বোলিংয়ে বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
বোলারদের দাপটে ম্যাচে ফিরেছে কিউইরা

বোলারদের দাপটে ম্যাচে ফিরেছে কিউইরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ স্কোর নিয়েও যে ম্যাচ জেতা যায় সেটা নিউজিল্যান্ড প্রমাণ করেছে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। আর ফাইনালের ৩০ ওভার পর্যন্ত আরেকবার জানান দিলো-২৪১ রান নিয়েও লড়াই জমিয়ে তোলা যায়। জেতার স্বপ্ন দেখা যায়। এবং সেটা বেশ জোরে সোরেই!

৮৬ রানে ইংল্যান্ডের শুরুর ৪ উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ড সত্যিকার অর্থে লর্ডসের ফাইনাল জমিয়ে দিলো। ৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাড়ায় ৪ উইকেটে ১১৫ রান। ম্যাচ জিততে তখনো ইংল্যান্ডের চাই ১২০ বলে ১২৭ রান। হাতে উইকেট ছয়টি। তবে শেষ স্বীকৃতি ব্যাটিং জুটি হিসেবে তখন উইকেটে ছিলেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। দুজনেই খেলছিলেন ১৩ ও ১৮ রানে। বেন স্টোকসকে এই ১৮ রান আসে ৪০ বলে! বল ও রানের এই ব্যবধানই জানান দিলো-ফাইনালের উইকেটে ব্যাটিংটা সহজ কম্মো নয়!

৩০ ওভার শেষে ম্যাচ পরিস্থিতি যা ছিলো তাতে বলাই যায়-ফাইনালে অ্যাডভান্টেজ নিউজিল্যান্ড!  

পেছনের চারটি ম্যাচে ইংল্যান্ড ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জ্যাসন রয়ের সেঞ্চুরির জুটি ছিলো। ফাইনালে ভাঙ্গলো তাদের জুটি মাত্র ২৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস যদি ভুলটা না করতেন তাহলে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি যে শূণ্য রানেই ভাঙ্গতো! তাও আবার ইনিংসের প্রথম বলেই! কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের বলে আম্পায়ার্স কল ছিলো বলে এলবিডবøু থেকে বেঁচে যান জেসন রয়। তবে সেই সুযোগটা বেশি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১৭ রানে ফিরে যান ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
 
জ্যাসন রয়ের আউটের ধরণ সেমিফাইনালে হেনরির বলে রোহিত শর্মার আউটকে মনে করিয়ে দিলো আরেকবার। কি দারুণ মিল!

 জো রুট যে কায়দায় আউট হলেন সেটাকে বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ৩০ বলের ইনিংসের কোনো বাউন্ডারি নেই। রানও আসছিলো না ব্যাটে। সেই হতাশা থেকে শেষমেষ বাজে শটস খেলে আউট হলেন ৭ রানে।

৩০ বলে ৭ রান! টুর্নামেন্টে নিজের সবচেয়ে বাজে ইনিংস ফাইনালে এসেই খেললেন জো রুট। অথচ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনিই!

জনি বেয়ারস্টো একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে ইংল্যান্ডকে সামনে বাড়াচ্ছিলেন। বেশ জমে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু লকি ফার্গুসনের ব্যাক অব লেন্থে পড়া প্রচন্ড গতির বল স্কয়ারে খেলার জন্য ব্যাট চালান বেয়ারস্টো। বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পের বেলস উড়িয়ে দিলো।

আনন্দে মেতে উঠলো নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের স্কোর ১৯.৩ ওভারে ৭১ রানে ৩ উইকেট।
ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান উইকেটে এলেন প্রচুর হাততালি নিয়ে। যখন বিদায় নিলেন তখনো অবশ্য প্রচুর হাততালি, তবে সেই হাততালি শুধু নিউজিল্যান্ড গ্যালারি থেকেই!

 জেমস নিসাম ফাইনালে তার প্রথম বলেই শিকার করলেন মরগানের উইকেট। শর্ট বলটা পয়েন্ট বাউন্ডারিতে খেললেন মরগান। ব্যাটের কানা লেগে বল বাতাসে। শূণ্যে বল দেখে বাউন্ডারি লাইন থেকে দৌড়ান লকি ফার্গুসন। সামনে এসে প্রায় ঝাঁপিয়ে দু’হাতে ক্যাচটা রাখেন। ওটা কি ক্যাচ হলো?

হাত উঁচিয়ে সন্দেহটা দুর করলেন লকি ফার্গুসন! টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলো পরিস্কার আউট। ৯ রানের হতাশায় শেষ হলো ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগানের ফাইনালের ইনিংস।

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;