স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে পাশাপাশি রেখে হাঁটতেন স্টিভ জবস



আইসিটি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মৃত্যু অবধারিত, আমিও খুব তাড়াতাড়ি মারা যাব, আর এটাই আমার জীবনের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। কারণ যখন আমি মৃত্যু সম্পর্কে ভাবি তখন সমস্ত গৌরব, প্রত্যাশা এবং ব্যর্থ হওয়ার ভয় নিঃশেষ হয়ে যায়’। ঠিক যেন স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে পাশাপাশি রেখে হাঁটতেন প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম সফল কারিগর স্টিভ জবস।

তবে অন্যান্য সব কিংবদন্তিদের মত তার জীবনের চলার পথও ছিল অমসৃণ। কিন্তু তাই বলে তিনি থেমে যান নি, বা দমে যান নি। তার একাগ্রতা, পরিশ্রম, দক্ষতা এবং সৃজনশীল চিন্তাধারায় তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যাপেলকে তিনি নিয়ে গেছেন বিশ্বের একনম্বর টেকনোলোজি কোম্পানির কাতারে।

মহান এই প্রযুক্তি নির্মাতা কারিগরের জন্ম আমেরিকার সানফ্রানসিসকোতে ১৯৫৫ সালে। রিফিউজির সঙ্গে মা জোয়ান শিবো প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি স্টিভ জবস। পরে জোয়ান শিবো পল জবস আর ক্লারা জবস নামে এক দম্পতিকে তাকে দত্তক দেন। জবসকে তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। আর জবস তাদেরকেই তার বাবা-মা হিসেবে জানতেন।

আর সেই শৈশব থেকে বাবার সাথে গ্যারেজে ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ করতেন। সেই থেকে তার প্রযুক্তির সাথে সখ্যতা। ছাত্র হিসেবে তিনি ছিলেন খুব মেধাবী।

৪র্থ ক্লাসে পড়ার সময় তার পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে হাই স্কুলে ভর্তি করার কথা জানালে তার বাবা-মা তাতে মত দেন নি। তারা চাইতেন তাদের ছেলে ক্রমান্বয়ে পড়াশুনা শেষ করুক।

এরপর শিক্ষাজীবনে ‘রিড কলেজে’ ভর্তি হন। কিন্তু কলেজের খরচ জোগাতে তার বাবা-মাকে তাদের সব অর্থ তার পিছনে দিতে হত। তখন স্টিভ তার খরচ চালানোর জন্য কোকের খালি বোতল বিক্রি করা শুরু করে। সপ্তাহে একদিন রোববারে ভাল খাওয়ার জন্য হরিকৃষ্ণ মন্দিরে ৭কিলোমিটার হেঁটে যেতেন। ঘুমানোর জায়গা ছিল না বলে বন্ধুর বাসার মেঝেতে ঘুমাতেন স্টিভ।

আর কলেজে ভর্তির ৬ মাস পড়ে পড়াশুনা ছেড়ে দেন। তবে যেই বিষয়টি তার ভাল লাগে শুধু সেই বিষয়ে পড়াশুনা করেন। ক্রিয়েটিভ ক্লাস করেন ক্যালিগ্রাফিতে। ক্যালিগ্রাফি তার কাছে পছন্দের বিষয় ছিল। তিনি মনে করেন এটি ছিল তার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।

তার প্রথম কাজ শুরু করেন ‘আতারি কম্পিউটারস’এর সাথে। তখন তার সাথে পরিচয় স্টিভ ওয়াজনিয়াক এর সাথে। পরে তারা ভাল বন্ধু হয়ে যান।

১৯৭৬ সালে ওয়াজনিয়াক নিয়ে আসে প্রথম ‘অ্যাপেল১’ কম্পিউটার। আর ইতিহাসের পাতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী এই কম্পিউটারের বিক্রি শুরু হয় স্টিভের বাবার গ্যারেজ থেকে। ১৯৭৮ সালে এর সফল বিপণনের ফলে তিনি ২৩ বছর বয়সেই বনে যান লাখপতি।

১৯৮৪ সালে জবস প্রথম ম্যাকিনটোশ আবিষ্কার করেন, যা ছিল সবচেয়ে সফল বাণিজ্যিকভাবে একটি কম্পিউটার। মূলত এই কম্পিউটারের গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস স্ক্রিন, মাউস এবং তার শেখা ক্যালিগ্রাফি এর আকর্ষনীয় ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করে। যা এখন আমাদের কাছে পিসি বা পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত।

অ্যাপেল কোম্পনির যাত্রা শুরু হয় ২ জন কর্মকর্তা নিয়ে। পরবর্তীতে কোম্পানির প্রসারের জন্য পেপসি’র সাবেক প্রধান নির্বাহীকে তাদের কোম্পানির সিইও করা হয়। আর এর ১ বছর পরে কোম্পানির দূরদর্শিতা নিয়ে মত বিরোধ হলে ৩০ বছরের স্টিভকে তার তৈরি প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়।

সেই সময়টাতে তিনি নেক্সট এবং পিক্সার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বানায়, আর সেই পিক্সার কোম্পানি তখন আমেরিকার সর্বপ্রথম আনিমেশন মুভি ‘টয় স্টোরি’ বানায়। যা ব্যাপক সুনাম ও সফলতা অর্জন করে। পরবর্তীতে অ্যাপেল পিক্সারকে কিনে নেয় এবং স্টিভ কে আবারও অ্যাপেলের সিইও পদে নিয়োগ দেয়।

২০০১ সালে অ্যাপেল পরিচয় করিয়ে দেয় গান শোনার জন্য একটি পোর্টেবল ডিভাইস আইপড। আর এর জনপ্রিয়তা ছড়ায় বিশ্বব্যাপী। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হলিউডের শিল্পী গোষ্ঠীদের মাঝেও ছিল আইপডের ব্যাপক চাহিদা। পরবর্তীতে ‘আইটিউনস’ যা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

মোবাইল ফোন বাজারে অ্যাপেল প্রবেশ করে ২০০৭। আর যা ছিল অ্যাপেলের ‘আইফোন’সে সময়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী মাল্টিপল টাচ স্ক্রিন মোবাইলফোন। এতে ছিলো অ্যাপেলের আইপড, আইটিউনস , একটি ফোন এবং সেলুলার ডাটা ইন্টারনেট মোবাইল সুবিধা । যা মোবাইল বাজারের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগি হিসেবে নিজের অবস্থান করে নেয়।

২০১০ সালে ‘আইপ্যাড’ তৈরি করে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। যা কম্পিউটারকে হাজির করে সম্পূর্ণ নতুন রূপে, যাকে বলা হত ট্যাবলেট স্টাইলের কম্পিউটার। আর তার কর্ম পরিচালনায় ২০১১ সালে অ্যাপেল অর্জন করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি নির্মাতা কোম্পানির খেতাব।

তিনি বলতেন, “আমি তা ই করি যা আমি ভালবাসি। আর তোমাকে খুঁজে নিতে হবে তুমি কি ভালবাসো। যদি না জান তাহলে খুঁজতে থাক। নিজের মনের ইচ্ছাকে প্রথম প্রাধান্য দাও এবং বাকিসব কিছুকে এর পরে রাখ”।

ব্যক্তিগত জীবনে ক্রিসেন ব্রেনান কে বিয়ে করলে সেই ঘরে জন্ম নেয় লিসা বার্নান-জবস। তবে তিনি তার এই কন্যার পরিচয় দিতেন না। কিন্তু এক সময় বিষয়টি যখন গণমাধ্যমে আলোচিত হয় পড়ে তিনি তাকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করে নেন।

এরপর ১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন এবং তাদের তিনজন সন্তান ইভি জবস, ইরিন সিয়েনা জবস, রিড জবস।

২০০৯ সাল থেকে এই প্রযুক্তি কারিগর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা এবং অপারেশনের পরে আবার অ্যাপেলের সাথে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর সেই ক্যান্সারই স্টিভকে নিয়ে যায়-না ফেরার দেশে।

   

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

রেডিসন ব্লুতে শুরু হচ্ছে ‘ফ্যাশন টেক উইক’ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে প্রযুক্তির নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাতে প্রথমবারের মতো ১৫ ও ১৬ মে  ঢাকার রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ফ্যাশন টেক উইক’ (এফটিডব্লিউ)।

অ্যাপারেল রিসোর্সেস ইন্ডিয়া, যারা নিরলসভাবে পোশাক শিল্পের উন্নয়ন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং রিটেইলে ব্যবহৃত নতুন, যুগান্তরী, সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করবে।

গত বছর বেঙ্গালুরুতে (ভারত) প্রথমবার অনুষ্ঠিত আয়োজনের দুর্দান্ত সাফল্যের পর, ‘ফ্যাশন টেক উইক’ (এফটিডব্লিউ), এবার বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ফ্যাশন এবং প্রযুক্তির সংযোগের গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরার লক্ষে এই ইভেন্টের আয়োজন।

পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার বিবেচনায় এফটিডব্লিউ ২৪ এর এবারের মূল প্রতিপাদ্য মূলত চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে আর তা হলো – নতুন কিছু খোঁজা, শেখা, একত্রিকরণ এবং আরও দীর্ঘ পরিসরে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।

দুই দিন ব্যাপী এই ইভেন্টটিতে ফ্যাশন টেকনোলোজির ভবিষ্যতের সাক্ষী হবার পাশাপাশি এতে রয়েছে ৪০+ স্পন্সর এবং পার্টনার, ৩ টি নেটওয়ার্কিং সেশন, ৫০+ ইন্ডাস্ট্রি বক্তা, ২৫+ সেশন ও ওয়ার্কশপ এবং দুই হাজারেরও বেশি সি-লেভেল প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ।

অ্যাপারেল রিসোর্সেসের পরিচালক মায়াঙ্ক মহিন্দ্র বলেন, “গত বছর ভারতের বেঙ্গালুরুতে এফটিডব্লিউ উদ্বোধনী ইভেন্টে প্রদর্শক এবং পরিদর্শনকারী প্রতিনিধিদের চোখে উচ্ছ্বাস দেখে ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলাম। এই উচ্ছ্বাস অনুপ্রেরণা জুগিয়ে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে আরও শক্তিশালী করেছে, আর তাই এবছর আমরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাথে আমাদের ইভেন্টটিকে প্রসারিত করেছি। আমি বিশ্বাস করি সাম্প্রতিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলে এ দেশের পোশাক শিল্প নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং বিশ্ববাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে।”

ইভেন্টের এক্সপো জোন AI/ML/AR/VR, 3D, IoT-এর মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে অন-ডিমান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ইন্ডাস্ট্রি 4.0, ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ, ট্রেন্ড ফোরকাস্টিং, ভার্চুয়াল ফিটিং রুম, এজ কম্পিউটিং, ব্লকচেইন, স্মার্ট টেক্সটাইল রোবোটিক্স, গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ানো এবং টিকিয়ে রাখার মতো প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শিল্প উক্ত ইভেন্টে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এফটিডব্লিউ-এর নিবন্ধনের জন্য উৎসাহের সাথে এগিয়ে এসেছে।

পোশাক শিল্পে প্রযুক্তিগত সেবা প্রদাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন সিএলও ভার্চুয়াল ফ্যাশন, সলভেই৮, পাকিজা সফটওয়্যার লিমিটেড, লজিক সফটওয়্যার লিমিটেড, ব্লুকাকটাস, টুকাটেক, ক্লিক ইআরপি, জাজা সফ্টওয়্যার, সিজিফি এবং আর-প্যাক থাকছে এফটিডব্লিউ ঢাকাতে।

ইন্ডাস্ট্রির সকল অংশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এফটিডব্লিউ ২০২৪- এ নিজেদের মূল্যবান বক্তৃতা প্রদাণ করবেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট বক্তার নাম হল: উসামা মাকসুদ, পরিচালক, এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপ; ফজলুল হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্লামি ফ্যাশনস; রেহান রহমান, পরিচালক, বিং হিউম্যান বাংলাদেশ; হেলাল উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারম্যান, জেসিএল গ্রুপ; শরীফ জহির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনন্ত গ্রুপ; জয়নব মাকসুদ, প্রতিষ্ঠাতা, আমিরা ও পরিচালক, এক্সপেরিয়েন্স গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আরো অনেকে।

এফটিডব্লিউ ঢাকা সেমিনারে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে তা্র মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এআই রেভোলিউশন ইন সোর্সিং: দ্য নেক্সট বিগ থিং; বাংলাদেশের টেক্সটাইল সোর্সিং কৌশল পুনর্নির্মাণ; পোশাক তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রি ৪.0: স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা; থ্রি ডি গার্মেন্ট ভিজ্যুয়ালাইজেশন: আমরা কি এর জন্য প্রস্তুত নই?; ফ্যাশন শিল্পের জন্য সীমাহীন 3D সম্ভাবনা; লজিস্টিকস ৪.0: স্মার্ট গুদামজাতকরণ অপারেশনাল উৎকর্ষের দিকে নিয়ে যায়; রিয়েল টাইম ডেটা: উৎপাদনকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন রোডম্যাপ; অন-ডিমান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং বাংলাদেশ: সম্ভাব্যতা এবং সুযোগ; টেকসইতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রেসেবিলিটি এবং আরও অনেক।

এছাড়াও এফটিডব্লিউ ’২৪ ঢাকা অ্যাপারেল অনলাইন বাংলাদেশ (এওবি)-এর ‘৪০ অনূর্ধ্ব ৪০’ অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনের সাক্ষী হতে যাচ্ছে। ‘৪০ অনূর্ধ্ব ৪০’-এর এই ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগের মাধ্যমে, এওবি-এর লক্ষ্য বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পে তরুণ নেতাদের ব্যতিক্রমী অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদযাপন করা। পুরষ্কারগুলি সেই ব্যক্তিদের সম্মানিত করতে চায় যারা অসামান্য নেতৃত্ব, উদ্ভাবন পোশাক শিল্পের ক্রমশ বৃদ্ধিতে, এবং আগামীতে পথ চলার বাহক হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

;