বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে, অনেক কিছু প্রমাণের ম্যাচ



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ট্রফি হাতে তিন অধিনায়ক-মাসাকাদজা, সাকিব ও রশিদ খান

ট্রফি হাতে তিন অধিনায়ক-মাসাকাদজা, সাকিব ও রশিদ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেরদিনই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা জানিয়ে দিয়েছেন-শক্তির বিচারে তার দল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই।

প্রতিপক্ষ যখন বাংলাদেশ, তখন টি-টুয়েন্টিতে সত্যিকার অর্থেই জিম্বাবুয়ে কিন্তু পিছিয়ে নেই। শুধু কথার কথা নয়। পরিসংখ্যানেই রয়েছে তার বড় প্রমাণ। শেষবার যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে খেলতে নেমেছিলো  জিম্বাবুয়ে। সেই সিরিজ  ড্র হয়েছিলো ২-২ ম্যাচে। তাও আবার বাংলাদেশের মাটিতেই!

দু’দলের সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচের পরিসংখ্যানে মাত্র এক ম্যাচে এগিয়ে বাংলাদেশ। জয়ের হিসেবটা এমন। বাংলাদেশ ৫। জিম্বাবুয়ে ৪। মিরপুরে দু’দলের টি-টুয়েন্টি লড়াইয়ে হিসেবও সমানে সমানে ১-১।  সর্বশেষ উভয় দল টি-টুয়েন্টিতে নেমেছিলো ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি। খুলনার আবু নাসের চৌধুরী স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে জয়ী দল কিন্তু জিম্বাবুয়েই।
 
আর চার বছর পুরানো সেই ম্যাচ জয়ের নায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এখন যিনি দলের অধিনায়ক। সেই ম্যাচে মাসাকাদজা ৫৮ বলে ৯৩ রান তুলে দলকে ১৮০ রানের বড় সঞ্চয় এনে দিয়েছিলেন। যে রান ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। আটকে যায় ১৬২ রানে।

মাসাকাদজা এবারের তিন জাতি টি-টুয়েন্টি সিরিজ দিয়েই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানাবেন। নিজের বিদায়বেলাকে নিশ্চয়ই আরেকবার রাঙিয়ে যেতে চাইবেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। সন্দেহ নেই আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের যে কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে স্বাগতিকরা ‘বিপদজনক’ তালিকায় রেখেছে তাদের মধ্যে মাসাকাদজা অন্যতম।

ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ওস্তাদি জানেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা এই জিম্বাবুয়ে দলের সামনে এখন নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করার একটা দায় আছে।

তিনজাতি টি-টুয়েন্টি সিরিজকে সেই টার্গেটই করেছে জিম্বাবুয়ে।
 
প্রমাণের একটা দায় বাংলাদেশেরও আছে। আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট ম্যাচ হারা বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন বিষন্ন অবস্থায়। টানা হারের মধ্যেই আছে দলটা। ট্সেট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে সর্বশেষ ছয়টি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে। হারের এই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে দল।

টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিন দলের অধিনায়কের হাতই ছিলো ট্রফিতে। ২৪ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে এই ট্রফিতে একক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

অধিনায়কত্বের ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ এর শুরুটা সাকিবের খুব সুখকর কিছু হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের সামনে সেই দুঃখ ঘোচানোর একটা ‘ব্যক্তিগত’ লক্ষ্যও তাহলে এই সিরিজ।

টানা হারে অনেককিছু টলে যায়। যেমন টলছে এখন বিসিবির প্রশাসন। এই ট্রফিটা বিসিবি’র এখন বড্ড প্রয়োজন!

   

হায়দরাবাদের বিপক্ষে সহজ জয়ে ফাইনালে কলকাতা 



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এতে আসরজুড়ে আদিপত্য বজায় থাকলো শ্রেয়াস আইয়ারের দলটি। গ্রুপপর্বে দাপুটে ক্রিকেট খেলে সবার আগে নিশ্চিত করেছিল প্লে-অফের জায়গা। এবার সবার আগে ফাইনালটাও নিশ্চিত করলো কলকাতা। 

গতকাল আহমেদাবাদের নরেদ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদকে ১৫৯ রানেই আটকে ফেলে কলকাতা। পরে সেই লক্ষ্যে স্রেফ ১৩ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় তারা। 

ফাইনালে উঠার স্বপ্ন এখানেই অবশ্য শেষ হয়নি হায়দরাবাদের। এলিমিনেটরের রাজস্থান ও বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আরও একবার ফাইনালে টিকিটের লড়াইয়ের সুযোগ পাবে প্যাট কামিন্সের দল। 

জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিল সল্ট নিজ দেশে ফেরে গেলে সুনীল নারাইনের বিপরীতে যোগ্য ওপেনার নিয়ে অনেকটা শঙ্কাই ছিল কলকাতা। সেখানে আসরে প্রথমবারের মতো একাদশে জায়গা মেলে আফগান তারকা ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজের। তাও আবার কোয়ালিফায়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে। নারাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই এনে দিয়েছেন গুরবাজ। যদিও ৬ ওভার ২ বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দু’জনেই, তবে  ততক্ষণেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৬৭ রান। উইকেট হারানোর যাত্রাটা শেষ সেখানেই। তৃতীয় ওভারে দুই আইয়ার ভেঙ্কেটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৪ বলে ৯৭ রানের ঝোড়ো অপরাজিত জুটিতে ৩৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। ১৩ ওভার ৪ বলে তারা তোলে ১৬৪ রান। ২৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শ্রেয়াস, এদিকে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভেঙ্কেটেশ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ১৩ রানেই দুই বিধ্বংসী ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্বদেশী মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হেড। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এই অজি তারকা। পরের ওভারেই ফেরেন অভিষেক। পরে পঞ্চম ওভারে শেষ দুই বলে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকেও সাজঘরের রাস্তা মাপান স্টার্ক। এতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ না হতেই ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। 

শুরুর সেই কঠিন চাপ সামলে পরে পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন রাহুল ত্রিপাতি। ক্লাসেন ৩১ রান করে ফিরলেও উইকেটের একপাশ সামলে এগোতে থাকেন রাহুল। তবে দলীয় ১২১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে রাহুল ফিরলে হায়দরাবাদ হারায় তাদের ষষ্ঠ উইকেট। পরে ৫ যোগ করতেই নেই আরও ৩ উইকেট। এতে আরও অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল হায়দরাবাদের। তবে শেষ দিকে অধিনায়ক কামিন্সের ৩০ রানের ইনিংসে চড়ে ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেনে স্টার্ক এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এদিকে আইপিএলের ১৭তম আসরের এলিমিনেটরে আজ মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। মধ্যকার জয়ী দল আগামী ২৪ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল আগামী ২৬ মে ফাইনালে লড়বে কলকাতার বিপক্ষে। 

;

ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ছাড়াও টিভিতে যা থাকছে আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এলিমিনেটরে আজ মুখোমুখি হবে রাজস্থান ও বেঙ্গালুরু। এদিকে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ছাড়াও রাতে আছে ইউরোপে লিগের ফাইনাল।

ফেডারেশন কাপ (ফাইনাল)

মোহামেডান–বসুন্ধরা কিংস

বিকেল ৩টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল (এলিমিনেটর)

রাজস্থান–বেঙ্গালুরু

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

১ম টি–টোয়েন্টি

ইংল্যান্ড–পাকিস্তান

রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ৫

ইউরোপা লিগ (ফাইনাল)

লেভারকুজেন–আতালান্তা

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;

যুক্তরাষ্ট্রে ‘অঘটনের’ শিকার বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অঘটনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। ‘আনাড়ি’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল হেরে বসেছে  ৫ উইকেটে।

বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে। যদিও দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে অধিনায়ক এবং দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার মোনাঙ্ক প্যাটেলকে হারায় দলটি। শরিফুল ইসলামের বলে স্টিভেন টেইলর সপাটে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছিলেন, কিন্তু বল শরিফুলের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেয়। ক্রিজে বাইরে থাকায় সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোনাঙ্ককে (১২)।

তবে তিনে নামা আন্দ্রিস গৌসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে থাকেন টেইলর। এই দু’জনের প্রচেষ্টায় পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৪৩ রান তোলে তারা। পাওয়ার প্লে’র পর রিশাদ গৌসকে (২৩) তুলে নিলে রানের গতি কিছুটা কমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের।

১২তম ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ধুঁকতে থাকা টেইলরকে (২৮) মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। এক বল পরে অ্যারন জোন্স ধরা পড়েন মিড অফে থাকা শান্তর হাতে।

কিন্তু এরপরই শুরু হারমিত-অ্যান্ডারসন ম্যাজিক শো! ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন তারা। ১৩ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চার ৩৩ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলেন হারমিত সিং। কোরি অ্যান্ডারসন শুরুটা ধীরেসুস্থে সময় বুঝে তিনিও রানের গতি বাড়ান। ব্যাকফুট থেকে চলে আসেন ফ্রন্টফুটে। ২৫ বলে দুটি বিশাল ছক্কায় ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের এনে দেন মনে রাখার মতো এক জয়।

এর আগে টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ভোগে বাংলাদেশ। লিটন দাস (১৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) ফর্মে ফেরার আরও একটা সুযোগ হেলায় হারান। স্ট্রাইক রেট ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ফেরার আগে করেছেন ১৩ বলে ২০ রান। ভুল বোঝাবুঝিতে হয়ে ব্যাট হাতে সাকিবের দিনটাও ভালো যায়নি। ১২ বলে ৬ রানে থামতে হয়েছে তাকে।

তবে ব্যাটিং অর্ডারের বড় নামদের ব্যর্থতার আরো একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে তার গড়া ৬৭ রানের জুটিতেই সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান করেন হৃদয়। ২২ বলে ৩১ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তাদের প্রচেষ্টাতেই ২০ ওভারে ১৫৩ রান পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে এই রান শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

;

হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ বাংলাদশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টপ অর্ডারের ব্যাটিং দুর্দশা কাটছেই না। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না ব্যাট হাতে ভুগতে থাকা লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তারা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও তাওহিদ হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া লিটন দাস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আরো একটা সিরিজ পেয়েছেন। কিন্তু সে সুযোগ অন্তত প্রথম ম্যাচে লুফে নিতে পারলেন না। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জেসি সিংয়ের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করতে পেরেছেন ১৫ বলে ১৪ রান।

লিটনের চেয়ে অন্য ওপেনার সৌম্য সরকারের শুরুটা তুলনামূলক আশাজাগানিয়া ছিল। তিন চার হাঁকিয়ে ভালো একটা শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু লিটন ফেরার তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। স্টিভেন টেইলরের বল হাঁটু গেঁড়ে স্লগ সুইপ করেছিলেন, সীমানা দড়ির সামনে থেকে সে ক্যাচ মুন্সিয়ানার সঙ্গে হাতে জমান নীতিশ কুমার। ১৩ বলে ২০ রানে সাঙ্গ হয় সৌম্যর ইনিংস। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

লিটনের মতো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে থাকা অধিনায়ক শান্তও টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা। অতি ধীরগতির শুরুর পর খোলসমুক্ত হতে গিয়ে টেইলরকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বলের লাইন করে উল্টো স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ১১ বলে ৩ রানে।

তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। সে প্রচেষ্টায় তার সঙ্গী হতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে রানআউট হন তিনি।

তবে সাকিবের সঙ্গে না হলেও আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। এর মধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন। ২২ বলে ২ চার, ১ ছয় সহযোগে ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর ৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

;