লর্ডসে অন্য ‘গল্পের’ অপেক্ষায় গাপটিল



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
ফাইনালে ব্যাটে ঝড় তোলার অপেক্ষায় মার্টিন গাপটিল

ফাইনালে ব্যাটে ঝড় তোলার অপেক্ষায় মার্টিন গাপটিল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৭৩। ৫১ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় এই রান। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার। ভেন্যু কার্ডিফ।

ব্যস, সেই প্রথমের পর মার্টিন গাপটিল বাকি ৭ ম্যাচে যে ব্যাটিং করলেন তাতেই তিনি এখন বিশ্বকাপের ব্যাটিংয়ে ব্যাকবেঞ্চার! শুরুর সেই ৭৩ রানের পর তার ইনিংস যেন ভগ্ন স্বাস্থ্য! ২৫, ০, ৩৫, ০, ৫, ২০, ৮, ও ১! সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচে মোট রান ১৬৬। বিশ্বকাপের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের যে তালিকা আছে সেখানে শুরুর ৫০ জনের মধ্যে মার্টিন গাপটিলের অবস্থান ৪৯ নম্বরে!

অথচ তিনি নিউজিল্যান্ডের ওপেনার। যে দল এখন বিশ্বকাপের ফাইনালে। প্রথম ম্যাচ বাদে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি ব্যর্থ। শুরুতেই তার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ভাঙ্গাচোরা শুরু। অথচ সেই তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত-একই সঙ্গে প্রশংসিতও!

এই যে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে, সেটাও নাকি তার কৃতিত্বে! তার করা সরাসরি থ্রোতেই তো মহেন্দ্র সিং ধোনি রানআউট। ক্রিজ থেকে ধোনির ব্যাট মাত্র এক মিলিমিটার দুরে, তখনই দারুন নিশানায় সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙ্গে দেন গাপটিল।

মূলত ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেমিফাইনালের সমাধান ধোনির ওই রানআউটেই। আর তাই ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে মামুলি ১৬৬ রান করা (গড় ২৩.৭১) মার্টিন গাপটিলই নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে আনার কারিগর।

সেমি-ফাইনাল জেতার পর নিউজিল্যান্ড বোলারদের কৃতিত্বের জয়গান গাইলেও সেখানে ফিল্ডার মার্টিন গাপটিলের অবদানের কথা ভুলেনি তারা। ব্যাট হাতে সময়টা ম্রিয়মান কাটলেও এই ওপেনারের সামনে ফর্মে ফেরার আরেকটি সুযোগ থাকছে-ফাইনাল ম্যাচে।

নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডও যে ব্যাখা দিলেন তাতে লর্ডসের ফাইনাল ম্যাচের একাদশে গাপটিল থাকছেন-‘গাপটিল নেটে চমৎকার ব্যাটিং করেছে। কি জানি, ফাইনালে সে করে ফেলে! ক্রিকেটে আগে থেকে কোনো কিছু বলার উপায় নেই। হয়তো দেখা গেলো ব্যাটিং অর্ডারে বদল আনা হলো, কিন্তু যাকে আনা হলো সেও প্রথম বলেই আউট হয়ে যেতে পারে! বড় ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অনেক বড়ো বড়ো সেঞ্চুরি করেছে সে। এই ইংল্যান্ডের মাটিতেও তার সেঞ্চুরি আছে।’

ক্যারিয়ারের ১৬টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মার্টিন গাপটিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। সাউদাম্পটনে ২০১৩ সালের ২ জুন খেলেছিলেন অপরাজিত ১৮৯ রানের বিশাল সেঞ্চুরি। লর্ডসের সঙ্গেও তার সেঞ্চুরির সখ্য আছে। ২০১৩ সালের ৩১ মে লর্ডসে খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড জিতেছিলো ৫ উইকেটে। মারটিন গাপটিল ম্যাচ সেরা।

১৪ জুলাই লর্ডসে নামার আগে সেই স্মৃতিটাই মারটিন গাপটিলের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;