লর্ডসের ‘সবুজ’ উইকেটে লুকিয়ে ফাইনালের রহস্য!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
ফাইনালের জন্য প্রস্তুত ঐতিহাসিক লর্ডসের ময়দান- ছবি: বার্তা২৪

ফাইনালের জন্য প্রস্তুত ঐতিহাসিক লর্ডসের ময়দান- ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনালের আগে একটা সুবিধা একটু বেশি পেলো নিউজিল্যান্ড। ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনাল হবে যে উইকেটে সেটা ইংল্যান্ড দলের চেয়ে একটু আগে দেখলো তারা! তবে এতে খুব বেশি কিছু সুবিধা যে পেলে নিউজিল্যান্ড তা ভাবার কোনো উপায় নেই।

কারণ যে উইকেটে ফাইনাল হবে সেই উইকেটের সঙ্গে লর্ডসের সবুজ মাঠের সঙ্গে কোনো পার্থক্যই যে নেই! শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফাইনালের উইকেট বাকি মাঠের সবুজের সঙ্গে সবুজময়ই হয়ে রইলো! শুধু দু’পাশের হালকা সাদা দাগ দেখে বোঝা গেলো মাঝের ঐ ২২ গজই হতে যাচ্ছে ফাইনালের উইকেট।

তখনো পুরো প্রস্তুত নয় ফাইনালের উইকেট। নিশ্চিতভাবেই ঘাস আরো ছাঁটা হবে। সবুজের আভা কমবে। ফাইনালে লর্ডসের উইকেট কার হবে-ব্যাটসম্যানদের নাকি বোলারদের, সেই প্রশ্নের খোঁজ চলছে।

তবে সম্ভবত ইংল্যান্ড নিশ্চিত এখানে করা আগের ভুল করবে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই মাঠে গ্রæপ পর্যায়ের ম্যাচে টসে জিতে ইংল্যান্ড বোলিং বেছে নিয়েছিলো। সেই ম্যাচ হারে ইংল্যান্ড ৬৪ রানে। চলতি বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে লর্ডসে সবমিলিয়ে চারটি ম্যাচ হয়েছে। চার ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। শুধু এই পরিসংখ্যানের কারণে নয়, লর্ডসের উইকেট ম্যাচের পরের ভাগে বেশ বদলে যায়-এই তথ্যও এখানে টসজয়ী দলকে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

লর্ডসের নামের নিচে বেশ গর্ব নিয়েই লেখা-‘হোম অব ক্রিকেট’। বিশ্বকাপের ১২টি আসরের চারটি ফাইনাল হয়েছে এই মাঠে। পঞ্চমটি হবে ১৪ জুলাই। শুরুটা হয়েছিলো ১৯৭৫ সালে। পরের দুই আসরের ফাইনালও এই লর্ডসেই। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের আয়োজন ছিলো লর্ডস। এই মাঠের আগের চারটি বিশ্বকাপের ফাইনালের তিনটিতেই আগে ব্যাট করা দল ট্রফি জিতেছে। শেষবার ১৯৯৯ সালের ফাইনালে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে গুটিয়ে  মাত্র ১৩২ রানে। অস্ট্রেলিয়া ২১ ওভারের মধ্যেই ফাইনাল জিতে নেয় ৮ উইকেটে।

বিশ্বকাপের পেছনের চারটি ফাইনাল লর্ডসের মাঠে কখনোই তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ হয়নি। বড় সঞ্চয় নিয়েও এখানে যেমন সহজেই জেতার রেকর্ড আছে। ঠিক আবার ১৯৮৩ সালের ফাইনালে ভারত মাত্র ১৮৩ রানের মামুলি জমা নিয়েও এখান থেকে বিশ্বকাপ জিতেছে।

২০১৯ সালের ফাইনালের জন্য লর্ডস কি রহস্য লুকিয়ে রেখেছে-কে জানে?

১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনালে টস জয়ী দল আগে ব্যাটিং করতে চাইবে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আগে ব্যাটিং হোক বা বোলিং-ফাইনালের শুরুটা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারনের অন্যতম অনুষঙ্গ হবে বলেই ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতামত। এবারের বিশ্বকাপের ট্রেন্ডটাই এমন; শুরুতে এগিয়ে থাকা দলই জিতছে শেষ পর্যন্ত।

দুটো সেমিফাইনালই তার বড়ো প্রমাণ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২৪ রানে শুরুর ৪ উইকেট হারানোর মধ্যেই যে ভারতের সেমিফাইনাল হারার ‘দুঃখ কাহিনী’! পরদিন বার্মিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার ১৪ রানে ৩ উইকেট পতনের মধ্যেই যে বিশ্বকাপ থেকে চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ের ‘দুঃখ গাঁথা’!

আর তাই সাবধানী শুরুর দিকে মনোযোগ দিয়েই ফাইনালে নামছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

স্পেসশিপ আকৃতির প্রেসবক্স থেকে সামনে তাকাতে দুর প্রান্তে লর্ডসের বিখ্যাত  পোড়ামাটি রংয়ের ব্যালকনিতে চোখ গেলো। বামদিকের ব্যালকনিতে উড়ছে ইংল্যান্ডের পতাকা। ডানে নিউজিল্যান্ডের পতাকা বাতাসে দোল খাচ্ছে।

১৪ জুলাই বিকেলে লর্ডসের এই দুই ব্যালকনির যে কোনো একটিতে ফটোসেশন চলবে-বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়ে ছবি তোলার ফটোসেশন!

-কোন ব্যালকনিতে?

এই তো উত্তরটা আপনি ঠিকই জানেন!

   

যুক্তরাষ্ট্রে ‘অঘটনের’ শিকার বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অঘটনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। ‘আনাড়ি’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল হেরে বসেছে  ৫ উইকেটে।

বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে। যদিও দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে অধিনায়ক এবং দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার মোনাঙ্ক প্যাটেলকে হারায় দলটি। শরিফুল ইসলামের বলে স্টিভেন টেইলর সপাটে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছিলেন, কিন্তু বল শরিফুলের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেয়। ক্রিজে বাইরে থাকায় সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোনাঙ্ককে (১২)।

তবে তিনে নামা আন্দ্রিস গৌসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে থাকেন টেইলর। এই দু’জনের প্রচেষ্টায় পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৪৩ রান তোলে তারা। পাওয়ার প্লে’র পর রিশাদ গৌসকে (২৩) তুলে নিলে রানের গতি কিছুটা কমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের।

১২তম ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে আরও ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ধুঁকতে থাকা টেইলরকে (২৮) মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। এক বল পরে অ্যারন জোন্স ধরা পড়েন মিড অফে থাকা শান্তর হাতে।

কিন্তু এরপরই শুরু হারমিত-অ্যান্ডারসন ম্যাজিক শো! ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন তারা। ১৩ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চার ৩৩ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলেন হারমিত সিং। কোরি অ্যান্ডারসন শুরুটা ধীরেসুস্থে সময় বুঝে তিনিও রানের গতি বাড়ান। ব্যাকফুট থেকে চলে আসেন ফ্রন্টফুটে। ২৫ বলে দুটি বিশাল ছক্কায় ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের এনে দেন মনে রাখার মতো এক জয়।

এর আগে টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ভোগে বাংলাদেশ। লিটন দাস (১৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) ফর্মে ফেরার আরও একটা সুযোগ হেলায় হারান। স্ট্রাইক রেট ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ফেরার আগে করেছেন ১৩ বলে ২০ রান। ভুল বোঝাবুঝিতে হয়ে ব্যাট হাতে সাকিবের দিনটাও ভালো যায়নি। ১২ বলে ৬ রানে থামতে হয়েছে তাকে।

তবে ব্যাটিং অর্ডারের বড় নামদের ব্যর্থতার আরো একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে তার গড়া ৬৭ রানের জুটিতেই সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান করেন হৃদয়। ২২ বলে ৩১ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তাদের প্রচেষ্টাতেই ২০ ওভারে ১৫৩ রান পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে এই রান শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

;

হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ বাংলাদশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টপ অর্ডারের ব্যাটিং দুর্দশা কাটছেই না। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না ব্যাট হাতে ভুগতে থাকা লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তারা ভালো শুরু এনে দিতে না পারলেও তাওহিদ হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া লিটন দাস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আরো একটা সিরিজ পেয়েছেন। কিন্তু সে সুযোগ অন্তত প্রথম ম্যাচে লুফে নিতে পারলেন না। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জেসি সিংয়ের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করতে পেরেছেন ১৫ বলে ১৪ রান।

লিটনের চেয়ে অন্য ওপেনার সৌম্য সরকারের শুরুটা তুলনামূলক আশাজাগানিয়া ছিল। তিন চার হাঁকিয়ে ভালো একটা শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু লিটন ফেরার তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। স্টিভেন টেইলরের বল হাঁটু গেঁড়ে স্লগ সুইপ করেছিলেন, সীমানা দড়ির সামনে থেকে সে ক্যাচ মুন্সিয়ানার সঙ্গে হাতে জমান নীতিশ কুমার। ১৩ বলে ২০ রানে সাঙ্গ হয় সৌম্যর ইনিংস। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

লিটনের মতো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে থাকা অধিনায়ক শান্তও টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা। অতি ধীরগতির শুরুর পর খোলসমুক্ত হতে গিয়ে টেইলরকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বলের লাইন করে উল্টো স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ১১ বলে ৩ রানে।

তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। সে প্রচেষ্টায় তার সঙ্গী হতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে রানআউট হন তিনি।

তবে সাকিবের সঙ্গে না হলেও আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। এর মধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন। ২২ বলে ২ চার, ১ ছয় সহযোগে ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর ৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

;

টস জিতল যুক্তরাষ্ট্র, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ



Apon tariq
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দিন আগে মাঠের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডো ম্যাচটা মাঠে গড়ানোই ফেলে দিয়েছিল শঙ্কায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া মাঠ জানান দিচ্ছিল এই মাঠে ম্যাচ আয়োজনটা কষ্টকরই হবে। সে কষ্টসাধ্য কাজটা করেই ফেলেছেন আয়োজকরা। নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। 

টস হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। টস ভাগ্য বাংলাদেশকে সঙ্গ দেয়নি। টস জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে ব্যাটিংয়ে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ নামছে লিটন দাসকে একাদশে রেখে। শেষ কিছু দিনে তিনি ছিলেন তোপের মুখে। যে ফর্মের কারণে এ পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আজ পাচ্ছেন তিনি। তাকে জায়গা করে দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানজিদ তামিম।

এছাড়া একাদশটা বেশ অনুমিতই। দুই পেসার নিয়ে দল গড়েছে বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব আর তাসকিন আহমেদ আছেন স্কোয়াডের বাইরে। একাদশে আছেন তিন স্পিনার, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী ও সাকিব আল হাসান।  

বাংলাদেশ একাদশ–
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

;

ইংল্যান্ড দলে নতুনের কেতন, বাদ স্টার্লিং-রাশফোর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। গ্যারেথ সাউটগেটের এই দলে রয়েছে একাধিক চমক। পুরোনো মুখ রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ডদের বাদ দিয়ে তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দল গড়েছেন তিনি।

ইংল্যান্ড অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলকে প্রাথমিক স্কোয়াড না বলে প্রাক-ইউরো অনুশীলন ক্যাম্প স্কোয়াড হিসেবে অভিহিত করেছে।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা ফুটবলার ফিল ফোডেন, সেরা উদীয়মান ফুটবলার কোল পালমার, জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকাদের দিয়ে গড়া ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড লাইন সম্ভবত এবারের ইউরোরই অন্যতম সেরা। সঙ্গে অধিনায়ক ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলা গোলমেশিন হ্যারি কেইন তো রয়েছেনই।

মধ্যমাঠে ডেকলান রাইস, কনর গ্যালাঘারদের সঙ্গে তরুণ কোবি মাইনু ও অ্যাডম হোয়ারটনের সুযোগ করে দিয়েছেন সাউথগেট।

রক্ষণে বরাবরের মতো রয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুয়ের। এছাড়া ম্যানসিটির কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, নিউক্যাসলের কিয়েরান ট্রিপিয়াররাও দলে জায়গা পেয়েছেন।

ইংল্যান্ডের ২৬ সদস্যের দল

গোলকিপার: জর্ডান পিকফোর্ড, ডিন হেন্ডারসন, অ্যারন রামসডেল, জেমস ট্র্যাফোর্ড

ডিফেন্ডার: জ্যারাড ব্রান্থওয়েট, লুইস ডাঙ্ক, জো গোমেজ, মার্ক গুয়েহি, এজরি কনসা, হ্যারি মাগুয়ের, জ্যারেল কোয়ানসা, লুক শ, জন স্টোনস, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, কাইল ওয়াকার

মিডফিল্ডার: ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড, কনর গ্যালাঘার, কার্টিস জোনস, কোবি মাইনু, ডেকলান রাইস, অ্যাডাম হোয়ারটন

ফরোয়ার্ড: জুড বেলিংহ্যাম, জ্যারড বোয়েন, এবেরেচি এজে, ফিল ফোডেন, অ্যান্থনি গর্ডন, জ্যাক গ্রিলিশ, হ্যারি কেইন, জেমস ম্যাডিসন, কোল পালমার, বুকায়ো সাকা, ইভান টনি, ওলি ওয়াটকিন্স

;