সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হলে, যে সুবিধা দেখছে বিসিবি



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জালাল ইউনুস : বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান

জালাল ইউনুস : বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মনোনয়ন হয়েছে মাত্র। যদিও তার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি একরকম নিশ্চিত প্রায়। যেহেতু আর কোন প্রার্থীই নেই সেই পদে। আর তাই এরই মধ্যে চারধার থেকে অভিনন্দন আর অভিনন্দন পাওয়া শুরু হয়ে গেছে সৌরভ গাঙ্গুলির।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছে কলকাতার দাদা। এই পদে সৌরভ গাঙ্গুলির অধিষ্ঠ হওয়ার খবরে কলকাতা জুড়ে আনন্দের নহর। সেই নহরের ছ’টা কলকাতা ছাড়িয়ে ঢাকার বাতাসে উড়ছে বেশ!

সৌরভের পদোন্নতিতে ভীষণ খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরিচিতজন সৌরভের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি দিয়ে তাকে অগ্রিম অভিনন্দনও জানাচ্ছেন।

সোমবার বিসিবির বারান্দায়ও সৌরভ গাঙ্গুলির সংগঠক হিসেবে নতুন সুরভির রেণুর একরাশ ছড়াছড়ি। কলকাতায় হয়তো এই খুশিতে রসগোল্লা খাওয়া চলছে বেশ। তবে ঢাকায় মিষ্টি বিতরণ না হলেও পুলকিত হতে শুরু করেছেন অনেকে।

ভাবভঙ্গিতে মনে হচ্ছে সৌরভের এই বিজয় যেন বাংলাদেশেরই কিছু! চলুন শুনি, সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্ভাব্য সভাপতি হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিভাবে দেখছে?

বিসিবির মুখপাত্র হয়ে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনুস এই প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন তার পুরোটাই এমন-‘বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্কটা বেশ ভাল। যারা এখন বিসিসিআইয়ে আছেন তাদের সঙ্গেও সম্পর্কটা ভাল। আগে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গেও এমন ভাল সম্পর্কই ছিল আমাদের। সৌরভ গাঙ্গুলি বাঙালি এবং একজন সাবেক ক্রিকেটার, সেজন্য নিঃসন্দেহে বাড়তি একটা সুবিধা আমরা পাবো। তার সঙ্গে কোন একটা ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে আমরা একটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব। কারণ সে একজন বাঙালি এবং সাবেক ক্রিকেটার। আর এখানে (বাংলাদেশে) অনেকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশে অনেকবার খেলে গিয়েছেন। হি ইজ ভেরি ইয়াং। আমাদের এখানে তার একটা আত্মার সম্পর্ক আছে। এগুলো নিঃসন্দেহে কাজে লাগবে। এর আগে আমরা ভারতের বিপক্ষে যে খেলাগুলো পাইনি, হয়তো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, জুনিয়র পর্যায়ে যদি কোন ক্রিকেট সিরিজ বিনিময় প্রোগাম থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা ফ্রি-লি আলোচনা করতে পারব-এই সুবিধা আছে।’

সৌরভ বাঙালি বলে যে বাড়তি আবেগের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে, সেটা না আবার মিইয়ে যায় যখন স্বার্থের প্রশ্নে গাঙ্গুলির সব সিদ্ধান্ত যদি ভারতের অনুকূলেই যায়!

ভারত তো তার দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যই সৌরভকে ‘ক্রিকেট বস’ বানাচ্ছে!

আরও পড়ুন-

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ‘বস’ সৌরভ গাঙ্গুলি!

দ্বায়িত্বটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন সৌরভ

   

রুপা জিতে যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলংকার ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল টেনিসে রুপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বালক দল। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ বালিকা দলও। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি তার। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপেই থামতে হয়েছে তাদের।

মূলত, যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিশ্চিত কারার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপ হয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। কেননা, সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব। যেখান থেকে সেরা দুই দল জায়গা পেত যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।

বালক বিভাগে যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট কেটেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে ভারত ও শ্রীলংকা।

আগামী ৩০ জুন চীনের চাংকুইং শহরে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট, চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। এশিয়ান দলগুলোকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চল থেকে দুটো করে দল, সঙ্গে সবশেষ আসরের সেমিফাইনালিস্ট চার দলকে নিয়ে হবে টুর্নামেন্টটি। যার টিকিটই চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ।

যদিও টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২-০ সেটে এগিয়ে গিয়েও শেষমেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় ৩-২ ব্যবধানে। তবে এরপর পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ বনে যায় রানার্স আপ।

;

স্টার্ক ২৫ কোটি, রিংকু ৫৫ লাখ, খুললেন মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন মিচেল স্টার্ক। রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে নিলামে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ, একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা ভারতের অন্যতম ফিনিশার রিংকু সিংয়ের পারিশ্রমিক মাত্র ৫৫ লাখ। দু’জনের মধ্যে পারিশ্রমিকের এই ফারাক নিয়ে অনেকেরই আছে প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তরটা এবার নিজেই দিয়েছেন রিংকু।

কলকাতার হয়ে ২০১৮ সালে আইপিএলে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন রিংকু। সবশেষ আইপিএলে ফিনিশার হিসেবে ৫৯.২৫ গড়ে ৪৭৪ রান করে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। সেখানেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে দলে নিজের জায়গা পোক্ত করে ফেলেছেন। যদিও ভারতের পাইপলাইনে যথেষ্ট ব্যাটার থাকায় বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি রিংকুর। তবে তাকে ঠিকই রিজার্ভ দলে রেখেছে ভারত। কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়লে তার জায়গায় মাঠে নামবেন তিনি। অথচ এমন ক্রিকেটারের বেতন কিনা মোটে ৫৫ লাখ!

কোনো কারণে যদি তিনি কলকাতা ছাড়ার ঘোষণা দেন রিংকু, নিশ্চিতভাবেই তাকে পেতে নিলামে হুমড়ি খেয়ে পড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ১০ কোটি রুপির উপর অনায়াসেই পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন তিনি। অথচ সেখানে কিনা মাত্র ৫৫ লাখ রুপিতেই খেলতে হচ্ছে তাকে। এ নিয়ে সমর্থকদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকলেও পারিশ্রমিক নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে চান না রিংকু। তিনি মনে করেন ৫৫ লাখ রুপি সংখ্যাটাও তার জন্য অনেক বেশি।

নিজের পারিশ্রমিকের প্রশ্নে রিংকু বলেন, ‘৫০-৫৫ লাখ কিন্তু অনেক। যখন আমি শুরু করি, তখন চিন্তাও করিনি এত বেশি টাকা পাব। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন যদি ৫-১০ রুপিও পেতাম মনে হতো আমি বোধয় এটা কোনোভাবে পেয়ে গিয়েছি। আর এখন আমি ৫৫ লাখ রুপি পাচ্ছি। কাজেই এটা আমার কাছে অনেক। ঈশ্বর আমাকে যতটুকু দিচ্ছেন ততটুকুতেই আমি খুশি। এটাই আমার ভাবনা। আমি আসলে এটা কখনোই চিন্তা করি না যে আমি এত টাকা পেতে পারতাম বা এত টাকা পাওয়া আমার উচিত ছিল। আমি এই ৫৫ লাখ রুপিতেই দারুণ খুশি। যখন আমার এই অর্থ ছিল না তখন আমি বুঝেছি টাকার মূল্য কত।’

;

দেড় লাখের বেশি গাছ লাগাবে বিসিসিআই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এবারের আসরে ক্রিকেটবিশ্ব দেখেছে রানবন্যা। রান দুশোর ঘরে প্রবেশ করাটা যেন দৈনন্দিন ব্যাপার ছিল। তবে এই রানপাহাড়টা কেবল দেখা গিয়েছে গ্রুপপর্বেই। প্লে-অফের মোট চার ম্যাচে কোনো দলই তুলতে পারেনি দুইশ পেরোনো সংগ্রহ। রেকর্ড ১২৬০টি ছক্কা ও ২১৭৪টি চারের এই আইপিএল আসরের রান উৎসব চলেছে তাই শুরুর ৭০ ম্যাচ পর্যন্তই।

গত বছর বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এবং সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ এক উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই সিদ্ধান্তে তারা বলেছিল যে, আইপিএলের ২০২৪ আসরে প্লে-অফে প্রতিটি ডট বলের জন্য ৫০০টি করে চারা গাছ রোপণ করবে তারা।

সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের সুবাদে তারা এবার দেড় লাখেরও বেশি চারা গাছ রোপণ করতে যাচ্ছে। কারণ প্লে-অফের চার ম্যাচে মোট ডট বলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৩টি। এতেই সেই হিসেবে তাদের মোট গাছ লাগাতে হবে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা-হায়দরাবাদের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ডটের সংখ্যা ছিল ৭৩টি। একই মাঠে এলিমিনেটরে বেঙ্গালুরু-রাজস্থানের ম্যাচে ডট বল হয়েছিল মোট ৭৪টি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান ও হায়দরাবাদের ম্যাচে ডট হয়েছে ৯৬টি, অর্থাৎ পুরো ১৬ ওভার। এবং সবশেষ ফাইনালে ডটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮০টিতে। ফাইনালে খেলাই হয়েছে মোটে ২৯ ওভার।

;

বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত জাকের, প্রতিদান দিতে মুখিয়ে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেই দলের একজন তরুণ ক্রিকেটার জাকের আলী অনিক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৫ স্বপ্ন সারথির তিনিও একজন। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় আছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের আস্থার নাম জাকের। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে উন্মুখ তিনি। বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা বিসিবিকে দেওয়া গ্রিন রেড স্টোরিতে জানিয়েছেন জাকের।

বিপিএলে পারফর্ম করে চলতি বছর শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ঢুকেন জাকের। প্রথম ম্যাচেই নজরটা নিজের দিকে টানেন ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছাড়িয়ে। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে করেন ৬৮ রান। এমন একজন ব্যাটারের কাছে তাই দারুণ কিছুই প্রত্যাশা করছে সমর্থকরা।

বিশ্বকাপ নিয়ে জাকের নিজেও রোমাঞ্চিত। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এই বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’

বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জাকের বলেন, ‘যখন থেকে শুনলাম যে আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশলে নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই আগাচ্ছি।’

;