বিদ্যুতের উৎস হবে নকল সূর্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে নতুন শক্তির উৎসের গবেষণায় পারমাণবিক প্রযুক্তির পর যুক্ত হচ্ছে যাচ্ছে নকল সূর্য। 

অ্যামাজনের উদ্যোক্তা জেফ বেজোসের হাত ধরে আসতে যাচ্ছে এই প্রযুক্তি বলে জানিয়েছে বিবিসি।সংবাদ সংস্থাটি জানায় বিদ্যুতের অসীম উৎস ফিউশন নিয়ে এমন গবেষণার আশা করছেন তারা।

ফিউশন পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি আহরণের ধারনা অনেক পুরোনো। তেল নির্ভর অর্থনীতি এই উদ্যোগে ঢিলেমি আনলেও গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতে অনেকে চেষ্টা করছেন অসীম শক্তির এ উৎসের জটিলতা কাটিয়ে উঠতে।

জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যহারের নেশা পুরো মানবসভ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। এটিও সত্য পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর শক্তির এ নোংরা উৎসকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ার মতো উপায় ও ইচ্ছার কোনওটিই মানুষের নেই।

সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুকল থেকে শুরু করে বিদ্যুতের নানান সবুজ উৎস হাতে থাকলেও গ্রাহক পর্যায়ে অভ্যস্ততা পৌঁছাতে এখনও অনেক সময় লাগছে। এর মধ্যে অনেক বিজ্ঞানী প্রস্তাব দিয়েছেন সূর্যের ফিউশন প্রক্রিয়া নকল করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

তাদের যুক্তি একবার নিউক্লিয়ার ফিউশন থেকে শক্তি উৎপাদন শুরু হলে আর চিন্তা নেই। হাইড্রোজেনের তো আর ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। আর ফিউশনে কোনও প্রকার কার্বন নির্গমনের সমস্যা নেই। পুরোটাই পরিবেশবান্ধব যাকে ক্লিনা বা পরিচ্ছন্ন শক্তি বলা চলে।

সম্ভাবনা অনেক হলেও নিউক্লিয়ার ফিউশন শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি সবসময়েই ৩০ বছর পিছিয়ে ছিল। এর প্রধান কারণ উন্নত দেশগুলোর অনিচ্ছা ও প্রযুক্তির অভাব।

যে প্রক্রিয়ায় ফিউশন বিক্রিয়া ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে কাগজে কলমে এমন পদ্ধতিতে ‘আয় থেকে ব্যয় বেশি’। অর্থাৎ যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে তা ব্যয় করা শক্তির চেয়ে কম।

তবে আশার বিষয় হচ্ছে বেসরকারি খাতে নতুন কয়েকটি পদ্ধতি সম্ভাবনা দেখিয়েছে। অনেকেই আশাবাদী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নিউক্লিয়ার ফিউশন ঘটানো সম্ভব হবে।


নিউক্লিয়ার ফিউশন হচ্ছে দুটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াসকে এক করে দেওয়ার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে জ্বালানি হিসেবে সাধারণত হাইড্রোজেনের দুটি আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।

ডিউটেরিয়ামে একটি প্রোটন ও একটি নিউট্রন থাকে, ট্রিটিয়ামে একটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন থাকে। এ দুই আইসোটোপকে প্রবল চাপে একীভূত করা হলে হিলিয়াম তৈরি হয় এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয়।

এ পদ্ধতিকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বলে। এই প্রক্রিয়ায় বর্জ্য হিসেবে নিউট্রন তৈরি হয় যা পরে ট্রিটিয়াম গঠনে সহায়তা করে। এ প্রক্রিয়া অত্যন্ত নিরাপদ।


তবে এই মূহুর্তে বাঁধাটা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় সূর্যের মতো অতি উচ্চ তাপমাত্রার প্লাজমা উচ্চ চাপে ধরে রাখতে হয়। তাপমাত্রাটা কত জানেন?গত জুনে প্লাজমার তাপমাত্রা অর্জন করা গেছে দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস, নিকট ভবিষ্যতে প্লাজমার তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বৈজ্ঞানিকরা। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা থেকেও ঢের বেশি!

চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে এ জন্য এমন একটি  স্ট্রাকচার তৈরি করা, যেটি এতো উচ্চ তাপমাত্রার প্লাজমাকে উচ্চ চাপে ধরে রাখতে পারবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/01/1543644909903.jpg

প্লাজমাকে ধরে রাখার জন্য যে চৌম্বক স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয় সেটিকে তুকামাক ফিউশন টেস্ট রিঅ্যাক্টর বলা হয়।


নিউক্লিয়ার ফিউশন নিয়ে ভবিষ্যতে আলো দেখার কারণ হচ্ছে বেসরকারি খাতে অনেকেই এ খাতে বিনিয়োগ করছে। এ তালিকায় আছেন বিল গেটস, জেফ বেজোসের নামও।

একটি অতি সম্ভাবনাময় প্রকল্পের কাজ করছে অক্সফোর্ডশয়ারভিত্তিক ‘তুকামাক এনার্জি’ নামে একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি উচ্চ তাপমাত্রার সুপারকনডাকটর বা এইচটিএস প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর নির্মাণ করেছে, যা অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চৌম্বকশক্তিতে প্লাজমাকে উচ্চ চাপে আটকে রাখতে সক্ষম।

এ ধরনের রিঅ্যাক্টর আকারে ছোট হয়, তাই নির্মাণ খরচ কম। ইতিমধ্যে এমন তিনটি রিঅ্যাক্টর নির্মাণ করা হয়েছে। যেগুলো একেকটি ছোট ছোট সূর্যের মতো কাজ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রে এমআইটি কাজ করছে ডোনাট আকৃতির একটি তুকামাক নির্মাণের লক্ষ্যে। তাদের সঙ্গে রয়েছে কমনওয়েলথ ফিউশন সিস্টেম। অর্থায়ন করছে বিল গেটস, জেফ বেজোস, মাইকেল ব্লুমবার্গসহ অন্যান্য বিলিয়নিয়াররা।

বেসরকারি এসব উদ্যোগ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ফল আসবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিডে ফিউশন শক্তি যুক্ত করার কথাও বলছেন তারা। অনেকেই বলছেন এটি নিউক্লিয়ার ফিউশনের ‘স্পেস এক্স’ মুহূর্ত।

 

 

   

ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেনের পথচলা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে অল্প বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী সালমান হোসেনের।

বর্তমানে তিনি eLearn IT Institute এর Co-founder & GM হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস Fiverr এর Level 2 Seller হিসেবে আছেন।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণ ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী সালমান হোসেন। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন সালমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

;

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;