ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রপতির সম্মতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল অলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্মতি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। সোমবার (০৮ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের  এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির খসড়া তৈরির সময়ই এর বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করে আসছিলেন সাংবাদিকরা।

আইনের ৩২ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট প্রয়োগ করে সরকারি কোন কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে সংগ্রহীত তথ্যকে (‘তথ্য পাচারের’) অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই অপরাধ সংঘটন ও সংঘটনে সহায়তা দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনে পুলিশকে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি ও গ্রেফতারের পাশাপাশি ক্ষতিকর তথ্য-উপাত্ত ব্লক বা অপসারনের বিধানও রাখা হয়েছে। এছাড়া এই আইনের অধীনে কৃত সব কাজকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকি জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাপরিচালককে প্রয়োজনবোধে নিজ ক্ষমতা এজেন্সির কোন কর্মচারী এবং অন্যকোন ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারকে অর্পণ করারও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাপরিচালকের নিজ অধিক্ষেত্রভুক্ত কোন বিষয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোন তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করলে তিনি উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ, ক্ষেত্রমত ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবেন। একইধারায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জন শৃঙ্খলা রক্ষায় মহাপরিচালকের মাধ্যমে একইভাবে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনের এ ধারায় সরকারকে অবহিত করে বিটিআরসিকে তাৎক্ষনিকভাবে প্রাপ্ত অনুরোধ কার্যকরার সক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিলে ২১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনও প্রকার প্রপাগাণ্ডা ও প্রচারণা চালান বা তাতে মদদ দেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। উক্ত একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে এমন কোন তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলে জানা থাকা সত্বেও কোন ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে কোন তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর বা তদুদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলে জানা থাকা সত্ত্বেও কোন তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি ৩ বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। উক্ত একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার বা উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্যকোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন, যা ধর্মীয় অনুভ’তি বা মূল্যবোধে আঘাত করে তাহলে তিনি ৫ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৯ ধারায় বলা হয়, যদি কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্যকোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্যানাল কোডের ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর কোনও তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করেন, তাহলে তিনি ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা বিভিন্ন শ্রেণী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটানোর উপক্রম হয়, তাহলে তিনি ৭ বছরের কারাদন্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি (অফিসিয়াল সিক্রেট এ্যাক্ট ১৯২৩-এর আওতাভুক্ত) কোন অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনও ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে তিনি ১৪ বছর কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৪৩ ধারায় বলা পুলিশকে গ্রেফতারী পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশী, মালামাল জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এক্ষত্রে জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাপরিচালকের অনুমোদন ছাড়াই পুলিশ যে কোন স্থানে প্রবেশ, তল্লাশি করতে পারবে এবং বাধাপ্রাপ্ত হলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ও দলিলাদি জব্দ ও উক্ত ব্যক্তি গ্রেফতার করতে পারবে। তবে তল্লাশি সম্পন্ন করার পর এ বিষয়ে ট্রাইবুনালকে প্রতিবেদন দিতে হবে।

বিলের ৫৪ ধারায় ট্রাইবুনালের আদেশানুসারে এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটনে জড়িত কম্পিটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ফল্পি ডিস্ক, কম্প্যাক্ট ডিস্ক, টেপ-ড্রাইভ বা অন্য আনুষঙ্গিক উপকরণ বাজেয়াপ্ত হবে। বিলের ৫৫ ধারায় এই আইনের অধীনে সংঘটিত কোন অপরাধের তদন্ত ও বিচারের ক্ষেত্রে আ লিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে ‘অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পারিক সহায়তা আইন ২০১২-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে। আইনের ৫৬ ধারায় জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাপরিচালক প্রয়োজনবোধে এই আইনের বলে তার ওপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিতভাবে এজেন্সির কোন কর্মচারী এবং অন্যকোন ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারকে অর্পণ করতে পারবেন। এই আইনের অধীনে কৃত সব কাজকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সরল বিশ্বাসেকৃত কাজকর্ম শিরোনামে বিলের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে সরল বিশ্বসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, তজ্জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মচারী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনিমার্ণেও লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ নিরাপদ ব্যবহার আবশ্যক। বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে এর সুফলের পাশাপাশি অপপ্রয়োগও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাইবার অপরাধের মাত্রাও বাড়ছে। তাই জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ডিজিটাল অপরাধসমুহের প্রতিকার, প্রতিরোধ, দমন, সনাক্তকরাণ, তদন্ত এবং বিচারের উদ্দেশ্য আইন প্রনয়ণ আবশ্যক।

   

ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেনের পথচলা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

ফ্রিল্যান্সার সালমান হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে অল্প বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী সালমান হোসেনের।

বর্তমানে তিনি eLearn IT Institute এর Co-founder & GM হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস Fiverr এর Level 2 Seller হিসেবে আছেন।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণ ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী সালমান হোসেন। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন সালমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

;

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;