রোনালদো কেন ৭ নম্বর জার্সি পরেন?



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু ফুটবল বিশ্ব তাকে আদর করে ডাকে সিআরসেভেন নামে!

সিআর তার প্রথম দুই নামের আদ্যক্ষর। আর সেভেন, জার্সির নাম্বার! সাত নম্বর জার্সি এখন রোনালদোর নামের সঙ্গেই একাকার। যেন একে অন্যের পরিপূরক! সাফল্য, স্বার্থকতায় ভরপুর!

ফুটবলে স্ট্রাইকারদের জন্য ১০ নাম্বার জার্সি যেন নির্ধারিত থাকে। পেলে, ম্যারাডোনা হয়ে হালের মেসি। তিন তারকাই খেলতেন ১০ নাম্বার জার্সি গায়ে। ১০ নাম্বার জার্সি মানেই দলের সেরা খেলোয়াড় তিনি! এভাবেই সম্ভবত ফুটবল ইতিহাসের সেই শুরুর দিন থেকেই ১০ নাম্বার জার্সি ‘আইকনিক মর্যাদা’ পেয়ে আসছে।

তবে দেশের এবং দলের সেরা খেলোয়াড় হয়েও রোনালদো কেন ৭ নাম্বার জার্সি বেছে নিলেন?

শুনি সেই ইতিহাস।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিনে পর্তুগালের লিসবন সিপিতে যখন খেলতেন তখন রোনালদোর গায়ে থাকতো ২৮ নাম্বার জার্সি। ২০০৪ সালে রোনালদোকে দলে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোনালদোকে দেখেই ম্যান ইউ’র ম্যানেজার অ্যালেক্স ফার্গুসন বুঝতে পারেন সত্যিকারের হীরের টুকরোকেই দলে টেনেছেন তিনি। ফুটবল জুহুরির চোখেই তিনি চিনতে পেরেছিলেন রোনালদোকে। ওল্ট ট্রাফোর্ডে যোগ দিয়ে রোনালদোকে যখন জার্সির নাম্বার পছন্দ করতে বলা হল, সেদিনের তরুণ লাজুক রোনালদো তার পুরানো পছন্দের পথেই হাঁটলেন-‘২৮ নাম্বার জার্সিটাই আমার পছন্দ।’ পাশে থাকা অ্যালেক্স ফার্গুসনের যে তখন অন্য চিন্তা। তিনি যে লিসবন সিপি’র রোনালদোকে চান না, নতুন এক তারকার জন্ম দেখতে চান। আর তাই সেদিন ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৭ নাম্বার জার্সিটা রোনালদোর হাতে তুলে দেন-‘ তোমাকে এই জার্সিতেই বেশি ভাল মানাবে। তুমি এটার যোগ্য।’

ব্যাস, সেদিনই থেকেই শুরু হল সিআরসেভেনের নতুন যাত্রা। নতুন গল্প। নতুন ইতিহাস।


ম্যান ইউ’র হয়ে এই ৭ নাম্বার জার্সি যারা আগে পরেছেন সেই নামগুলো একটু জানি। জর্জ বেস্ট, ব্রায়ান রবসন, এরিক কাঁতোয়া, ডেভিড বেকহাম, মাইকেল ওয়েন! সেই তালিকায় এখন সর্বশেষ সংযোজন চিলির অ্যালেক্সি সানচেজ।


ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হাতে ক্লাবের ৭ নাম্বার জার্সিটা তুলে দিয়ে ভুল কিছু করেননি ফার্গুসন। যে কয়েক মৌসুম ম্যান ইউ’ তে ছিলেন রোনালদো, প্রতি মৌসুমেই আগের তুলনায় নিজের পারফরমেন্সকে ছাড়িয়ে গেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে খেলেছেন সবমিলিয়ে ২৯২ ম্যাচ। গোল করেছেন ১১৮টি। সহায়তা করেছেন ৬৮টি গোলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি জিতেছেন তিন মৌসুমে। একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জয়ের উল্লাসেও মেতেছেন। সবশুদ্ধ ম্যান ইউ’র হয়ে রোনালদো জিতেছেন নয়টি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।

এক কথায় দারুণ পারফরমেন্স! ম্যান ইউ’তে সত্যিকার অর্থেই ৭ নাম্বার জার্সির মর্যাদা রাখতে পেরেছিলেন রোনালদো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/24/1535088780175.jpg


২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনালদো। তখন রিয়ালের ৭ নাম্বার জার্সির মালিক ছিলেন ক্লাবের আরেক মহাতারকা রাউল গনজালেস। ক্যারিয়ারের শেষদিকে রাউল জার্মানির শালকে ক্লাবে যোগ দেয়ার পর রিয়ালের ৭ নাম্বার জার্সিটা পেয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

মুলত রিয়ালেই রোনালদোর নতুন নাম মিলল সিআরসেভেন! সেই তখন থেকেই রোনালদো মানেই ৭ নাম্বার জার্সি। পুর্তগাল জাতীয় দলে শুরুর দিকে যখন খেলতেন তখন রোনালদোর জার্সি নাম্বার ছিল ১৭। ল্ইুস ফিগো খেলতেন ৭ নাম্বার জার্সি গায়ে। ফিগোর অবসরের পর পুর্তগালের ৭ নাম্বার জার্সি রোনালদো পেলেন।

একেবারে যোগ্য উত্তরাধিকার!
চলতি বছর জুভেন্টাসে নাম লেখানোর পরও রোনালদো পেয়ে গেলেন ক্লাবের ৭ নাম্বার জার্সি। জুভের হয়ে এই জার্সিটা এতদিন ছিল কলম্বিয়ার কুদরাদোর গায়ে। রোনালদো জুভেন্টাসে নাম লেখানোর সময়ও তার পছন্দের জার্সির নাম্বারটাও বলে দিয়েছিলেন। ক্লাবে যোগ দেয়ার পর কুদরাদোর কাছে জার্সিটা চান রোনালদো। খুশি মনেই রোনালদোর অনুরোধ মেনে নিয়ে কুদরাদো সেদিন বলেছিলেন-‘ কোন সমস্যা নেই, আমার ৭ নাম্বার জার্সিটা তোমাকে দিতে পারলে আমি খুশিই হবো।’

ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে তারকা জীবনের শুরু। রিয়াল মাদ্রিদে এসে মহাতারকায় পরিণত। জুভেন্টাসের হয়ে রোনালদো কি সেই তারকা মুল্যের মান বজায় রাখতে পারবেন?

৭ নাম্বার জার্সির সৌভাগ্যের পরশ কি জুভেন্টাসেও পাবেন সিআরসেভেন?

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;