টেছে।

দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তাদের জন্য অবদান রাখা মাহবুব জামান সেদিন বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে লেখেন-‘গত কয়েক দিনে আমি অনেক টেলিফোন পাচ্ছি, যেখানে সবাই জানতে চান আমি কেন একটি পক্ষ নিলাম।’ তার লেখায় সুস্পস্ট হয়ে ওঠে, প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষের সঙ্গে তার গভীর পরিচয় ও ঘনিষ্টতা রয়েছে। তবে অত্যন্ত প্রিয়জন এবং কয়েকজন আবার স্নেহভাজন আছেন। এমন কি তিনি এটাও বলেন যে, টিম স্মার্ট তার কাছে আসেনি, বরং তিনিই টিম স্মার্টের কাছে গিয়েছেন।

এর কয়েকটা কারণ ব্যাখ্যা করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এই ছাত্রনেতা। প্রথম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিম স্মার্টের অধিকাংশই বয়সে তরুণ-যেটা অনেকে মনে করেন তাদের দূর্বলতা। তবে সাবেক বেসিস নেতা মনে করেন, তার বিবেচনায় এটাই টিম স্মার্টের বড় শক্তির জায়গা।

'এই প্যানেলের সবাই ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিদিনের কাজের সাথে যুক্ত আছে। ফলে সমস্যাগুলোকে এরা ভালো বোঝে'- এটাকে দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

মাহবুব জামান বলেন, এই প্যানেলটির সবাই কাটিং এজ টেকনোলজির প্রতিটি ফিল্ডে কাজ করছে। এআই, আইওটি, ডেটা অ্যানালিসিস, রোবটিক্স এমন নানান উন্নততর প্রযুক্তি এদের কাজের ক্ষেত্র।

এমন পোস্ট দেওয়ার পরে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপের অ্যাডমিন বেসিসের এই সিনিয়র নেতাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দেন। এমনকি তার পোস্টও রিমুভ করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে নানান মতামত আসতে থাকে। পরে বেসিসের বর্তমান কমিটির কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন।

সচেতন ভোটারা বলছেন, মাহবুব জামানকে অপমান করার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত। এখন দুঃখ প্রকাশ আসলে লোক দেখানো মায়া কান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।

সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে রবিবার (৫ মে) মাহবুব জামানকে ফোনও করেছিল বেসিসের সেক্রেটারিয়েট। টিম স্মার্টকে সমর্থন দেয়ার কারনে আক্রমণের শিকার হওয়ায় এই বিষয়ে মাহবুব জামান আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে বেসিস নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এবার তিনটি প্যানেল অংশ নিয়েছে। ১১টি পরিচালক পদের বিপরীতে তিন প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩৩ জন প্রার্থী।

রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ১৪৬৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯৩২, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯ জন।

;

গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন রিচার্জের মেয়াদ ৩৫ দিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ, আরও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩৫ দিন করল গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন।

গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে অন্যান্য মূল্যের রিচার্জের ক্ষেত্রেও মেয়াদ বাড়িয়েছে অপারেটরটি। ৩০-৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ বর্তমানে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০-১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০-২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে। ২৯৯ টাকার বেশি যেকোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন।

সকল প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত সহজ ও সুবিধাজনক অফার প্রদানের চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহকরা যেন সংযুক্ত থাকতে পারেন এবং তাদের আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা থাকে এজন্য বর্ধিত মেয়াদের নতুন অফারগুলো চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই নতুন অফারগুলো গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে এবং ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে যেখানে প্রত্যেকের জন্য সংযোগ হবে একটি মূল চালিকাশক্তি।

;

বেসিস নিয়ে আব্দুল আজিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই.কম লি.-এর চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ।

তিনি বেসিস নির্বাচনে অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে পরিচালক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে তার ঘোষিত ইস্তেহারে বেসিস এর ভবিষ্যৎ রূপরেখা অংকন করে দিয়েছেন।

প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, বেসিস অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির‌ সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বেসিসের জন্য নিজেকে একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে আগামী দুই বছর‌ নিয়োজিত রাখতে চাই।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার প্যানেল 'টিম সাকসেস' জয়ী হলে বেসিসের জন্য স্থায়ী এবং নিজস্ব অবকাঠামোতে বেসিস কার্যালয় স্থানান্তর করবো।

বেসিসের নিজস্ব তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়ে যাচাই ডট কমের চেয়ারম্যান বলেন, আমার লক্ষ্য স্ট্রার্টআপ ফান্ডিং এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বা ঋণের ব্যবস্থা করা। ২০৪১ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স এক্সেম্পশন এর সময় বাড়ানোর মতো মুখ্য বিষয় গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করতে চাই।

এছাড়া ই-কমার্স এবং মার্কেটপ্লেস ক্রসবর্ডার ও এবং লজিস্টিকস বিজনেস বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করতে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান।

আব্দুল আজিজ বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বা কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ পাওয়া বা অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এমন নীতিমালা তৈরি করতে চাই যাতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য নূন্যতম ১% থেকে ১০% কাজের যৌথ অংশীদার কোটা বরাদ্দ রাখা হয় এবং যৌথ কাজের অংশীদার হিসেবে নতুন উদ্যোক্তাদের সনদ প্রদানের সুযোগ তৈরি করা যায়।

তিনি আরও বলেন, এগ্রোটেক, ফিনটেক, ইন্সুটেক, ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট এবং এডটেক, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং মিডিয়া, ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট সমস্যা সমাধান, সার্ভিস প্লাটফর্ম, OTA, মিউজিক,‌ অনলাইন জব মার্কেটপ্লেস, অনলাইন স্টক মার্কেট, নতুন এজেন্সি এবং ট্রেডিং বিজনেস সহায়ক পলিসি তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। তাদের যেকোনো ব্যবসায়িক সংকট দূরীকরণে আমাকে পাশে পাবে বলে কথা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, অফলাইন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনলাইন বা ডিজিটাল কমার্স এ রুপান্তরের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে চাই এবং তাদের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ভূমিকা রাখতে চাই।

অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির এ পরিচালক পদপ্রার্থী জানান, বেসিস অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য আমার আলাদা কিছু করার ইচ্ছে আছে।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ক্যাটাগরির বিজনেস পরিচালনার পথে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে 'হেল্প ডেস্ক' স্থাপনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে চাই।

অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার প্রসারে ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করার ঘোষণাও তিনি দেন। তিনি বলেন, আমি এই উদ্যোক্তাদের চাওয়া এবং পাওয়ার কন্ঠ হিসেবে কথা বলতে চাই এবং একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধেয় সদস্যদের এডভোকেসি করতে চাই৷ সরকারী বিভিন্ন নীতীমালায় নতুন , ক্ষুদ্র দেশীয় উদ্যোগগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সদা সচেষ্ট থাকবো৷

ডিজিটাল বিজনেসের ক্ষেত্রে ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ও বিজনেস পরিচালনায় উদ্যোক্তারা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ বিষয়ে আব্দুল আজিজ বলেন, এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির সদস্যবৃন্দের জন্য আলাদা 'ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার' প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে ব্যবসার এন্ট্রি পয়েন্ট কে সহজ করা তথা - ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্রেড মার্ক, কপিরাইট, ডিবি আইডি ও বিভিন্ন ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সেবা প্রদান করা হবে।

দেশীয় বিভিন্ন সকল উদ্যোগসমূহকে সাস্টেইনেবল (স্থিতিশীল) প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এসোসিয়েশনের বর্তমান নেতৃবৃন্দের এবং বিগত সময়ের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনাপূর্বক তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে দল মত নির্বিশেষে একটি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান বলে তিনি জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল আজিজ একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কাজ শুরু করেন। পরে পরিবারে সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করেন।

তিনি বলেন, আমি নানা ঘাত প্রতিঘাত, নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

দেশের বিশিষ্ট এ শিক্ষানুরাগী নিজ উদ্যোগে স্কুল, কলেজ, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, মেডিকেল ইনস্টিটিউট, ইউনিভার্সিটি-সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এ সমাজসেবক বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আইসিটি সেক্টরের দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি পূরণের জন্য বেসিস ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটকে নতুনভাবে সাজিয়ে বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখতে চাই।

তিনি নিজ প্যানেল টিম সাকসেস এর সকল প্রার্থীর জন্য বেসিস সদস্যদের ভোট চেয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে আপনার জন্য এবং বেসিসের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনার মহামূল্যবান ভোট চাই।

;